১০ম থেকে ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্টের সকল বিজ্ঞান প্রশ্ন ও সমাধান একসাথে
১০ম থেকে ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্টের সকল বিজ্ঞান প্রশ্ন
বিসিএস পরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সাধারণ বিজ্ঞান। সাধারণ বিজ্ঞান থেকে প্রতিটি বিসিএস ১০ থেকে ১৫ নম্বর এসে থাকে। বিগত ১০ম থেকে ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্টের সকল সাধারণ বিজ্ঞান প্রশ্ন ও সমাধান একসাথে ধাপে ধাপে প্রদান করা হলো 10th-40th BCS MCQ Full Question Solution. আপনাদের বোঝার সুবিধাথের্ ব্যাখ্যা সহ প্রদান করা হলো। আশাকরি উপকৃত হবেন।
৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট
১। সমবৃষ্টিপাত সম্পন্ন স্থানসমূহকে যোগকারী রেখাকে বলা হয়-
(ক) আইসোথার্ম
(খ) আইসোবার
(গ) আইসোহাইট
(ঘ) আইসোহেলাইন
উত্তরঃ (গ) আইসোহাইট।
ব্যাখ্যাঃ সমবৃষ্টিপাত সম্পন্ন স্থানসমূহকে যোগকারী রেখাকে আইসোহাইট (Isohyet) বা সমবর্ষণ রেখা বলে। সমবায়ুমণ্ডলীয় চাপ সম্পন্ন স্থান সমূহকে যোগ করতে ব্যবহৃত রেখার নাম আইসোবার এবং সমতাপ সম্পন্ন স্থান সমূহকে যোগ করতে ব্যবহৃত হয় আইসোথার্ম। অন্যদিক সমুদ্রের বিভিন্ন স্থানের সম লবণাক্ততা নির্দেশ করতে মানচিত্রে ব্যবহৃত রেখার নাম আইসোহেলাইন।
২। 1735Cl মৌলের নিউট্রন সংখ্যা কত?
(ক) 17
(খ) 18
(গ) 35
(ঘ) 70
উত্তরঃ (খ) 18।
ব্যাখ্যাঃ কোনো পরমাণুতে উপস্থিত প্রোটন সংখ্যা (Z) ও নিউটন সংখ্যার (n) যোগফলকে ঐ পরমাণুর ভরসংখ্যা (A) বলে। যেহেতু ভরসংখ্যা হলো প্রোটন সংখ্যা ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফল, কাজেই ভরসংখ্যা থেকে প্রোটন সংখ্যা বিয়োগ করলে নিউট্রন সংখ্যা পাওয়া যায়। প্রশ্নানুযায়ী ক্লোরিনের (Cl) ভরসংখ্যা হলো 35, এর প্রোটন সংখ্যা 17, ফলে এর টিউট্রন সংখ্যা হচ্ছে A-Z = 35-17= 18।
৩। কোনো কঠিন পদার্থ বিশুদ্ধ নাকি অবিশুদ্ধ তা কিসের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়?
(ক) ঘনীভবন (খ) বাষ্পীভবন
(গ) গলনাঙ্ক (ঘ) স্ফুটনাঙ্ক
উত্তরঃ (গ) গলনাঙ্ক।
ব্যাখ্যাঃ কঠিন যৌগের বিশুদ্ধতার মানদণ্ড হলো স্থির গলনাঙ্ক, স্থির প্রতিসরাঙ্ক, স্ফটিকাকৃতি ও আপেক্ষিক গুরুত্বের নির্দিষ্ট মান। তরল যৌগের বিশুদ্ধতার মানদণ্ড হলো স্থির স্ফুটনাঙ্ক, স্থির প্রতিসরাঙ্ক ও ঘনত্বের নির্দিষ্ট মান।
৪। অ্যানোডে কোন বিক্রিয়া সম্পন্ন হয়?
(ক) জারণ (খ) বিজারণ
(গ) প্রশমন (ঘ) পানিযোজন
উত্তরঃ (ক) জারণ।
ব্যাখ্যাঃ তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ ও তড়িৎ রাসায়নিক কোষে যেসব পদার্থ তড়িৎ পরিবহন করে তাদেরকে তড়িৎদ্বার বলে। তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ ও তড়িৎ রাসায়নিক কোষের গঠনে দুই ধরনের তড়িৎদ্বার দেখা যায়- একটি অ্যানোড ও অপরটি ক্যাথোড। যে তড়িৎদ্বারে জারণ বিক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাকে অ্যানোড এবং যে তড়িৎদ্বারে বিজারণ বিক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাকে ক্যাথোড বলে।
৫। একটি বাল্বে ‘60 W-220 V’ লেখা আছে। বাল্বটির রোধ কত ওহম (Ohm)?
(ক) 16.36 (খ) 160
(গ) 280 (ঘ) 806.67
উত্তরঃ (ঘ) 806.67।
.
৬। নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস-
(ক) তেল (খ) গ্যাস
(গ) কয়লা (ঘ) বায়োগ্যাস
উত্তরঃ (ঘ) বায়োগ্যাস।
ব্যাখ্যাঃ যেসব জ্বালানি নানা প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া যায়, যেগুলোর মজুদ ভবিষ্যতে কখনো শেষ হবে না অর্থাৎ বারবার ব্যবহার করা যায় তাদেরকে নাবায়নযোগ্য জ্বালানি বলে। সূর্যরশ্মি, বায়োগ্যাস, পরমাণু শক্তি ইত্যাদি নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস। স্থিতিশীল টেকসই উন্নয়নের প্রথম শর্ত দূষণহীন বিকল্প শক্তির উৎসের সন্ধান করা।
৭। কার্বোহাইড্রোডে C, Hএবং O – এর অনুপাত কত?
(ক) ১ : ১ : ২ (খ) ১ : ২: ১
(গ) ১ : ৩ : ২ (ঘ) ১ : ৩ : ১
উত্তরঃ (খ) ১: ২: ১।
ব্যাখ্যাঃ কার্বোহাইড্রেট হলো কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত এক প্রকার জৈব রাসায়নিক পদার্থ। এতে
ও O –এর অনুপাত যথাক্রমে ১ : ২ : ১। কার্বোহাইড্রেট জীবদেহের শক্তির প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে।
৮। বিদ্যুৎ শক্তিকে শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয় কোন যন্ত্রের মাধ্যমে-
(ক) লাউড স্পিকার (খ) অ্যামপ্লিফায়ার
(গ) জেনারেটর (ঘ) মাল্টিমিটার
উত্তরঃ (ক) লাউড স্পিকার।
ব্যাখ্যাঃ স্পিকার মাইক্রোফোনের ঠিক বিপরীত কাজ করে অর্থাৎ বিদ্যুৎ শক্তিকে শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত করে। যখন শব্দ থেকে তৈরি বৈদ্যুতিক সিগন্যালকে অ্যামপ্লিফায়ার দিয়ে বিবর্ধিত করে স্পিকারে পাঠানো হয় তখন কাগজ বা হালকা ধাতুর তৈরি শঙ্কু বা কোনটি সামনে-পেছনে কম্পিত হয়ে যথাযথ শব্দ তৈরি করে।
৯। বাতাসের আর্দ্রতা মাপার যন্ত্রের নাম কি?
(ক) মাইক্রোমিটার (খ) হাইগ্রোমিটার
(গ) ব্যারোমিটার (ঘ) গ্রাভিমিটার
উত্তরঃ (খ) হোইগ্রোমিটার।
ব্যাখ্যাঃ বাতাসের আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র হলো হাইগ্রোমিটার। ব্যারোমিটারের সাহায্যে বায়ুমণ্ডলের চাপ নির্ণয় করা যায়।
১০। কোথায় সাঁতার কাটা সহজ?
(ক) পুকুরে (খ) খালে
(গ) নদীতে (ঘ) সাগরে
উত্তরঃ (ঘ) সাগরে।
ব্যাখ্যাঃ যে পানির ঘনত্ব বেশি সে পানিতে সাঁতার কাটা সহজ। সমুদ্রের পানিতে ২.৫% থেকে ৩.৫% লবণ দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে যার ফলে পুকুর, নদী বা বিলের পানির চেয়ে সমুদ্রের পানির ঘনত্ব বেশি। তাই সমুদ্রের পানিতে সাঁতার কাটা সহজ হয়।
১১। ডিমে কোন ভিটামিন নেই?
(ক) ভিটামিন-এ (খ) ভিটামিন-বি
(গ) ভিটামিন-সি (ঘ) ভিটামিন-ডি
উত্তরঃ (গ) ভিটামিন-সি।
ব্যাখ্যাঃ ডিমে ভিটামিন সি নেই। ডিমের মধ্যে ভিটামিন- A, B, D ও E বিদ্যমান রয়েছে। ভিটামিন-সি রয়েছে টাটকা টক জাতীয় ফল ও তরিতরকারি যেমন- কমলালেবু, বাতাবিলেবু, পাতিলেবু, আনারস, আঙ্গুর, আম, জাম, আমলকি, টমেটো, শাক, বরবটি প্রভৃতিতে।
১২। কোনটির জন্য পুষ্প রঙ্গিন ও সুন্দর হয়?
