BCS Preparation

মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা

ADX Ads
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।              

ADX ads 2

প্রথম  বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রসভায়।                               

প্রথম কবে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয  ০২ ই মার্চ, ১৯৭১।                                  

বাংলাদেশের পতাকা কে প্রথম উত্তোলন করেন-   আ স ম আব্দুর রব।                                   

কবে,  স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করা হয় ০৩ মার্চ, ১৯৭১, পল্টন ময়দানে।                             

চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করা হয়  ২৬ মার্চ, ১৯৭১।                           

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র কবে,  স্থাপন করা হয় চট্টগ্রামের কালুরঘাটে, ২৬ মার্চ, ১৯৭১।                          

মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কারা ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট।                               

মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ কবে,  সংগঠিত হয় ১৯ মার্চ, ১৯৭১ গাজিপুরে।                         

শেখ মজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায় কখন ২৫ মার্চ, ১৯৭১ মধ্যরাতে।                                   

শেখ মুজিব  তারিখে পাকিস্তানের কারাগার হতে মুক্তিলাভ করেন  ১০ জানুয়ারী ১৯৭২।                            

এ দেশের মাটি চাই, মানুষ নয়- এ উক্তি কার জেনারেল ইয়াহিয়া খান।                                   

সর্বপ্রথম বাংলাদেশের স্বাধীন মন্ত্রিসভা গঠিত হয় ১০ এপ্রিল, ১৯৭১।                               

বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়েছিল ১০ এপ্রিল, ১৯৭১।                             

বাংলাদেশকে প্রজাতন্ত্র ঘোষনা করা হয়েছিল ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১।                        

বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহন করেছিল ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১।                              

বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের সদস্য সংখ্যা  ছিল ৬ জন।                          

বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের রাজধানী  ছিল মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে।    

মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা

মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা

মুজিবনগরের পুরাতন নামছিল বৈদ্যনাথ তলার ভবের পাড়া।                        

তাজউদ্দিন আহম্মেদ বৈদ্যনাথ তলার নাম মুজিব নগর রাখেন।                             

মুজিনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন এম, মনসুর আলী।                                   

মুজিনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহম্মেদ।                               

মুজিনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন শেখ মুজিবর রহমান।                                 

মুজিনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন-  সৈয়দ নজরুল ইসলাম।                               

মুজিনগরে নতুন সরকার গঠনের ঘোষনাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী।                                  

মুজিনগরে সরকারকে প্রথম গার্ড অনার প্রদান করেন মাহবুব উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)                               

জেনারেল ওসমানী বাংলাদেশের সেনা প্রধান নিযুক্ত হন ১৮ এপ্রিল, ১৯৭১।                                   

বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রথম বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন ক্যাপ্টেন কে খন্দকার।                             

প্রথম বাংলাদেশী কূটনীতিক দেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন এম হোসেন আলী।                              

সাইমন ড্রিং ছিলেন ১৯৭১ সালে ঢাকায় কর্মরত ব্রিটিশ সাংবাদিক। যিনি সর্বপ্রথম পাকিস্থানী বর্বরতার কথা বর্হিবিশ্বে প্রকাশ করেন। তিনি পরবর্তীতে একুশে টেলিভিশনের পরিচালক ছিলেন।                                   

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিদেশী মিশনে বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয় ১৮ এপ্রিল কলকতায়।                             

মুক্তিযুদ্ধ চলা কালে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১ টি সেক্টরে ভাগ করেছিলেন।                          

১০ নং সেক্টরে নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিল না ।      

চট্টগ্রাম– ১ নং সেক্টর

ঢাকা- নং সেক্টর

রাজশাহী- ৭ নং সেক্টর

মুজিব নগর- নং সেক্টর

সুন্দরবন- ৯ নং সেক্টর

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান- কোনো সেক্টরে ছিলেন না

বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রব– ১ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন

বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন– ৭ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল– ২নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন- ১০ নং সেক্টরে যু্দ্ধ করেন

 এছাড়াও ব্রিগেড আকারে ফোর্স গঠন করা হয়েছিলো- ৩টি

১. এস ফোর্স : মেজর শফিউল্লাহর নেতৃত্বাধীন

২. কে ফোর্স : মেজর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বাধীন

৩. জেড ফোর্স : মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন

এছাড়াও দেশের অভ্যন্তর থেকে যে সব বাহিনী মুক্তিযুদ্ধে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল-

১. টাঙ্গাইলের কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কাদেরিয়া বাহিনী

২. বরিশালের হেমায়েত বাহিনী

৩. কমরেড তোহা

৪. সিরাজ সিকদার

৫. মুজিব বাহিনী (বি.এল.এফ) (প্রধান প্রশিক্ষক- হাসানুল হক ইনু)

প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা- যশোর (৭ ডিসেম্বর)

পাকিস্তান আত্মসমর্পণ করে- ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১

আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর হয়- রেসকোর্স ময়দানে

বাংলাদেশের পক্ষে দলিলে স্বাক্ষর করে- যৌথবাহিনী প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা

পাকিস্তানের পক্ষে দলিলে স্বাক্ষর করে- জেনারেল কে নিয়াজী

মুক্তিবাহিনীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন/নেতৃত্ব দেন- এয়ার কমোডর এ কে খন্দকার

মোট ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য আত্মসমর্পণ করে

মুক্তিযুদ্ধে অবদান/বীরত্ব প্রদর্শনের জন্যে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার- ৪টি

স্বাধীনতা যুদ্ধে  ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি লাভ করেন।                             

স্বাধীনতা যুদ্ধে  বীরউত্তম খেতাব লাভ করেন ৬৮ জন।   

 স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর বিক্রম উপাধি লাভ করে ১৭৫জন।                         

স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্তির সংখ্যা  ৪২৬ জন।                                

স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য মোট ৬৭৬ জন খেতাব প্রাপ্ত হন।       

 বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি ।                          

বীর শ্রেষ্ঠের খেতাবী কবর নেই বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন।                              

সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে দেশে এনে সমাহিত করা হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান।                         

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের কবর  ছিল পাকিস্তানের করাচীর মাশরুর বিমান ঘাটিতে।                               

বীরশ্রেষ্ঠের কবর বাংলাদেশে ছিল না বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের।                              

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের কবর  ছিল ভারতের আমবাসা এলাকায়।                          

দুইজন খেতাবধারী মহিলা মুক্তিযোদ্ধার নাম- ক্যাপ্টেন সেতারা বেগম ও তারামন বিবি।                                   

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একজন ইতালীর নাগরিক মৃত্যুবরণ করেন তার নামছিল মাদার মারিও ভেরেনজি।                               

স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত একমাত্র বিদেশী হোসাইল হেমার ওয়াডার ওয়াডারল্যান্ড, অষ্ট্রেলিয়া।

বাংলাদেশে সর্বকনিষ্ঠ খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা –  শহীদুল ইসলাম(লালু) বীর প্রতীক।                             

ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বাহিনী গঠন করা হয় ২১ নভেম্বর, ১৯৭১।                                   

ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বাহিনী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে ০৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১।                           

ভারত-বাংলাদেশ যৌথ কমান্ডের সেনাধ্যক্ষ ছিলেন জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা।                            

পাকিস্তানের পক্ষে আত্মসমর্পন করেন জেনারেল , কে নিয়াজী।                          

মুক্তিযুদ্ধের আত্মসমর্পণ দলিল  স্বাক্ষরিত হয় রেসকোর্স ময়দানে।                              

জেনারেল এ, কে নিয়াজী  জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার নিকট আত্মসমর্পণ করে।                         

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব প্রদান করেন বিমান বাহিনীর প্রধান কমোডর এ কে খন্দকার।                                

জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পের সময় পাকিস্তানের সৈন্যবাহিনীর  সংখ্যা ছিল  ৯৩ হাজার।  

সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ

ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর,

সিপাহী হামিদুর রহমান,

সিপাহী মোস্তফা কামাল,

মোহাম্মদ রুহুল আমিন,

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান,

ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ

ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ

জীবিত ব্যক্তিকে প্রদত্ত সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক পদবী- বীরউত্তম

সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের নামে ৭টি পুকুর খনন করা হয়েছে- সুন্দরবনে

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের কোন কবর নেই/মতান্তরে রূপসা নদীর তীরে কবর দেয়া হয়

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের কবর- করাচি থেকে আনা হয় (২০০৬)

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের কবর আনা হয়- আসামের আমবাসা থেকে (২০০৭)

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান যে বিমানটি ছিনিয়ে আনছিলেন- টি-৩৩ (ছদ্মনাম ব্লু বার্ড)

খেতাবপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা- ২ জন (২ জনই বীরপ্রতীক) (সেতারা বেগম ও তারামন বিবি)

তমুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বীর প্রতীক খেতাব লাভ করেন সাহিত্যিক আবদুস সাত্তার।                               

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের চরমপত্র নামক কথিকা পাঠ করতেন এম আর আখতার মুকুল।                             

২৬ মার্চ কে স্বাধীনতা দিবস ঘোষনা করা হয় কখন ১৯৮০ সালে।                             

বীর শ্রেষ্ঠদের মধ্যে প্রথম মৃত্য বরণ কে করেন মোস্তফা কামাল (৮ এপ্রিল, ১৯৭১)।                                

বীর শ্রেষ্ঠদের মধ্যে সর্বশেষে মৃত্য বরণ কে করেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১)।

নারী মুক্তিযোদ্ধা- সেতারা বেগম, তারামন বিবি ও কাঁকন বিবি

আদিবাসী নারী মুক্তিযোদ্ধা- কাঁকন বিবি

কাঁকন বিবি- খাসিয়া

কাঁকন বিবির আসল  নাম- কাকাত হেনইঞ্চিতা

সর্বকনিষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত ‍মুক্তিযোদ্ধা- শহীদুল ইসলাম চৌধুরী (মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স-১২ বছর)

একমাত্র আদিবাসী/উপজাতি খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা- ইউ কে চিং (বীর বিক্রম)