(ক) ক্রোমোপ্লাস্ট (খ) ক্লোরোপ্লাস্ট
(গ) ক্রোমোটোপ্লাস্ট (ঘ) লিউকোপ্লাস্ট
উত্তরঃ (ক) ক্রোমোপ্লাস্ট।
ব্যাখ্যাঃ রঙিন (সবুজ ছাড়া) প্লাস্টিডকে ক্রোমোপ্লাস্ট বলে। ক্যারোটিন (কমলা-লাল) এবং জ্যান্থোফিল (হলুদ) পিগমেন্টের জন্যে এরা রঙিন হয়। উদ্ভিদের যেসব অঙ্গ বর্ণময় সেসব অঙ্গে ক্রোমোপ্লাস্ট থাকে। ক্রোমোপ্লাস্টের উপস্থিতির জন্য পুষ্প, পাতা, ফল ও বীজ সুন্দর হয়। তাই কীটপতঙ্গ আকৃষ্ট হয়ে পরাগায়নে সাহায্য করে। রঙের কারণে ফল এবং বীজের বিস্তারেও এদের ভূমিকা রয়েছে।
১৩। সোডিয়াম এসিটেটের সংকেত-
ব্যাখ্যাঃ সোডিয়াম এসিটেটকে সোডিয়াম ইথানয়েটও বলা হয়। এর সংকেত হলো CH3 COONa । ইথানয়িক এসিড সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের জলীয় দ্রবণের সাথে বিক্রিয়া করে সোডিয়াম এসিটেট লবণ ও পানি উৎপন্ন করে। NaOH→CH3 COONa+H2 O ।
ইথানয়িক এসিড সোডিয়াম সোডিয়াম পানি
হাইড্রোক্সাইড এসিটেট
১৪। ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত গামা বিকিরণের উৎস কি?
(ক) আইসোটোন (খ) আইসোটোপ
(গ) আইসোবার (ঘ) আইসোমার
উত্তরঃ (খ) আইসোটোপ।
ব্যাখ্যাঃ ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত গামা বিকিরণের উৎস হলো আইসোটোপ। যেসব পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা একই কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন তাকে আইসোটোপ বলে। ক্যান্সার চিকিৎসায় সাধারণত কোবাল্ট ৬০ (60Co) আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
১৫। খাদ্য তৈরির জন্য উদ্ভিদ বায়ু থেকে গ্রহণ করে-
(ক) অক্সিজেন (খ) কার্বন-ডাই-অক্সাইড
(গ) নাইট্রোজেন (ঘ) জলীয় বাষ্প
উত্তরঃ (খ) কার্বন-ডাই-অক্সাইড।
ব্যাখ্যাঃ বায়ু ছাড়া কোনো প্রাণী বা উদ্ভিদ কিছুই বাঁচতে পারে না। আমরা যে শুধু শ্বাসকার্যে বায়ু ব্যবহার করি তা নয়, বায়ু সমগ্র উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের জন্য খাদ্য যোগায়। আমাদের নিঃশ্বাস থেকে প্রতি মুহূর্তে বায়ুমণ্ডলে প্রচুর কার্বন ডাই-অক্সাইড যোগ হচ্ছে। উদ্ভিদ তাদের খাদ্য তৈরির জন্য বায়ু থেকে এই কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করছে এবং সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করছে।
১৬। ঢাকা থেকে হংকং হয়ে প্লেন নিউইয়র্ক যাওয়ার সময় দিনের সময় কালকে অপেক্ষাকৃত ছোট মনে হয়, কেন?
(ক) পৃথিবী পশ্চিম দিকে ঘুরছে বলে
(খ) পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে বলে
(গ) এক্ষেত্রে এসব ঘূর্ণনের কোন প্রভাব নেই
(ঘ) অন্য কোন কারণ আছে
উত্তরঃ (খ) পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে বলে।
ব্যাখ্যাঃ পৃথিবী সূর্যের চারদিকে সর্বদা ঘূর্ণায়মান। পৃথিবীর এই ঘূর্ণনের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে সময়ের তারতম্য পরিলক্ষিত হয়, তাই ঢাকা থেকে হংকং হয়ে প্লেন নিউইয়র্ক যাওয়ার সময় দিনের সময় কালকে ছোট মনে হয়।
৩৯ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট
১। সমুদ্রতীরে কোনটির প্রাচুর্য থাকে?
(ক) নাইট্রোজেন (Nitrogen)
(খ) হাইড্রোজেন (Hydrogen)
(গ) অক্সিজেন (Oxygen)
(ঘ) ওজোন (Ozone)
উত্তরঃ (ক) নাইট্রোজেন(Nitrogen)।
ব্যাখ্যাঃ বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন ৭৮.০২% এবং অক্সিজেন ২০.৭১%। এ দুটি গ্যাস বাদে বাকি বায়ুমণ্ডলীয় উপাদানগুলো অল্প পরিমাণেই থাকে। সমুদ্রতীরে এর সামান্য ব্যত্যয় হলেও নাইট্রোজেনের প্রাচুর্যই বেশি।
৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট
১। কোন গ্যাসটি ‘ড্রাই আইস’ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়?
(ক) অক্সিজেন (খ) কার্বন ডাই-অক্সাইড
(গ) সালফার ডাই-অক্সাইড (ঘ) নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড
উত্তরঃ (খ) কার্বন ডাই-অক্সাইড।
ব্যাখ্যাঃ ‘ড্রাই আইস’ তৈরিতে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ব্যবহার করা হয়। কার্বন ডাই-অক্সাইড ( গ্যাসকে তাপমাত্রায় শীতল করলে এটি তরল না হয়ে সরাসরি কঠিন অবস্থায় রূপান্তরিত হয়। একে শুষ্ক বরফ বা ড্রাই আইস বলা হয়। শুষ্ক বরফ নামকরণের তাৎপর্য হলো এটি দেখতে বরফের মত সাদা অথচ হাতে ধরলে হাত ভেজায় না। এটি নাট্যমঞ্চে ধোঁয়া তৈরিতে ও হিমায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
২। বর্তমানে পরিবেশ-বান্ধব কোন গ্যাসটি রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসরে ব্যবহার করা হয়?
(ক) টাইক্লোরোটাইফ্লুরো ইথেন (খ) টেট্রাফ্লুরো ইথেন
(গ) ডাইক্লোরো ডাইফ্লুরো ইথেন (ঘ) আর্গন
উত্তরঃ (খ) টেট্রাফ্লুরো ইথেন।
ব্যাখ্যাঃ বর্তমানে পরিবেশ-বান্ধব ফ্রেয়ন হিসেবে রেফ্রিজারেটরের বা এয়ার কন্ডিশনের কম্প্রেসারে টেট্রাফ্লুরোইথেন ব্যবহার করা হয়। এর IUPAC নাম 1, 1, 1, 2 টেট্রাফ্লুরোইথেন। এর তাপজাতীয় ধর্মাবলী ডাইক্লোরোডাইফ্লুরোমিথেন-এর মতো হলেও ওজন স্তরের ভাঙনে এর প্রভাব কম। এছাড়া পৃথিবীর উষ্ণায়নেও এর প্রভাব কম হওয়ায় বর্তমানে ফ্রেয়ন হিসেবে এটিকে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। এক নরফ্লুরেনও বলা হয়।
৩। ক্যান্সার চিকিৎসায় যে বিকিরণ ব্যবহার করা হয় তা হলো-
(ক) আলফা রেস (Alpha rays)
(খ) বিটা রেস (Beta rays)
(গ) গামা রেস (Gama rays)
(ঘ) এক্স (এক্স) রেস (X-rays)
উত্তরঃ (গ) গামা রেস (Gama rays)।
ব্যাখ্যাঃ ক্যান্সার চিকিৎসায় যে বিকিরণ ব্যবহার করা হয় তা হলো- গামা রেস (Gama rays)। শরীরের কোনো স্থানে ক্ষতিকর ক্যান্সার টিউমার-এর উপস্থিতি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ দ্বারা নির্ণয় করা যায়। অপরদিকে কোবাল্ট (60C0)আইসোটোপ থেকে নির্গত তীব্র গামা রশ্মি নিক্ষেপ করে দেহের সুস্থ কোষ কলা ঠিক রেখে ক্যান্সার টিউমার কোষকলাকে ধ্বংস করা হয়।
৪। ব্যাকটেরিয়ার কোষে নিচের কোনটি উপস্থিত?
(ক) প্লাসটিড (খ) মাইটোকন্ড্রিয়া
(গ) নিউক্লিওলাস (ঘ) ক্রোমাটিন বস্তু
উত্তরঃ (ঘ) ক্রোমাটিন বস্তু।
ব্যাখ্যাঃ ব্যাকটেরিয়া এককোষী, ফিলামেন্টাস, কলোনিয়াল। ব্যাকটেরিয়ার কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে কিন্তু নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নেই। এদের কোষে প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি নেই। এরা আদিকোষ (নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয়) বিশিষ্ট এককোষী, আণুবীক্ষণিক জীব।
৫। মস্তিষ্কের ডোপামিন তৈরির কোষগুলো নষ্ট হলে কি রোগ হয়?