একমাত্র বিদেশি বীরপ্রতীক– ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ড (অস্ট্রেলিয়া; জন্ম নেদারল্যান্ড)

ওডারল্যান্ড মারা যান- ১৮ মে ২০০১ সালে

প্রথম পাক বর্বরতার খবর বহির্বিশ্বে প্রকাশ করেন- বিদেশি সাংবাদিক সাইমন ড্রিং

মুক্তিযুদ্ধে মারা যাওয়া বিদেশি- ফাদার মারিও ভেরেনজি (ইতালি)

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন- ফরাসি সাহিত্যিক আদ্রেঁ মায়ারা

১৯৭১ সালে অনুষ্ঠিত ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এর প্রধান শিল্পী- জর্জ হ্যারিসন (ইংল্যান্ড/বৃটেন)

কনসার্ট ফর বাংলাদেশ আয়োজন করেন- জর্জ হ্যারিসন (USA) ও পণ্ডিত রবিশংকর (ভারত)

কনসার্ট ফর বাংলাদেশ আয়োজনে সহায়তা করে- ফোবানা

কনাসর্ট ফর বাংলাদেশ আয়োজিত হয়- আগস্ট ১৯৭১

কনাসর্ট ফর বাংলাদেশ আয়োজিত হয়- নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ারে

কনসার্ট ফর বাংলাদেশে অংশ নেয়া উল্লেখযোগ্য শিল্পী- পণ্ডিত রবিশংকর (সেতার), ওস্তাদ আলী আকবর  খাঁ (সরোদ), আল্লারা খাঁ (তবলা), কমলা চক্রবর্তী (তানপুরা); জর্জ হ্যারিসন, এরিক ক্ল্যাপটন, বব ডিলান, রিঙ্গো স্টার, লিওন রাসেল, বিলি প্রিস্টন, প্রমুখ

জর্জ হ্যারিসনের ব্যান্ডের নাম- বিটলস (ইংল্যান্ড/ বৃটিশ ব্যান্ড)

‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ রচনা করেছেন- কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ

অর্থ সংগ্রহের জন্য কবিতা পাঠের আয়োজন করেন- অ্যালেন গিন্সবার্গ (আমেরিকা) ও ইয়েভগেনি ইয়েভ তুসোস্কোর (রাশিয়া)

স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশসমূহঃ

বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ- ভারত

বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম আরব দেশ- ইরাক

বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম সমাজতান্ত্রিক দেশ- পোল্যান্ড

বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম ইউরোপীয় দেশ- পোল্যান্ড

বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম অনারব মুসলিম দেশ- মালয়েশিয়া

বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম আফ্রিকান দেশ- সেনেগাল

বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম ওশেনিয়ান (অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের) দেশ- টোঙ্গা

বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী দ্বিতীয় দেশ- ভূটান

মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়- ১৯৭২ সালে

পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়- ১৯৭৮ সালে

পাকবাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে- ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১

মুক্তিযোদ্ধা দিবস- ডিসেম্বর

মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর- ঢাকার সেগুনবাগিচায়

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রতিষ্ঠা করেন- শেখ মুজিবুর রহমান

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পত্রিকা- মুক্তিবার্তা (সাপ্তাহিক)

মুক্তিযুদ্ধপূর্ব, ভাষা আন্দোলনভিত্তিক চলচ্চিত্রঃ

জীবন থেকে নেয়া-জহির রায়হান

Let their be light (documentary)-জহির রায়হান

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (feature film)

ওরা ১১ জন-চাষী নজরুল ইসলাম

অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী-সুভাষ দত্ত

আবার তোরা মানুষ হ-খান আতাউর রহমান

ধীরে বহে মেঘনা-আলমগীর কবির

আলোর মিছিল-নরায়ণ ঘোষ মিতা

সংগ্রাম-চাষী নজরুল ইসলাম

আগুনের পরশমণি-হুমায়ুন আহমেদ

এখনও অনেক রাত-খান আতাউর রহমান

হাঙ্গর নদী গ্রেনেড-চাষী নজরুল ইসলাম

আমার বন্ধু রাশেদ-মোরশেদুল ইসলাম (২০১১)

গেরিলা-নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু (২০১১)

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (short film)

একাত্তরের যীশু-নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু

নদীর নাম মধুমতী-তানভীর মোকাম্মেল

হুলিয়া-তানভীর মোকাম্মেল

পতাকা-এনায়েত করিম বাবুল

আগামী-মোরশেদুল ইসলাম

দুরন্ত-খান আখতার হোসেন

ধূসর যাত্রা-সুমন আহমেদ

আমরা তোমাদের ভুলব না-হারুনুর রশীদ

শরৎ একাত্তর-মোরশেদুল ইসলাম

নরসুন্দর-তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র (documentary)

Stop Genocide-জহির রায়হান

A State is Born-জহির রায়হান

মুক্তির গান-তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ

মুক্তির কথা-তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ

স্মৃতি ’৭১-তানভীর মোকাম্মেল

মুক্তিযু্দ্ধভিত্তিক গ্রন্থ ও উপন্যাস

মুক্তিযু্দ্ধভিত্তিক গ্রন্থঃ

বাংলাদেশ কথা কয়-আবদুল গাফফার চৌধুরী

বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ-রামেন্দু মজুমদার

একাত্তরের রণাঙ্গন-শামসুল হুদা চৌধুরী

একাত্তরের যীশু-শাহরিয়ার কবির

একাত্তরের ঢাকা-সেলিনা হোসেন

একাত্তরের ডায়েরি-জাহানারা ইমাম

একাত্তরের বর্ণমালা-এম আর আখতার মুকুল

আমি বিজয় দেখেছি-এম আর আখতার মুকুল

বিজয় ৭১-এম আর আখতার মুকুল

আমি বীরাঙ্গনা বলছি-নীলিমা ইব্রাহিম

আমার কিছু কথা-শেখ মুজিবুর রহমান

বঙ্গবন্ধু হত্যার দলিলপত্র-অধ্যাপক আবু সাইয়ীদ

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংকলন-হাসান হাফিজুর রহমান

সেই সব দিন-মুনতাসির মামুন

ঢাকার কথা-মুনতাসির মামুন

দ্য লিবারেশন অব বাংলাদেশ-সুখবন্ত সিং

দ্য রেপ অব বাংলাদেশ-রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী

এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম-গাজীউল হক

ফেরারী সূর্য-রাবেয়া খাতুন

লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে-মেজর রফিকুল ইসলাম

মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর-ড. আনিসুজ্জামান

আমার একাত্তর-আনিসুজ্জামান

দুইশত ছেষট্টি দিনে স্বাধীনতা-মোহাম্মদ নুরুল কাদির

স্মৃতি শহর-শামসুর রাহমান

মুক্তিযু্দ্ধভিত্তিক উপন্যাসঃ

রাইফেল রোটি আওরাত-আনোয়ার পাশা (মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে লেখা একমাত্র উপন্যাস)

আগুনের পরশমণি-হুমায়ুন আহমেদ

জাহান্নাম হইতে বিদায়-শওকত ওসমান

জন্ম যদি তব বঙ্গে-শওকত ওসমান

দুই সৈনিক-শওকত ওসমান

নেকড়ে অরণ্য-শওকত ওসমান

নিষিদ্ধ লোবান-সৈয়দ শামসুল হক

নীল দংশন-সৈয়দ শামসুল হক

খাঁচায়-রশীদ হায়দার

দেয়াল-আবু জাফর শামসুদ্দীন

বিধ্বস্ত রোদের ঢেউ-সরদার জয়েন উদ্দীন

হাঙ্গর নদী গ্রেনেড-সেলিনা হোসেন

কাঁটাতারে প্রজাপতি-সেলিনা হোসেন

নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি-সেলিনা হোসেন

উপমহাদেশ-আল  মাহমুদ

সম্প্রতি (২০১২ সালের ২৭ মার্চ) বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য স্বাধীনতা সম্মাননা দিয়েছে- ১২৯ জন বিদেশি নাগরিক ও সংগঠনকে

মোট- ২৬টি দেশের নাগরিকদের স্বাধীনতা সম্মাননা দেয়া হয়েছে

মুক্তিযু্দ্ধভিত্তিক উপন্যাসঃ

রাইফেল রোটি আওরাত-আনোয়ার পাশা (মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে লেখা একমাত্র উপন্যাস)

আগুনের পরশমণি-হুমায়ুন আহমেদ

জাহান্নাম হইতে বিদায়-শওকত ওসমান

জন্ম যদি তব বঙ্গে-শওকত ওসমান

দুই সৈনিক-শওকত ওসমান

নেকড়ে অরণ্য-শওকত ওসমান

নিষিদ্ধ লোবান-সৈয়দ শামসুল হক

নীল দংশন-সৈয়দ শামসুল হক

খাঁচায়-রশীদ হায়দার

দেয়াল-আবু জাফর শামসুদ্দীন

বিধ্বস্ত রোদের ঢেউ-সরদার জয়েন উদ্দীন

হাঙ্গর নদী গ্রেনেড-সেলিনা হোসেন

কাঁটাতারে প্রজাপতি-সেলিনা হোসেন

নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি-সেলিনা হোসেন

উপমহাদেশ-আল  মাহমুদ

সম্প্রতি (২০১২ সালের ২৭ মার্চ) বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য স্বাধীনতা সম্মাননা দিয়েছে- ১২৯ জন বিদেশি নাগরিক ও সংগঠনকে

মোট- ২৬টি দেশের নাগরিকদের স্বাধীনতা সম্মাননা দেয়া হয়েছে

লাহোর প্রস্তাবঃ

উত্থাপনঃ ২৩ মার্চ, ১৯৪০.