(ক) এপিলেপসি (খ) পারকিনসন
(গ) প্যারালাইসিস (ঘ) থ্রমবোসিন
উত্তরঃ (খ) পারকিনসন।
ব্যাখ্যাঃ পারকিনসন রোগ মস্তিষ্কের এমন এক অবস্থা যাতে হাতে ও পায়ে কাঁপুনি হয় এবং আক্রান্ত রোগী চলাফেরায় অপারগ হয়। স্নায়ু কোষে ডোপামিন নামক এক প্রকার নির্যাস তৈরি হয় যা চলাফেরায় সহায়তা করে । পারকিনসন রোগে ডোপামিন তৈরির কোষগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। ডোপামিন ছাড়া ঐ স্নায়ুকোষগুলো পেশিকোষগুলোকে সংবেদন পাঠাতে পারে না। ফলে পেশিকোষ কার্যকারিতা হারায়।
৬। বাণিজ্যিকভাবে মৌমাছি পালনকে বলা হয়-
(ক) পিসিকালচার (খ) এপিকালচার
(গ) মেরিকালচার (ঘ) সেরিকালচার
উত্তরঃ (খ) এপিকালচার।
ব্যাখ্যাঃ বাণিজ্যিকভাবে মৌমাছি পালনকে বলা হয় এপিকালচার (Apiculture) , অপরদিকে মৎস্যচাষ বিষয়ক বিদ্যা ও রেশম চাষ বিষয়ক বিদ্যাকে যথাক্রমে পিসিকালচার (Pisciculture) ও সেরিকালচার (Sericulture) বলা হয়।
৭। মা-এর রক্তে হেপাটাইটিস –বি (Hepatitis –B) ভাইরাস থাকলে নবজাতকের স্বাস্থ্যঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কি হওয়া উচিত?
(ক) ৩০ দিনের মধ্যে ভ্যাকসিন দিতে হবে
(খ) ৭ দিন ইনকিউবেটরে রাখতে হবে
(গ) জন্মের ১২ ঘণ্টার মধ্যে ভ্যাকসিন ও এইচবিআইজি (HBIG) শট দিতে হবে
(ঘ) জন্মের ১ মাস পর কেবলমাত্র (HBIG) শট দিতে হবে
উত্তরঃ (গ) জন্মের ১২ ঘণ্টার মধ্যে ভ্যাকসিন ও এইচবিআইজি (HBIG) শট দিতে হবে।
ব্যাখ্যাঃ যদি কোনো মা হেপাটাইটিস-বি দ্বারা আক্রান্ত থাকেন তবে তার গর্ভজাত সন্তানকে জন্মের ১২ ঘণ্টার মধ্যে ভ্যাক্সিন দিতে হবে। তবে এর সাথে এইচবিআইজি (HBIG) –এর শটও দিতে হবে এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য । মায়ের শরীরের হেপাটাইটিস-B –এর জীবাণুর উপস্থিতি সনাক্ত না হলে শিশুর জন্মের পর 24 ঘণ্টার মধ্যে ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করলেও চলে।
৮। ডেঙ্গু রোগ ছড়ায়-
(ক) Aedes aegypti মশা (খ) House flies
(গ) Anopheles মশা (ঘ) ইঁদুর ও কাঠবেড়ালী
উত্তরঃ (ক) Aedes aegypti মশা।
ব্যাখ্যাঃ ‘ডেঙ্গু’ ভাইরাসজনিত মশাবাহিত একটি মারাত্মক রোগ। এডিস মশার কামড়ে বিশেষ করে Aedes aegypti (এডিস এজিপটাই) প্রজাতির মশার মাধ্যমে এটা ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও এডিস এলবোপিকটাস মশার কামড়েও ডেঙ্গু রোগ ছড়াতে পারে। Anopheles মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া রোগ হয়।
৯। স্টিফেন হকিং একজন-
(ক) দার্শনিক (খ) পদার্থবিদ
(গ) রসায়নবিদ (ঘ) কবি
উত্তরঃ (খ) পদার্থবিদ।
ব্যাখ্যাঃ স্টিফেন হকিং একজন বিশিষ্ট ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতজ্ঞ। ৮ জানুয়ারি ১৯৪২ তিনি ব্রিটেনে জন্মগ্রহণ করেন। মটর নিউরন ডিজিজে আক্রান্ত স্টিফেন হকিং ‘ব্ল্যাক হোল থিওরি’ প্রদান করেন। স্টিফেন হকিং রচিত বিখ্যাত বই ‘A Brief History of Time’ । ১৪ মার্চ ২০১৮ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
১০। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো-
(ক) নাইট্রোজেন গ্যাস (খ) মিথেন গ্যাস
(গ) হাইড্রোজেন গ্যাস (ঘ) কার্বন মনোক্সাইড
উত্তরঃ (খ) মিথেন গ্যাস।
ব্যাখ্যাঃ প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদানগুলো হলো : মিথেন ৮০% – ৯০%, ইথেন ১৩%, প্রোপেন ৩%। এছাড়া বিউটেন, ইথিলিন ও নাইট্রোজেনও কিছু পরিমাণ থাকে। আমাদেরে বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ ৯৫% – ৯৯%।
১১। কোনটি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস?
(ক) তেল (খ) সমুদ্রের ঢেউ
(গ) গ্যাস (ঘ) কয়লা
উত্তরঃ (খ) সমুদ্রের ঢেউ।
ব্যাখ্যাঃ যেসব শক্তির উৎস অফুরন্ত এবং বারবার ব্যবহার করা যায় তাদেরকে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস বলা হয়। সূর্য, পানি, বায়ু, পারমাণবিক শক্তি, সমুদ্রের ঢেউ ইত্যাদি হলো নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের উদাহরণ।
১২। নিম্নের চারটির মধ্যে কোনটি ভিন্ন?
(ক) পিতল (খ) তামা
(গ) লোহা (ঘ) টিন
উত্তরঃ (ক) পিতল।
ব্যাখ্যাঃ পিতল একটি সংকর ধাতু যা তামা ও দস্তার সমন্বয়ে গঠিত। অপরদিকে তামা, লোহা ও টিন মৌলিক ধাতু। সুতরাং চারটির মধ্যে পিতল ভিন্ন।
৩৭ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট
১। নিম্নের কোনটি গ্রিন হাউজ গ্যাস নয়?
(ক) নাইট্রাস অক্সাইড (খ) কার্বন ডাই-অক্সাইড
(গ) অক্সিজেন (ঘ) মিথেন
উত্তরঃ (গ) অক্সিজেন।
ব্যাখ্যাঃ অক্সিজেন গ্রিনহাউজ গ্যাস নয়। বায়ুমণ্ডলে অনেক প্রকারের গ্রিনহাউজ গ্যাস আছে। কিন্তু নিম্নোক্তগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান, যেমন-নাইট্রাস অক্সাইড, কার্বন-ডাই -অক্সাইড, মিথেন, ওজোন, সিএফসি ও জলীয় বাষ্প।
২। আকাশে রংধনু সৃষ্টির কারণ-
(ক) ধুলিকণা (খ) বায়ুস্তর
(গ) বৃষ্টির কণা (ঘ) অতিবেগুনি রশ্মি
উত্তরঃ (গ) বৃষ্টির কণা।
ব্যাখ্যাঃ আকাশে রংধনু সৃষ্টির প্রধান কারণ হলো বৃষ্টির কণা। বৃষ্টির কণা এখানে প্রিজমের কাজ করে। বৃষ্টির কণায় যখন আলোকরশ্মি পতিত হয় তখন বৃষ্টির কণা ঐ আলোকরশ্মিকে ৭টি রঙে বিভক্ত করে, থাকে আমরা রংধনু বলি।
৩। ইস্টের সংশ্লিষ্টতা নেই কোন শিল্পে?
(ক) মদ্য শিল্পে (Wine industry)
(খ) রুটি শিল্পে (Bakery)
(গ) সাইট্রিক এসিড উৎপাদন
(ঘ) এক কোষীয় প্রোটিন (Single-cell-protein) তৈরিতে
উত্তরঃ (গ) সাইট্রিক এসিড উৎপাদন।
ব্যাখ্যাঃ ইস্ট একধরনের আদিকোষী অণুজীব যা প্রকৃতিতে খুবই সহজলভ্য। এটা বেকারি শিল্পে পাউরুটি, কেকসহ নানা খাবার তৈরি, চোলাই বিয়ার ও মদ্য তৈরি, ত্বক ও চুলের যত্নে, ডায়েটে সম্পূরক খাদ্য হিসেবে, ওষুধ তৈরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত হয়। সাইট্রিক এসডি উৎপাদনে ইস্টের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সাইট্রিক এসিড উৎপাদনে ব্যবহার করা হয় পেনিসিলিয়াম ।
৪। নিচের কোনটি ভাইরাসের (VIRUS) জন্য সত্য নয়?
(ক) ডিএনএ বা আরএনএ থাকে
(খ) শুধুমাত্র জীবদেহের অভ্যন্তরে সংখ্যাবৃদ্ধি করে
(গ) স্ফটিক দানায় রূপান্তরিত (CRYSTALLIZATION)
(ঘ) রাইবোজোম (Ribosome) থাকে
উত্তরঃ (ঘ) রাইবোজোম (Ribosome) থাকে।
ব্যাখ্যাঃ অকোষীয় অণুজীব ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য হলো- এতে DNA বা RNA আছে, জীবদেহের অভ্যন্তরে এরা সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে, এদেরকে crystal বা স্ফটিক দানায় রূপান্তরিত করা যায়। এদের সাইটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস, কোষীয় ক্ষুদ্রাঙ্গ এবং বিপাকীয় এনজাইম নেই। সুতরাং এখানে রাইবোজোমও থাকবে না।
৫। তাপ ইঞ্জিনের কাজ-(Heat Engine)
(ক) যান্ত্রিক শক্তিকে তাপশক্তিতে রূপান্তর
(খ) তাপশক্তিকে যান্ত্রিকশক্তিতে রূপান্তর
(গ) বিদ্যুৎশক্তিকে যান্ত্রিকশক্তিতে রূপান্তর
(ঘ) তাপশক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর
উত্তরঃ (খ) তাপশক্তিকে যান্ত্রিকশক্তিতে রূপান্তর
ব্যাখ্যাঃ তাপ ইঞ্জিন (Heat Engine)-এর কাজ হলো তাপশক্তিকে যান্ত্রিকশক্তিতে রূপান্তরিত করা। অন্যদিকে বৈদ্যুতিক মোটর বিদ্যুৎশক্তিকে যান্ত্রিকশক্তিতে, হাতে হাত ঘষলে যান্ত্রিক শক্তি তাপশক্তিতে এবং দুটি ভিন্ন ধাতব পদার্থের সংযোগস্থলে তাপ প্রয়োগ করলে তাপশক্তি বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
৬। শূন্য মাধ্যমে শব্দের বেগ কত?
(ক) ২৮০ m/s (খ) ০
(গ) ৩৩২ m/s (ঘ) ১১২০ m/s
উত্তরঃ (খ) ০।
ব্যাখ্যাঃ মাধ্যম ছাড়া শব্দ চলতে পারে না। তাই শূন্য মাধ্যমে শব্দের বেগ হবে শূন্য। কঠিন মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে বেশি। বায়বীয় মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে কম। উল্লেখ্য, বাতাসে শব্দের বেগ ৩৩২ মি/সে।
৭। দৈনিক খাদ্য তালিকায় সামুদ্রিক মাছ/শৈবালের অন্তর্ভুক্তি, কোন রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে সাহায্য করবে?
(ক) হাইপো-থাইরয়ডিজম(HYPOTHYROIDISM)
(খ) রাতকানা
(গ) এনিমিয়া
(ঘ) কোয়াশিয়রকর (KWASHIORKOR)
উত্তরঃ (ক) হাইপো থাইরয়ডিজম(HYPOTHYROIDISM)।
ব্যাখ্যাঃ কোনো কারণে থাইরয়েড গ্রন্হির হরমোন উৎপাদন কমে গেলে তাকে হাইপো-থাইরয়ডিজম বলে। বাংলাদেশে প্রধানত খাদ্যে আয়োডিনের ঘাটতির কারণে এ হরমোন উৎপাদন ব্যাহত হয়। দৈনন্দিন খাবারের সঙ্গে বেশি পরিমাণ আয়োডিনযুক্ত খাদ্য (শাকসবজি, ফলমূল, সামুদ্রিক মাছ ও শৈবাল) ও আয়োডিনযুক্ত লবণ খেয়ে এ রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।
৮। গ্রিনহাউজ কি?
(ক) কাচের তৈরি ঘর
(খ) সবুজ আলোর আলোকিত ঘর
(গ) সবুজ ভবনের নাম
(ঘ) সবুজ গাছপালা
উত্তরঃ (ক) কাচের তৈরি ঘর।
ব্যাখ্যাঃ গ্রিনহাউজ হলো কাচের তৈরি ঘর। শীতপ্রধান দেশে সবুজ গাছপালা শীতের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কাচের তৈরি ঘর বানিয়ে তার ভিতর গাছপালা লাগানো হয়।
৯। বস্তুর ওজন কোথায় সবচেয়ে বেশি?
(ক) মেরু অঞ্চলে (খ) বিষুব অঞ্চলে
(গ) পাহাড়ের ওপর (ঘ) পৃথিবীর কেন্দ্রে
উত্তরঃ (ক) মেরু অঞ্চলে।
ব্যাখ্যাঃ একটি বস্তু যে পরিমাণ বল দ্বারা পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে আকৃষ্ট হয় তাকে তার ওজন বলে। কোনো বস্তুর ওজন অভিকর্ষজ ত্বরণের ওপর নির্ভরশীল। যে স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণ বেশি সে স্থানে বস্তুর ওজন বেশি। মেরু অঞ্চলে g-এর মান বিষুব অঞ্চলের চেয়ে বেশি। সুতরাং মেরু অঞ্চলে বস্তুর ওজন বেশি। আবার পৃথিবীর কেন্দ্রে g-এর মান শূন্য হওয়ায় বস্তুর ওজনও শূন্য।
১০। প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেন কি পরিমাণ থাকে?
(ক) ৪০ – ৫০ ভাগ (খ) ৬০ – ৭০ ভাগ
(গ) ৮০ – ৯০ ভাগ (ঘ) ৩০ – ২৫ ভাগ
উত্তরঃ (গ) ৮০ – ৯০ ভাগ।
ব্যাখ্যাঃ প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদানগুলোর মধ্যে মিথেন ৮০ -৯০%, ইথেন ১৩%, প্রোপেন ৩%। এছাড়া বিউটেন, ইথিলিন ও নাইট্রোজেন কিছু পরিমাণে থাকে। এ উপাদানগুলোর মধ্যে প্রধান হলো মিথেন। আমাদের দেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ ৯৫-৯৯%।
১১। চা পাতায় কোন ভিটামিন থাকে?
(ক) ভিটামিন ‘ই’ (খ) ভিটামিন ‘কে’
(গ) ভিটামিন বি কমপ্লেক্স (ঘ) ভিটামিন ‘এ’
উত্তরঃ (গ) ভিটামিন বি কমপ্লেক্স।
ব্যাখ্যাঃ শাকসবজি, তৈলবীজ এবং হাঙ্গর মাছের যকৃতের তেলে ভিটামিন -ই পাওয়া যায়। সবুজ শাকসবজি, দুগ্ধজাত দ্রব্য ভিটামিন ‘কে’-এর প্রধান উৎস। চা পাতা, বৃষ্টির পানিতে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায়। মাছের তেল, দুধ, মলা মাছ, মাছের মাথা এবং গাজরে সর্বাধিক ভিটামিন-এ রয়েছে।
১২। চন্দ্রে কোনো বস্তুর ওজন পৃথিবীর ওজনের-
(ক) দশ ভাগের একভাগ (খ) ছয় ভাগের একভাগ
(গ) তিন ভাগের একভাগ (ঘ) চার ভাগের একভাগ
উত্তরঃ (খ) ছয় ভাগের একভাগ।
ব্যাখ্যাঃ চন্দ্রপৃষ্ঠে অভিকর্ষজ ত্বরণ পৃথিবীর অংশ। সুতরাং কোনো বস্তুর ওজন সেখানে হবে পৃথিবীর ছয়ভাগের এক ভাগ।
১৩। মানবদেহে রোগ প্রতিরোধে প্রাথমিক প্রতিরক্ষাস্তরের (First line of defence) অন্তর্ভুক্ত নয় কোনটি?
(ক) লাইসোজাইম (LYSOZYME)
(খ) গ্যাসট্রিক জুস (GASTRIC JUICE)
(গ) সিলিয়া (CILIA)
(ঘ) লিম্ফোসাইট(LYMPHOCYTES)
উত্তরঃ (ঘ) লিম্ফোসাইট(LYMPHOCYTES)।
ব্যাখ্যাঃ মানবদেহে রোগ প্রতিরোধে প্রাথমিক প্রতিরক্ষা স্তরের (First line of defence) অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হলো ত্বক, অশ্রু, শ্লেষ্মা, মুখের লালা, চোখের পাতা (cilia), পাকস্থলি এসিড ইত্যাদি। অশ্রু, শ্লেষ্মা ও লালায় বিদ্যমান একপ্রকার এনজাইম হলো লাইসোজাইম। আর লিম্ফোসাইট হলো একপ্রকার শ্বেত রক্তকণিকা, যা তৃতীয় প্রতিরক্ষা স্তরের অন্তর্ভুক্ত।
১৪। কোনটি জারক পদার্থ নয়?
(ক) হাইড্রোজেন। (খ) অক্সিজেন
(গ) ক্লোরিন (ঘ) ব্রোমিন
উত্তরঃ (ক) হাইড্রোজেন।
ব্যাখ্যাঃ জারক পদার্থগুলো ইলেকট্রন গ্রহণ করে অন্যকে জারিত করে ও নিজে বিজারিত হয়। অক্সিজেন, ক্লোরিন ও ব্রোমিন প্রত্যেকেই ইলেকট্রন গ্রহণ করে, তাই এরা জারক পদার্থ। অন্যদিকে হাইড্রোজেন ইলেকট্রন ত্যাগ করে তাই এটা জারক নয়, বিজারক।
১৫। নিউক্লিয়াসের বিভাজনকে কি বলা হয়?