উত্থাপকঃ শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক।

স্থানঃ লাহোরে মুসলিম লীগের বৈঠক।

দফাঃ ৪ টি।

১. ভৌগলিক দিক থেকে স্বতন্ত্র রাষ্ট্রগঠন,

২. মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠতারভিত্তিতে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠন,

৩. রাজ্যগুলো স্বায়ত্বশাসিত হবে,

৪. সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার বিধান।

দেশ বিভাগঃ

পাকিস্তান স্বাধীনতা পায়ঃ ১৪ আগষ্ট, ১৯৪৭

গভর্ণর জেনারেলঃ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

ভারত স্বাধীনতা পায়ঃ ১৫ আগষ্ট, ১৯৪৭

গভর্ণর জেনারেলঃ লর্ড মাউন্টব্যাটেন।

আমাদের স্মৃতিসৌধের ৭টি ফলক_

(১) ভাষা আন্দোলন

(২) ১৯৫৪ সালের নির্বাচন

(৩) ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন

(৪) শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬২

(৫) ৬ দফা, ১৯৬৬

(৬) গণ অভ্যুত্থান, ১৯৬৯

(৭) মুক্তিযুদ্ধ

() ভাষা আন্দোলনঃ

দেশ ভাগের সময় বাংলা ভাষাভাষীর শতকরা হারঃ বাংলা- ৫৪.৬%, পাঞ্জাবী-২৭.১%,পশতু- ৬.১%, উর্দূ-৬%, সিন্ধী- ৪.৮%,ইংরেজী-১.৪%।

সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭: তমুদ্দুন মজলিশ গঠন করা হয়। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এটাই সর্বপ্রথম সংগঠন।

তমুদ্দুন মজলিশ এর সদস্যঃ ৩;

সংগঠকঃ অধ্যাপক আবুল কাশেম(ঢাঃ বিঃ)।

বাকী সদস্যঃ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শামসুল আলম।

১৯৪৭ সালে করাচীতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্মেলনে উর্দূকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাবনার প্রতিবাদে জানুয়ারী,১৯৪৮; ঢাকায় গঠিত হয়

রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’-

পরিষদের দাবী ছিলঃ

১. বাংলা হবে শিক্ষার বাহন ও অফিস আদালতের মাধ্যম,

২. পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে বাংলা ও উর্দূ

২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৪৮: পাকিস্তান প্রথম গণ-পরিষদের প্রথম অধিবেশনে ’ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত’ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবী প্রথম উত্থাপন করেন। পাকিস্তানের প্রথম প্রধান মন্ত্রী লিয়াকত আলী খান এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।

২৬ ফেব্রুয়ারী, ১৯৪৮: ধর্মঘট পালিত হয় পূর্ব বাংলায় এবং অব্যহত থাকে ১৫ মার্চ, ১৯৪৮ পর্যন্ত। পূর্ব বাংলার তৎকালীন মূখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন দাবি সমর্থনের আশ্বাস দেন।

২১ মার্চ, ১৯৪৮: রেসকোর্স ময়দানে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন- ’উর্দূই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’।

২৪ মার্চ, ১৯৪৮: কার্জন হলে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন- ’উর্দূই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’। ১৯৫০ সালে লিয়াকত আলী খানও একই ঘোষণা দেন।

২৬ জানুয়ারী, ১৯৫২: পাকিস্তানের নব নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ঘোষণা দেন- ’উর্দূই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’।

৩১ জানুয়ারী, ১৯৫২: ঢাকায় ধর্মঘটপালিত হয় এবং এদিনই ’সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি’ গঠন করা হয়। কমিটির বৈঠকে ২১ফেব্রুয়ারীকে ভাষাদিবস ঘোষণা করে, ২১ ফেব্রুয়ারী , ১৯৫২;হরতাল আহবান করা হয়।

২১ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২: পূর্ব বাংলার গভর্ণর নূরুল আমিন, ২১ ফেব্রুয়ারীর কর্মসূচী নষ্ট করার জন্য ওইদিন ১৪৪ ধারা জারী করে।

ভাষা আন্দোলনকারীরা ১৪৪ ধারা অমান্য করে মিছিল শুরু করে। তখন মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, বরকত শফিক সহ অনেকে শহীদ হন এবং প্রচুর আন্দোলনকারী আহত হন। আন্দোলন অব্যহত থাকে। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার সিদ্ধান্ত পিছিয়ে যায়।

২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২: প্রথম শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন শহীদ শফিউরের পিতা- মৌলভী মাহবুবুর রহমান।

যুক্তফ্রন্ট গঠনঃ 

৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৩।

প্রধান সংগঠকঃ মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী,

শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক,

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।

১৪ অক্টোবর, ১৯৫৪: ১৯৪৮ সালে গঠিত গণ পরিষদ বাতিল হয়।

() ১৯৫৪ সালের নির্বাচনঃ

যুক্তফ্রন্ট গঠিত হবার পর ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে- যার প্রথম দফা ছিল বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা।

নির্বাচনের আসন সংখ্যাঃ ৩০৯

(স্পিকার সহ ৩১০)

মুসলিম আসনঃ ২৩৭

যুক্তফ্রন্ট জয়ী হয়ঃ ২২৩ টি আসনে।

এপ্রিল, ১৯৫৪: যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন করে।

পূর্ব বাংলার মূখ্যমন্ত্রী হন শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক।

৩০ মে, ১৯৫৪: কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তফ্রন্ট সরকার বাতিল করে।

২৯ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫৬: পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র (দ্বিতীয় গণ পরিষদ কর্তৃক) গৃহীত হয়।

২৩ মার্চ, ১৯৫৬:

১. পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র কার্যকর হয়,

২. পূর্ব বাংলার নাম রাখা হয় পূর্ব পাকিস্তান,

৩.বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় শাসনতন্ত্রের ২১৪ নং অনুচ্ছেদে।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৬৮:

জানুয়ারী, ১৯৬৮: আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের।

১৮ জানুয়ারী, ১৯৬৮: শেখ মুজিব গ্রেফতার।

মামলার অভিযোগঃ আগরতলায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রয়োজনে ভারতের সহযোগিতার পরিকল্পণা করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহীতার কারণ দেখিয়ে মামলা দায়ের করা হয়। আগরতলা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেনঃ শেখ মুজিবর রহমান,আলী রেজা, ভারতের ইন্টার ইন্টেলিজেন্স বিভাগের ব্রিগেডিয়ার মেনন।

মামলার আসামীঃ ৩৫ জন।

ষড়যন্ত্র ফাঁস করেনঃ আমির হোসেন

মামলার বিশেষ আদালতেরবিচারপতিঃ এস. এ. রহমান

শেখ মুজিবের পরে আইনজীবিঃ শহীদ ময়েজ উদ্দিন।

() গণ অভ্যুত্থান, ১৯৬৯:

৫ জানুয়ারী, ১৯৬৯: ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন।

২১ দফার সাথে ৬ দফা মিলিয়ে ১১ দফা এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বাতিল করে শেখ মুজিব সহ ৩৫ জন আসামীর মুক্তির দাবীতে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এর নেতৃত্বে গণ অভ্যুত্থান শুরু হয়।

৮ জানুয়ারী, ১৯৬৯: গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ গঠন।

১৮ জানুয়ারী, ১৯৬৯: চূড়ান্ত বিক্ষোভ শুরু।

২০ জানুয়ারী, ১৯৬৯:

১. এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারী,

২. বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণ,

৩. গুলিতে আসাদ শহীদ হন।

২৪ জানুয়ারী, ১৯৬৯: নবকুমার ইনস্টিউটের দশম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর শহীদ হন।

১৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী সার্জেন্ট জহুরুল হক-কে ক্যান্টনমেন্টের ভেতর গুলি করে হত্যা করা হয়।

১৮ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রক্টর শামসুজ্জোহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

২২ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: গণঅভ্যুত্থানের মুখে আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করে শেখ মুজিবকে মুক্তি দেয়া হয়।

২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেন তোফায়েল আহমেদ।

২০ মার্চ, ১৯৬৯: গভর্ণর মোনায়েম খানের অপসারণ

২৫ মার্চ, ১৯৬৯: আইয়ুব খানের পদত্যাগ ও জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর। 

ডিসেম্বর, ১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের নামকরণ করেন ’বাংলাদেশ’।

১৯৭০ সালের নির্বাচনঃ

৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০: জাতীয় পরিষদের নির্বাচন।

১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০: প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন।

নির্বাচনের বিবৃতিঃ

জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯ টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পায় ১৬৭ টি আসন।

প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ৩১৩ টি আসনের (১৩ টি মহিলা আসন) মধ্যে আওয়ামী লীগ পায় ২৮৮ টি আসন।

() ১৯৭১ সালঃ

————–

জানুয়ারি

• ০৪: আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত এমএনএ এবং এমপিএবৃন্দ রেসকোর্স ময়দানে জনতার সামনে শপথ গ্রহণ করেন। এসময় শেখ মুজিবুর রহমান বলেন যে ৬-দফা ও ১১-দফা প্রশ্নে কোন আপোস হবেনা তবে পশ্চিম পাকিস্তানী নেতৃবৃন্দের সাহায্য চাওয়া হবে।

• ১৫: ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস পালনের জন্য পূর্ব বাংলা বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন ঐদিন পূর্ণ দিবস হরতাল পালনের আহবান করে।

• ৩১: আওয়ামী লীগের সাথে ৩ দিনের আলোচনা শেষে জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকায় পাকিস্তান টাইম্‌স-কে দেয় এক বিবৃতিতে বলেন যে দু’দলের আলোচনা সাপেক্ষে একটি গ্রহণযোগ্য সংবিধান প্রণয়ন করা হবে।

ফেব্রুয়ারি

• ০৫: লাহোরে ভারতীয় বিমান অপহরণ এবং ধ্বংসের প্রেক্ষাপটে শেখ মুজিব বিবৃতি দেন যে অচিরেই এর সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

• ০৯: জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বানে বিলম্ব হওয়ায় শেখ মুজিব বলেন যে, এটি নিজেদের সরকার থেকে তার জনগণকে বঞ্চিত করার আরেকটি ষড়যন্ত্র।