(ক) ফিশন (খ) মেসন
(গ) ফিউশন (ঘ) ফিউশন ও মেসন
উত্তরঃ (ক) ফিশন।
ব্যাখ্যাঃ যে নিউক্লীয় বিক্রিয়ায় একটি নিউক্লিয়াস বিভাজিত হয়ে দুটি নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় তাকে ফিশন বিক্রিয়া বলে। অন্যদিকে দুটি নিউক্লিয়াসের সংযোগে একটি নিউক্লিয়াস তৈরি হওয়াকে ফিউশন বিক্রিয়া বলে। মেসন হলো মৌলের ক্ষুদ্রতম কণিকা।
৩৬ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট
১। যেসব অণুজীব রোগ সৃষ্টি করে তাদের বলা হয়–
(ক) প্যাথজেনিক (খ) ইনফেকশন
(গ) টক্সিন (ঘ) জীবাণু
উত্তরঃ(ক) প্যাথজেনিক ।
ব্যাখ্যাঃ যেসব অণুজীব রোগ সৃষ্টি করে তাদের বলা হয় প্যাথজেনিক। অন্যদিকে ইনফেকশন হলো সংক্রমণ। টক্সিন হলো বিষাক্ত পদার্থ এবং জীবাণু হলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুজীব (microbiologists) যারা রোগ সৃষ্টি করতেও পারে, নাও পারে।
২। শিশুর মনস্তাত্ত্বিক চাহিদা পূরণে নিচের কোনটি জরুরি?
(ক) স্বীকৃতি (খ) স্নেহ
(গ) সাফল্য (ঘ) উল্লেখিত সবকটি
উত্তরঃ (ঘ) উল্লেখিত সবকটি।
ব্যাখ্যাঃ শিশুর মনস্তাত্ত্বিক চাহিদা পূরণে স্বীকৃতি, স্নেহ ও সাফল্য সবগুলোই দরকার। শিশুদের স্নেহ বা আদর করে, ছোট ছোট চাওয়াগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে ও সাফল্যগুলোকে অভিনন্দন জানিয়ে তাদের মনস্তাত্ত্বিক চাহিদা পূরণ করা যায়।
৩। নিচের কোনটি আমিষ জাতীয় খাদ্য হজমে সাহায্য করে?
(ক) ট্রিপসিন (খ) লাইপেজ
(গ) টায়ালিন (ঘ) অ্যামাইলেজ
উত্তরঃ (ক) ট্রিপসিন।
ব্যাখ্যাঃ অগ্ন্যাশয় রসে বিদ্যমান প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাদ্য পরিপাককারী একটি এনজাইম হলো ট্রিপসিন যা প্রোটিওজ ও পেপটোনকে পলিপেপটাইডে পরিণত করে। টায়ালিন লালারসে বিদ্যমান এবং অ্যামাইলেজ অগ্ন্যাশয় রসে বিদ্যমান কার্বোহাইড্রেট পরিপাককারী যা স্টার্চ ও গ্লাইকোজেনকে মল্টোজে পরিণত করে। লাইপেজ পাচক রস ও অগ্ন্যাশয় রসে বিদ্যমান লিপিড পরিপাককারী এনজাইম যা লিপিডকে ফ্যাটি অ্যাসিড ও গ্লিসারলে পরিণত করে।
৪। মানুষের রক্তে লোহিত কণিকা কোথায় সঞ্চিত থাকে?
(ক) হৃদযন্ত্রে (খ) বৃক্কে
(গ) ফুসফুসে (ঘ) প্লীহাতে
উত্তরঃ (ঘ) প্লীহাতে।
ব্যাখ্যাঃ মানুষের রক্তে লোহিত কণিকা প্লীহাতে সঞ্চিত থাকে। এখান থেকে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে লোহিত কণিকা রক্তরসে সরবরাহ হয়।
৫। কোন যন্ত্রের সাহায্যে যান্ত্রিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয়?
(ক) ট্রান্সফরমার (খ) ডায়নামো
(গ) বৈদ্যুতিক মটর (ঘ) হুইল
উত্তরঃ (খ) ডায়নামো।
ব্যাখ্যাঃ ডায়নামো এমন একটি যন্ত্র যা যান্ত্রিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে। অন্যদিকে বৈদ্যুতিক মটর, বৈদ্যুতিক শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। ট্রান্সফরমার হলো রূপান্তরক যা উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে এবং নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তরিত করে।
৬। মস্তিষ্ক কোন তন্ত্রের অঙ্গ?
(ক) স্নায়ুতন্ত্রের (খ) রেচনতন্ত্রের
(গ) পরিপাকতন্ত্রের (ঘ) শ্বাসতন্ত্রের
উত্তরঃ (ক) স্নায়ুতন্ত্রের ।
ব্যাখ্যাঃ স্নায়ুতন্ত্রকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়- কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র ও প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র ২টি অংশ নিয়ে গঠিত: মস্তিষ্ক ও সুষুম্না কাণ্ড। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের যে অংশ করোটিকার মধ্যে সুরক্ষিত থাকে সেটিই হলো মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কই দেহের সকল ঐচ্ছিক ও অনৈচ্ছিক কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে। স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যকরী একককে নিউরন বলে।
৭। ভাইরাসজনিত রোগ নয় কোনটি?
(ক) জন্ডিস (খ) এইডস
(গ) নিউমোনিয়া (ঘ) চোখ ওঠা
উত্তরঃ (গ) নিউমোনিয়া।
ব্যাখ্যাঃ ভাইরাসঘটিত রোগসমূহ হলো- হাম, পোলিও, ডেঙ্গু, জলবসন্ত, গুটিবসন্ত, চিকুনগুনিয়া, এইডস, মাম্পস, জন্ডিস, হার্পিস, সোয়াইন ফ্লু, বার্ড ফ্লু, করোনা, জলাতঙ্ক, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি। ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগসমূহ হলো- কলেরা, টাইফয়েড, যক্ষ্মা, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার, নিউমোনিয়া, গনোরিয়া, সিফিলিস, কুষ্ঠরোগ, আমাশয় ইত্যাদি।
৮। প্রাণিজগতের উৎপত্তি ও বংশসম্বন্ধীয় বিদ্যাকে বলে–
(ক) বায়োলজী (খ) জুওলজী
(গ) জেনেটিক (ঘ) ইভোলিউশন
উত্তরঃ (গ) জেনেটিক।
ব্যাখ্যাঃ জীববিজ্ঞানের যে শাখায় বংশগতির রীতিনীতি অর্থাৎ বংশানুক্রমিক গুণাবলির উৎপত্তি, প্রকৃতি, বৃদ্ধির সময় ও আচরণ সম্পর্কে আলোচিত হয়, সে শাখাকে বংশগতিবিদ্যা বা জীনতত্ত্ব (জেনেটিক্স) বলে। ইভোলিউশন অর্থ অভিব্যক্তি বা বিবর্তন। এ শাখায় বিভিন্ন প্রাণীর উৎপত্তি, ধারাবাহিক পরিবর্তন ও বিকাশ সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়।
৯। কোন জ্বালানি পোড়ালে সালফার ডাই-অক্সাইড বাতাসে আসে?
(ক) ডিজেল (খ) পেট্রোল
(গ) অকটেন (ঘ) সিএনজি
উত্তরঃ (ক) ডিজেল।
ব্যাখ্যাঃ ডিজেল বা গ্যাস অয়েলের কার্বন শিকলের দৈর্ঘ্য C13 থেকে C18 পর্যন্ত। ডিজেলকে পোড়ালে সালফার ডাই-অক্সাইড তৈরি হয়। অন্যদিকে পেট্রোল, অকটেন ও সিএনজিকে জ্বালানি রূপে পোড়ালে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস তৈরি হয়। এদের কার্বন শিকলের দৈর্ঘ্য হলো পেট্রোল
=C5 থেকে C12, অকটেন =C8 এবং সিএন
(Compressed Natural Gas) =C1, যা ডিজেলের তুলনায ছোট শিকল।
১০। মোবাইল টেলিফোনের লাইনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়–
(ক) শব্দশক্তি (খ) তড়িৎশক্তি
(গ) আলোকশক্তি (ঘ) চৌম্বকশক্তি
উত্তরঃ (খ) তড়িৎশক্তি।
ব্যাখ্যাঃ মোবাইল টেলিফোনের লাইনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় শব্দশক্তি তড়িৎশক্তিতে রূপান্তরিত হয় । এই তড়িৎশক্তি আবার শব্দশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে শ্রোতার কানে পৌঁছায়। অতএব মোবাইল টেলিফোনের লাইনের মধ্যদিয়ে তড়িৎশক্তি প্রবাহিত হয়।
১১। জীবজগতের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর রশ্মি কোনটি?
(ক) আলফা রশ্মি (খ) বিটা রশ্মি
(গ) গামা রশ্মি (ঘ) আলট্রাভায়োলেট রশ্মি
উত্তরঃ (গ) গামা রশ্মি।
ব্যাখ্যাঃ জীব জগতের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর রশ্মি হলো গামা রশ্মি। গামা রশ্মির ভেদন ক্ষমতা, অন্য তেজস্ক্রিয় রশ্মি আলফা ও বিটা রশ্মির চেয়ে অনেক বেশি। গামা রশ্মি প্রায় কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত সীসা ভেদ করতে পারে। আলট্রাভায়োলেট বা অতিবেগুনি রশ্মি সূর্য থেকে আসে, যা তেজস্ক্রিয় রশ্মি থেকে কম ক্ষতিকর।
১২। কোন রং বেশি দূর থেকে দেখা যায়?
(ক) সাদা (খ) কালো
(গ) হলুদ (ঘ) লাল
উত্তরঃ (ঘ) লাল।
ব্যাখ্যাঃ লাল রঙের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বড় এবং বিক্ষেপণ সবচেয়ে কম । তাই লাল রং বেশি দূর থেকে দেখা যায় । অন্যদিকে সাদা ও কালো কোনো রং নয়। সবগুলো রং যেখান থেকে প্রতিফলিত হয় তাকে সাদা দেখা যায় এবং যেখানে সবগুলো রং শোষিত হয় তাকে কালো দেখা যায়। হলুদ রঙের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য লাল ও কমলা রঙের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য থেকে ছোট।
১৩। ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত গামা বিকিরণের উৎস হলো–
(ক) আইসোটোন (খ) আইসোটোপ
(গ) আইসোবার (ঘ) রাসায়নিক পদার্থ
উত্তরঃ (খ) আইসোটোপ।
ব্যাখ্যাঃ ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত গামা বিকিরণের উৎস হলো আইসোটোপ। যে সকল পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা একই কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন তাকে আইসোটোপ বলে। ক্যান্সার চিকিৎসায় সাধারণত কোবাল্ট ৬০ আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
৩৫ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট
১। হিমোগ্লোবিন কোন জাতীয় পদার্থ?
(ক) আমিষ (খ) স্নেহ
(গ) আয়োডিন (ঘ) লৌহ
উত্তরঃ (ক) আমিষ।
ব্যাখ্যাঃ হিমোগ্লোবিন হলো রক্তের লোহিত কণিকায় বিদ্যমান এক প্রকার শ্বাস রঞ্জক পদার্থ। হিমোগ্লোবিন হিম (4%) নামক লৌহ গঠিত রঞ্জক ও গ্লোবিন (96%) নামক প্রোটিন বা আমিষের সংযোগে গঠিত। হিম হলো লৌহযুক্ত পারফাইরিন যৌগ। হিমোগ্লোবিনের চার অণু প্রোস্থেটিক গ্রুপ হিম, এক অণু গ্লোবিন ও এক পরমাণু লৌহ ফেরাস অবস্থায় থাকে। সুতরাং উত্তর হবে (ক) অর্থাৎ আমিষ।
২। কোন প্রাণীকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয়?
(ক) ঘোড়া (খ) বলগা হরিণ
(গ) উট (ঘ) খেচর
উত্তরঃ (গ) উট।
ব্যাখ্যাঃ উট মরুজীবনের জন্য চমৎকারভাবে অভিযোজিত। এদের প্রশস্ত পদ বালির উপর চলাচলের জন্য যেমন উপযুক্ত, তেমনি নাসারন্ধ্র সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার ক্ষমতা এবং সংবদ্ধ করার উপযোগী। দুই সারি চোখের পাপড়ি মরুভূমিতে বসবাসের জন্য খুবই সহায়ক। আর এসব উপযোগিতার কারণে উট মরুভূমিতে সহজেই মালামাল বহন করতে পারে। এজন্য একে মরুভূমির জাহাজ বলা হয়।
৩। হলো ¾
(ক) এসিড নির্দেশক
(খ) এসিড ও ক্ষার নির্দেশক
(গ) ক্ষার নির্দেশক
(ঘ) এসিড, ক্ষার ও নিরপেক্ষতা নির্দেশক
উত্তরঃ (ঘ) এসিড, ক্ষার ও নিরপেক্ষতা নির্দেশক।
ব্যাখ্যাঃ কোনো দ্রবণের আয়নের ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদমকে ঐ দ্রবণের pH বলা হয়। এটি দ্রবণের এসিড, ক্ষার বা নিরপেক্ষতা নির্দেশ করে। কোনো দ্রবণের pH-এর মান 0 থেকে 6.9 হলে তা এসিড দ্রবণ, 7 হলে উহা নিরপেক্ষ দ্রবণ এবং 7.1 থেকে 14 হলে তা ক্ষারীয় দ্রবণ বলা হয়।
৪। গোয়েন্দা বিভাগে নিম্নের কোন রশ্মি ব্যবহৃত হয়?
(ক) বেকেরেল রশ্মি (খ) গামা রশ্মি
(গ) -রশ্মি (ঘ) বিটা-রশ্মি
উত্তরঃ (গ) -রশ্মি।
ব্যাখ্যাঃ কাঠের বাক্স বা চামড়ার থলিতে লুকানো বিস্ফোরক বা নিষিদ্ধ দ্রব্য খুঁজে বের করতে, এমনকি চোরাচালানীর পেটে সোনা, রূপা ইত্যাদি শনাক্ত করতে গোয়েন্দা বিভাগে এক্স-রে ব্যবহার করা হয়।
৫। বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একটি পরমাণুর শক্তি ¾
(ক) যুক্ত অবস্থার চাইতে কম
(খ) যুক্ত অবস্থার চাইতে অধিক
(গ) যুক্ত অবস্থার সমান
(ঘ) কোনোটিই সঠিক নয়
উত্তরঃ (খ) যুক্ত অবস্থার চাইতে অধিক।
ব্যাখ্যাঃ পরমাণুর কেন্দ্র শক্তির অফুরন্ত ভাণ্ডার। বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একটি পরমাণুর শক্তি যুক্ত অবস্থার চাইতে অধিক। উল্লেখ্য, পরমাণুর ইলেকট্রন যত বেশি বাইরের শক্তিস্তরে থাকে এর গতিশক্তি তত বেশি হয়।
৬। ঘর্মাক্ত দেহে পাখার বাতাস আরাম দেয় কেন?
(ক) গায়ের ঘাম বের হতে দেয় না
(খ) বাষ্পায়ন শীতলতার সৃষ্টি করে
(গ) পাখার বাতাস শীতল জলীয়বাষ্প ধারণ করে
(ঘ) পাখার বাতাস সরাসরি লোমকূপ দিয়ে শরীরে ঢুকে যায়
উত্তরঃ (খ) বাষ্পায়ন শীতলতার সৃষ্টি করে।
ব্যাখ্যাঃ ত্বকের অজস্র ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে আসা ঘামের বাষ্পীভবন (প্রয়োজনীয় উত্তাপ ঘাম থেকে সরবরাহ করে তাপ হারানোই ঘামের উষ্ণতা কমে যাওয়ার মাধ্যমে) ঘটে বলে ঘর্মাক্ত দেহে পাখার বাতাস আরাম দেয়।
৭। নিম্নের কোন বাক্যটি সত্য নয়?
(ক) পদার্থের নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন থাকে
(খ) প্রোটন ধনাত্মক আধানযুক্ত
(গ) ইলেকট্রন ঋণাত্মক আধানযুক্ত
(ঘ) ইলেকট্রন পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ভিতরে অবস্থান করে
উত্তরঃ (ঘ) ইলেকট্রন পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ভিতরে অবস্থান করে।
ব্যাখ্যাঃ পদার্থের অভ্যন্তরস্থ পরমাণুর নিউক্লিয়াসে ধনাত্মক আধানযুক্ত প্রোটন ও আধানহীন নিউটন থাকে। আর নিউক্লিয়াসের চারদিকে ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রন নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে। উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিক্রম হলো হাইড্রোজেন, যার নিউক্লিয়াসে শুধু প্রোটন থাকে।
৮। কোনো বস্তুতে আধানের অস্তিত্ব নির্ণয়ের যন্ত্র হলো ¾
(ক) অ্যামিটার (খ) ভোল্টামিটার
(গ) অণুবীক্ষণ যন্ত্র (ঘ) তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্র
উত্তরঃ (ঘ) তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্র।
ব্যাখ্যাঃ কোনো বস্তুতে চার্জ বা আধানের অস্তিত্ব নির্ণয়ের যন্ত্র হলো তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্র। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে এটি আবিষ্কৃত হয়। অন্যদিকে অ্যামিটার বৈদ্যুতিক বর্তনীর বিদ্যুৎ প্রবাহমাত্রা পরিমাপ, অণুবীক্ষণ যন্ত্র অতি ক্ষুদ্র বস্তু পর্যবেক্ষণ এবং ভোল্টামিটার বৈদ্যুতিক বর্তনীর বিভব পার্থক্য, বিদ্যুৎ প্রবাহমাত্রা ও বৈদ্যুতিক, রাসায়নিক সমতুল নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
৯। নিম্নের কোনটি বেকিং পাউডারের মূল উপাদানের সংকেত?
(ক) (খ)
(গ) (ঘ)
উত্তরঃ (খ) .
ব্যাখ্যাঃ বেকিং পাউডারের মূল উপাদানের সংকেত । এর অপর নাম সোডিয়াম বাইকার্বনেট, বেকিং সোডা, ব্রেড সোডা, কুকিং সোডা বা খাবার সোডা। অন্যদিকে (ক্যালসিয়াম কার্বনেট)-কে বলা হয় কোরাল।
১০। আকৃতি, অবস্থান ও কাজের প্রকৃতিভেদে আবরণী টিস্যু কত ধরনের?