• ১৪: রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন।

• ১৫: ভুট্টো বলেন যে, তার দল পাকিস্তান পিপ্‌লস পার্টি জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করবেনা। তবে তিনি একটি শর্তারোপ করেন। শেখ মুজিব এই সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্রবিরোধী আখ্যা দেন।

• ১৬: পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি নুরুল আমিন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সকলকে জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।

• ২১: বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন এবং বাংলা ছাত্রলীগ ভাষা দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে বিশেষ বিবৃতি দেয়। বাংলা ছাত্রলীগ বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করে। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন তার ১৪-দফা দাবী পেশ করে।

• ২৫: তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিবেচনা করে পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি একটি বিশেষ প্রস্তাব করে।

• ২৮: শেখ মুজিব ভুট্টোকে অধিবেশনে যোগদানের আহ্বান জানান এবং বলেন যে ৬-দফা কারো উপর চাপিয়ে দেয়া হবেনা।

মার্চ

• ০১: রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। সমগ্র বাংলাদেশে এই ঘোষণার বিরুদ্ধে বিবৃতি প্রচারিত হয়।

• ০২: পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র ধর্মঘট পালিত হয় এবং শেখ মুজিবের নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।

• ০৬: লেঃ জেঃ টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর নিয়োগ করা হয়।

• ০৭: 

ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ভাষণ দেন যা ৭ই মার্চের ভাষণ নামে খ্যাত।

 কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের পূর্ব বাংলা সমন্বয় কমিটি গেরিলা যুদ্ধের আহ্বান করে।

• ০৮: 

-শেখ মুজিবুর রহমান ১০-দফা দাবী পেশ করেন।

-গেরিলা যুদ্ধের নিয়ম সংক্রান্ত একটি বেনামী লিফলেট প্রচারিত হয়।

– পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৪-দফা দাবী পেশ করা হয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনের আহ্বান জানানো হয়।

• ০৯: 

– মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এক জনসভায় বলেন, “পূর্ব পাকিস্তানের আজাদী রক্ষা ও মুক্তি সংগ্রামে ঝাপাইয়া পড়ুন”।তিনি তার ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি নিয়ে শেখ মুজিবের সাথে আন্দোলন করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।

-টিক্কা খান পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

• ১৪: ভুট্টো দুই সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান।

• ১৭: মুজিব-ইয়াহিয়া দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে শেখ মুজিব বলেন যে, আন্দোলন চলবে।

• ১৯: জয়দেবপুরের রাজবাড়িতে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি ব্যাটালিয়নকে নীরস্ত্র করার পশ্চিম পাকিস্তানী প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দেয় বাঙালি সৈন্যরা।

• ২০: উপদেষ্টাসহ মুজিব-ইয়াহিয়া চতুর্থ দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

• ২১: ইয়াহিয়ার সাথে আলোচনার উদ্দেশ্যে ভুট্টো ঢাকায় আসেন।

• ২২: ইয়াহিয় ২৫ মার্চ আহূত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন।

• ২৩: পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন পতাকা উত্তোলন করা হয়। এই দিনটি বাংলাদেশে জাতীয় পতাকা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

• ২৫: পাকিস্তান সেনাবাহিনী রাতের অন্ধকারে সমগ্র ঘুমন্ত ও নীরস্ত্র বাঙালিদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে ব্যাপক গণহত্যা চালায় যা অপারেশন সার্চলাইট হিসেবে পরিচিত।

• ২৬: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হতে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়।

• ২৭: কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

• ৩০: পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের গণহত্যা রোধে এগিয়ে আসার জন্য জাতিসংঘ এ বৃহৎ শক্তিবর্গের প্রতি মেজর জিয়াউর রহমান আহ্বান জানান।

• ৩১: কুষ্টিয়া প্রতিরোধ শুরু।

এপ্রিল

• এপ্রিল ২: জিঞ্জিরা গণহত্যা.

• এপ্রিল ৬: ব্লাড টেলিগ্রাম

• এপ্রিল ১১: নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের রেডিও ভাষণ।

• এপ্রিল ১০: মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়।

• এপ্রিল ১২: এম এ জি ওসমানী মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হন .

• এপ্রিল ১৭: অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে বৈদ্যনাথতলায় (যা এখন মুজিবনগর নামে পরিচিত) ।

• এপ্রিল ১৮: দরুইনের যুদ্ধে সিপাহী মোস্তফা কামাল ও রাঙ্গামাটি-মহালছড়ির যুদ্ধে ল্যান্স নায়েক মুন্সী আবদুর রউফ শহীদ হন।

• এপ্রিল ২৪: অনাবাসী বাংলাদেশীরা যুক্তরাজ্যের কভেন্ট্রি-তে বাংলাদেশ একশন কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন।

• এপ্রিল ২৮: বিশ্ববাসীর কাছে তাজউদ্দিনের অস্ত্র সাহায্য প্রার্থনা

মে

• মে ৫: গোপালপুর গণহত্যা

• মে ১৫: মুক্তিবাহিনীর সাথে ভারতীয় বাহিনীর সহযোগিতা শুরু।

• মে ২০: খুলনায় চুকনগর গণহত্যা সংঘটিত হয়, যেখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রায় ১০ হাজার মানুষকে হত্যা করে।

• মে ২৪: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র কলকাতায় কাজ শুরু করে।

জুলাই

• জুলাই ১১-১৭: সেক্টর কমান্ডার সম্মেলন, ১৯৭১.