(ক) ২ (খ) ৩
(গ) ৪ (ঘ) ৫
উত্তরঃ (খ) ৩।
ব্যাখ্যাঃ আবরণী কলা শরীরের প্রধান কলার অন্যতম। ত্বকের উপরিভাগ, শ্বাসনালী, পরিপাক নালী ও মূত্র জনননালীর অভ্যন্তরভাগ এ কলা দ্বারা আবৃত। আকৃতি, অবস্থান ও কাজের প্রকৃতিভেদে আবরণী কলা (Epithelium tissue) তিন প্রকার। যথা: ১. স্কোয়ামাস (আইশাকার), ২. কিউবয়ডাল (ঘনাকার) এবং ৩. কলামনার (স্তম্ভাকৃতি) এপিথেরিয়াল টিস্যু।
১১। হৃৎপিণ্ড কোন ধরনের পেশি দ্বারা গঠিত?
(ক) ঐচ্ছিক (খ) অনৈচ্ছিক
(গ) বিশেষ ধরনের ঐচ্ছিক (ঘ) বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক
উত্তরঃ (ঘ) বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক।
ব্যাখ্যাঃ হৃৎপিণ্ড একটি পেশীবহুল অঙ্গ। এটি বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক পেশী (হৃদ পেশী) দ্বারা গঠিত। হৃদপেশী গঠনের দিক থেকে অনেকটা ঐচ্ছিক পেশীর মতো হলেও হৃদপেশীর কার্যকারিতা প্রাণীর ইচ্ছা নির্ভর নয়। তাই কাজের দিক থেকে হৃদপেশী অনৈচ্ছিক।
১২। ডিএনএ অণুর দ্বি-হেলিক্স কাঠামোর জনক কে?
(ক) স্যাংগার ও পলিং (খ) ওয়াটসন ও ক্রিক
(গ) লুই পাস্তুর ও ওয়াটসন (ঘ) পলিং ও ক্রিক
উত্তরঃ (খ) ওয়াটসন ও ক্রিক।
ব্যাখ্যাঃ ডিএনএ হলো একটি নিউক্লিক এসিড যা জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের জিনগত নির্দেশ ধারণ করে। ডিএনএ অণুর দ্বি-হেলিক্স কাঠামো প্রথম আবিষ্কার করেন জেমস ওয়াটসন ও ফ্রান্সিস ক্রিক। এজন্য তাদেরকে এই কাঠামোর জনকও বলা হয়। উল্লেখ্য, ডিএনএ প্রথম উপস্থাপন করেন ফ্রেডরিক মাসচার।
১৩। কোন গ্রহের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে অধিক?
(ক) শুক্র (খ) পৃথিবী
(গ) মঙ্গল (ঘ) বুধ
উত্তরঃ (ক) শুক্র।
ব্যাখ্যাঃ শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা ৪৬৫ সেন্টিগ্রেড, যা সকল গ্রহের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে বুধে ১৮০০ থেকে ৪৩০ সে. পৃথিবীতে ৮৯ থেকে ৫৮ সে. এবং মঙ্গলে ৮২ থেকে ০ সে. তাপমাত্রা বিরাজমান।
১৪। সঠিক উত্তর কোনটি?
___ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ করা অসম্ভব।
(ক) টীকাদান কর্মসূচি (খ) সচেতনতা
(গ) পুষ্টিকর খাদ্য (ঘ) অর্থ
উত্তরঃ (খ) সচেতনতা।
ব্যাখ্যাঃ টীকাদান কর্মসূচি, পুষ্টিকর খাদ্য ও অর্থ যতই থাক না কেন বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হলে প্রত্যেকের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। সুতরাং সঠিক উত্তর হবে (খ), অর্থাৎ সচেতনতা।
২৪ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট
১। লেজার রশ্মি কে কত সালে আবিষ্কার করেন?
(ক) বোর, ১৯৬৩ (খ) রাদারফোর্ড, ১৯১৯
(গ) হাইগ্যান, ১৯৬১ (ঘ) মাইম্যান, ১৯৬০
উত্তরঃ (ঘ) মাইম্যান, ১৯৬০।
ব্যাখ্যাঃ মাইম্যান ১৯৬০ সালে LASER (Light Amplification by Stimulated Emission of Radiation) আবিষ্কার করেন।
২। আর্সেনিকের পারমাণবিক সংখ্যা কত?
(ক) ৩৯ (খ) ৩২
(গ) ৩৩ (ঘ) ৩৪
উত্তরঃ (গ) ৩৩।
ব্যাখ্যাঃ আর্সেনিক পর্যায় সারণীর ৩৩তম মৌল। এর প্রতীক As, আর্সেনিক যৌগ তীব্র বিষ। ওষুধ, কীটনাশক ইত্যাদি তৈরিতে এটি ব্যবহৃত হয়।
৩। ডেঙ্গু জ্বরের বাহক কোন মশা?
(ক) অ্যানোফিলিস (খ) এডিস
(গ) কিউলেক্স (ঘ) সব ধরনের মশা
উত্তরঃ (খ) এডিস।
ব্যাখ্যাঃ এডিস মশা ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, পীতজ্বর এবং জিকা জ্বরের জীবাণু বহন করে। অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া, কিউলেক্স মশা ফাইলেরিয়া রোগের জীবাণু বহন করে।
৪। কোনটি বেশি স্থিতিস্থাপক?
(ক) ইস্পাত (খ) রাবার
(গ) কাচ (ঘ) পানি
উত্তরঃ (ক) ইস্পাত।
ব্যাখ্যাঃ বাইরে থেকে প্রযুক্ত বল অপসারিত হলে বিকৃত বস্তু যে ধর্মের ফলে তার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে, তাকে স্থিতিস্থাপকতা বলে এবং উক্ত বস্তুটিকে স্থিতিস্থাপক বস্তু বলে। যেসব বস্তুর ক্ষেত্রে পীড়ন ও বিকৃতির অনুপাত বেশি অর্থাৎ স্থিতিস্থাপক গুণাঙ্কের মান বেশি সেসব বস্তু বেশি স্থিতিস্থাপক। ইস্পাতের ক্ষেত্রে অধিক পীড়ন দেয়া সত্ত্বেও বিকৃতির মান যৎসামান্য হয়। কিন্তু রাবারের ক্ষেত্রে অল্প পীড়ন দিলেই বিকৃতির মান অনেক বেশি হয়। সুতরাং রাবারের ক্ষেত্রে পীড়ন ও বিকৃতির অনুপাত অনেক কম। অতএব ইস্পাত, রাবার অপেক্ষা বেশি স্থিতিস্থাপক।
৫। ঘন পাতাবিশিষ্ট বৃক্ষের নিচে রাতে ঘুমানো স্বাস্থসম্মত নয়,কারণ গাছ হতে ¾
(ক) অধিক পরিমাণে অক্সিজেন নির্গত হয়
(খ) অধিক পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়
(গ) অধিক পরিমাণে কার্বন মনো-অক্সাইড নির্গত হয়
(ঘ) বিষাক্ত সায়ানাইড নির্গত হয়
উত্তরঃ (খ) অধিক পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়।
ব্যাখ্যাঃ জীবন্ত প্রতিটি জীবের জন্য শ্বসন একটি অপরিহার্য ক্রিয়া, যার জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন। দিনের বেলায় সালোকসংশ্লেষণে উদ্ভিদ বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে। রাতে সালোকসংশ্লেষণ বন্ধ থাকে এবং এ সময় উদ্ভিদ শ্বসন ক্রিয়া চালানোর জন্য অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করে। রাতে ঘন পাতাবিশিষ্ট গাছের নিচে ঘুমানো স্বাস্থ্যসম্মত নয় কারণ এতে অক্সিজেনের অভাবে ঘুমন্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
৬। রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে কোনটি খাওয়া উচিত নয়?
(ক) বেলে মাছ (খ) পালং শাক
(গ) খাশির মাংস (ঘ) মুরগির মাংস
উত্তরঃ (গ) খাশির মাংস।
ব্যাখ্যাঃ রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে তা রক্ত পরিবহন তন্ত্রে পুরু স্তর তৈরি করে রক্তপ্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করে, যার ফলে হৃৎপিণ্ডের নানারকম রোগসহ স্ট্রোক হতে পারে। সাধারণত চর্বিযুক্ত খাবারে উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল থাকে। যেমন- খাসির মাংস, গরুর মাংস ইত্যাদি।
উদ্ভিতজাত খাবার, স্বাদু পানির মাছ ইত্যাদিতে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম।
৭। স্বর্ণের খাদ বের করতে কোন অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়?
(ক) সাইট্রিক অ্যাসিড (খ) নাইট্রিক অ্যাসিড
(গ) হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (ঘ) টারটারিক অ্যাসিড
উত্তরঃ (খ) নাইট্রিক অ্যাসিড।
ব্যাখ্যাঃ নাইট্রিক অ্যাসিড স্বর্ণের সাথে বিক্রিয়া না করে স্বর্ণে মিশ্রিত বিভিন্ন খাদের সাথে বিক্রিয়া করে গলিয়ে দেয় বলে স্বর্ণের খাদ বের করতে নাইট্রিক অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়।
২০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট
১। কোনটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ নয়?