অগাস্ট

• অগাস্ট ১: নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়্যার গার্ডেনে The Concert for Bangladesh, George Harrison এবং তাঁর বন্ধুদের অংশগ্রহণে।

• অগাস্ট ১৬: অপারেশন জ্যাকপট, বাংলাদেশি নৌ-কমান্ডো অভিযানে পাকিস্তানি জাহাজ ধ্বংস।

• অগাস্ট ২০: ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান (সামরিক বিমানচালক)’ একটি যুদ্ধবিমান দখল করে পাকিস্তান ত্যাগের ব্যর্থ চেষ্টা করেন।.

• অগাস্ট ৩০: ঢাকা গেরিলাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর অভিযান।.

সেপ্টেম্বর

• সেপ্টেম্বর ৫: গোয়াহাটির যুদ্ধে নূর মোহাম্মদ শেখ শহীদ হন।

• সেপ্টেম্বর ২৮: বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পত্তন।

অক্টোবর

• অক্টোবর ১৩: ঢাকার গেরালা যোদ্ধারা পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর আব্দুল মোনেম খানকে হত্যা করেন.

• অক্টোবর ২৮: ধলাই সীমান্তফাঁড়ির যুদ্ধ, শ্রীমঙ্গল।

• অক্টোবর ৩১ নভেম্বর ৩: ধলাইয়ের যুদ্ধ: পাকিস্তানের সীমান্ত হতে শেলিং বন্ধ করতে ত্রিপুরা হতে পূর্ব পাকিস্তানে ভারতের আক্রমণ।

নভেম্বর

• নভেম্বর ৯:ছয়টি ছোট যুদ্ধ জাহাজের সমন্বয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রথম যুদ্ধবহর যাত্রা শুরু করে .

• নভেম্বর ১৬: আজমিরিগঞ্জ যুদ্ধ, মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে ১৮ ঘণ্টাব্যাপী যুদ্ধ। খ্যাতনামা মুক্তিযোদ্ধা জগজ্জ্যোতি দাস এ যুদ্ধে শহীদ হন।

• নভেম্বর ২০ থেকে নভেম্বর ২১: গরীবপুরের যুদ্ধ: [বয়রা]]য় ভারতীয় হামলা বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে

• নভেম্বর ২১: মিত্রবাহিনী, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বাহিনী গঠিত হয়।

• নভেম্বর ২২ – ডিসেম্বর ১৩, খণ্ড খণ্ড যুদ্ধ

• ডিসেম্বর ১৬: হিলি যুদ্ধ: বগুড়ায় মিত্রবাহিনীর হামলা।

ডিসেম্বর

• ডিসেম্বর ৩: ভারতের ওপর পাকিস্তানের বিমান হামলা যার ফলে ভারত পাকিস্তানের ওপর যুদ্ধ ঘোষণা করে।

• ডিসেম্বর ৪ to ডিসেম্বর ৬: বসন্তরের যুদ্ধ: ভারত জয়সলমিরে পাকিস্তানের হামলা প্রতিরোধ করে।

• Dec ৫ to Dec ৬: Battle of Longewala: Indians attack and take over Pakistani territory opposite Jammu

• ডিসেম্বর ৪ Operation Trident (Indo-Pakistani War): Indian naval attack on Karachi

• ডিসেম্বর ৬: India becomes the first country to recognize Bangladesh. Swadhin Bangla Betar Kendra becomes Bangladesh Betar.

• ডিসেম্বর ৭: যশোর, সিলেট ও মৌলভী বাজার মুক্ত হয়।

• ডিসেম্বর ৮ night: অপারেশন পাইথন: করাচীতে ভারতীয় নৌবাহিনীর আক্রমণ।

• ডিসেম্বর ৯: কুষ্টিয়ার যুদ্ধ: Indian attack from West Bengal into East Pakistan.

Chandpur and Daudkandi liberated.

• ডিসেম্বর ১০: Liberation of Laksham. Two Bangladeshi ships sunk mistakenly by Indian air attack.

• ডিসেম্বর ১১: Liberation of Hilli, Mymenshingh, Kushtia and Noakhali. USS Enterprise is deployed by the USA in the Bay of Bengal to intimidate Indian Navy.

• ডিসেম্বর ১৩: Soviet Navy deploys a group of ship to counter USS Enterprise.

• ডিসেম্বর ১৪: Selective genocide of nationalist intellectuals. Liberation of Bogra.

• ডিসেম্বর ১৬: Pakistan Army surrenders to Mitro Bahini represented by Jagjit Singh Aurora of the Indian Army faction of the military coalition.

Freedom of Bangladeshi people.

• ডিসেম্বর ২২: প্রবাসী অস্থায়ী সরকারের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।

সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী || মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা

মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button