(ক) লৌহ (খ) ইউরেনিয়াম
(গ) প্লুটোনিয়াম (ঘ) নেপচুনিয়াম
উত্তরঃ (ক) লৌহ।
ব্যাখ্যাঃ ভারী মৌলিক পদার্থের নিউক্লিয়াস থেকে স্বতঃস্ফুর্ত অবিরত আলফা, বিটা ও গামা রশ্মি নির্গমনের প্রক্রিয়াকে তেজস্ক্রিয়তা বলে। প্রকৃতপক্ষে যে সব মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ৮২-এর চেয়ে বেশি তাদেরকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলা হয়। উপরিউক্ত মৌলগুলোর মধ্যে লৌহের পারমাণবিক সংখ্যা ২৬, অন্যগুলোর ৮২ বা তার বেশি, যার ফলে শুধু লৌহই তেজস্ক্রিয় পদার্থ নয়।
২। কোন বস্তুটির স্থিতিস্থাপকতা বেশি?
(ক) রবার (খ) এলুমিনিয়াম
(গ) লৌহ (ঘ) তামা
উত্তরঃ (গ) লৌহ।
ব্যাখ্যাঃ বাইরে থেকে প্রযুক্ত বল অপসারিত হলে বিকৃত বস্তু যে ধর্মের ফলে তার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে, তাকে স্থিতিস্থাপকতা বলে এবং উক্ত বস্তুটিকে স্থিতিস্থাপক বস্তু বলে। যেসব বস্তুর ক্ষেত্রে পীড়ন এবং বিকৃতির অনুপাত বেশি অর্থাৎ স্থিতিস্থাপক গুণাঙ্কের মান বেশি সেসব বস্তু বেশি স্থিতিস্থাপক। আর যে সব বস্তুর ক্ষেত্রে পীড়ন এবং বিকৃতির অনুপাত কম, অর্থাৎ স্থিতিস্থাপক গুণাঙ্কের মান কম সেসব বস্তু কম স্থিতিস্থাপক। লৌহের ক্ষেত্রে অধিক পীড়ন দেয়া সত্ত্বেও বিকৃতির মান যৎসামান্য হয়। কিন্তু রবার, এলুমিনিয়াম ও তামার ক্ষেত্রে অল্প পীড়ন দিলেই বিকৃতির মান অনেক বেশি হয়।
৩। কোন পদার্থটি চৌম্বক পদার্থ নয়?
(ক) কাঁচা লৌহ (খ) ইস্পাত
(গ) এলুমিনিয়াম (ঘ) কোবাল্ট
উত্তরঃ (গ) এলুমিনিয়াম।
ব্যাখ্যাঃ যে পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করতে পারে না তাকে অচৌম্বক পদার্থ বলা হয়। উপরিউক্ত পদার্থগুলোর মধ্যে শুধু এলুমিনিয়ামকেই চুম্বক আকর্ষণ করে না।
৪। যে মসৃণতলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাকে কি বলে?
(ক) দর্পণ (খ) লেন্স
(গ) প্রিজম (ঘ) বিম্ব
উত্তরঃ (ক) দর্পণ।
ব্যাখ্যাঃ কোনো মসৃণতলে আলো আপতিত হয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী কোনো দিকে চললে ঐ আপতন তলকে বলা হয় দর্পণ। বক্রপৃষ্ঠ স্বচ্ছ মাধ্যমের সাধারণ নাম লেন্স।
৫। রাডারে যে তড়িৎ চৌম্বক ব্যবহার করা হয় তার নাম কি?
(ক) গামা রশ্মি (খ) মাইক্রোওয়েভ
(গ) অবলোহিত বিকিরণ (ঘ) আলোক তরঙ্গ
উত্তরঃ (খ) মাইক্রোওয়েভ।
ব্যাখ্যাঃ রাডারের মূলনীতি হলো ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের পালস ছড়িয়ে দেয়া হয় যেন বস্তু থেকে প্রতিফলিত হয়ে রাডারের গ্রাহক যন্ত্রে আসে। এ জন্য গামা রশ্মি বা মাইক্রোওয়েভ উভয়ের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ক্ষুদ্র হলেও কম ভেদন ক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোওয়েভই ব্যবহার করা হয়। অপরপক্ষে অবলোহিত বিকিরণ ও আলোক তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশ বড়।
৬। মহাজাগতিক রশ্মি আবিষ্কার করে কোন বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার পান?
(ক) হেস (খ) গোল্ডস্টাইন
(গ) রাদারফোর্ড (ঘ) আইনস্টাইন
উত্তরঃ (ক) হেস।
ব্যাখ্যাঃ আইনস্টাইন আপেক্ষিক তথ্য ও রাদারফোর্ড আণবিক নিউক্লিয়াসের মতবাদ আবিস্কার করেন। ভিক্টর ফ্রান্ৎস্ হেস্ মহাজাগতিক রশ্মি আবিষ্কারের জন্য ১৯৩৬ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।
৭। তড়িৎশক্তি শব্দশক্তিতে রূপান্তরিত হয় কোন যন্ত্রের মাধ্যমে?
(ক) এমপ্লিফায়ার (খ) জেনারেটর
(গ) লাউড স্পিকার (ঘ) মাইক্রোফোন
উত্তরঃ (গ) লাউড স্পিকার।
ব্যাখ্যাঃ ‘এমপ্লিফায়ার’ বিবর্ধক শব্দশক্তিকে জোরালো করে। জেনারেটর যান্ত্রিকশক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। লাউড স্পিকার তড়িৎশক্তিকে শব্দশক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং মাইক্রোফোন শব্দতরঙ্গকে বিদ্যুৎ প্রবাহে পরিণত করে।
৮। সমুদ্রের গভীরতা মাপা হয় কোন যন্ত্র দিয়ে?
(ক) ফ্যাদোমিটার (খ) জাইরো কম্পাস
(গ) সাবমেরিন (ঘ) এনিওমিটার
উত্তরঃ (ক) ফ্যাদোমিটার।
ব্যাখ্যাঃ পানির গভীরতা মাপার যান্ত্রিক সরঞ্জাম ফ্যাদোমিটার। এ যন্ত্রের কার্যকারিতা শব্দের প্রতিধ্বনির ওপর নির্ভরশীল। ধ্বনির উৎপত্তি থেকে ফিরে আসা প্রতিধ্বনির সময়ের পার্থক্য থেকে গভীরতা নির্ণয় করা হয়।
৯। কোন হরমোনের অভাবে ডায়াবেটিস রোগ হয়?
(ক) থাইবোসিন (খ) গ্লুকাগন
(গ) এড্রিনালিন (ঘ) ইনসুলিন
উত্তরঃ (ঘ) ইনসুলিন।
ব্যাখ্যাঃ হরমোন হচ্ছে একশ্রেণীর রাসায়নিক বস্তু, যা দেহের কোষ বা অঙ্গসমূহের বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত ইনসুলিন হচ্ছে এমন এক ধরনের হরমোন, যা রক্তে গ্লুকোজের বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। কোনো কারণে রক্তে ইনসুলিন সরবরাহ কমে গেলে গ্লুকোজের বিপাক ক্রিয়া বিঘ্নিত হয়, যার ফলে ডায়াবেটিস রোগ হয়।
১৯ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট
১। বহুমূত্র রোগে কোন হরমোনের দরকার?
(ক) ইনসুলিন (খ) থাইরক্সিন
(গ) এনড্রোজেন (ঘ) এস্ট্রোজেন
উত্তরঃ (ক) ইনসুলিন।
ব্যাখ্যাঃ অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ থেকে নিঃসৃত ইনসুলিন হরমোন রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমায়। রক্তে এই ইনসুলিন হরমোন কমে গেলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় যাকে হাইপারগ্লাইসেমিয়া বলে। এর ফলে ঘন ঘন ক্ষুধা, পিপাসা ও প্রস্রাবের চাপ লাগে যাকে ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ বলে। এই রোগের জন্য ইনসুলিন হরমোন চামড়ার নিচে দেয়া হয়।
২। গ্রিন হাউজ ইফেক্টের পরিণতিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুতর ক্ষতি কি হবে?
(ক) উত্তাপ অনেক বেড়ে যাবে
(খ) বৃষ্টিপাত কমে যাবে
(গ) নিম্নভূমি নিমজ্জিত হবে
(ঘ) সাইক্লোনের প্রবণতা বাড়বে
উত্তরঃ (গ) নিম্নভূমি নিমজ্জিত হবে।
ব্যাখ্যাঃ গ্রিন হাউজের প্রভাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাবে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী গ্যাসের পরিমাণ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাবে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। ফলে বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলের অধিকাংশ নিমজ্জিত হবে।
৩। ওজোন স্তরের ফাটলের জন্য মুখ্যত দায়ী কোন গ্যাস?
(ক) ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (খ) কার্বন মনোক্সইড
(গ) কার্বন ডাইঅক্সাইড (ঘ) মিথেন
উত্তরঃ (ক) ক্লোরোফ্লোরো কার্বন।
ব্যাখ্যাঃ ক্লোরোফ্লোরো কার্বন বায়ুমন্ডলের ওজোনস্তরে পৌঁছে ওজোনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে অক্সিজেনে পরিণত করে (+ →+…….)। এর ফলে ওজোনস্তর হালকা বা ফুটো হয়ে যায়। এ ফাটল দিয়ে মহাজাগতিক বিভিন্ন রশ্মি পৃথিবীতে এসে জীবজগতের ক্ষতিসাধন করে।
৪। মানুষের ক্রোমোজোমের সংখ্যা কত?
(ক) ২০ জোড়া (খ) ২২ জোড়া
(গ) ২৩ জোড়া (ঘ) ২৫ জোড়া
উত্তরঃ (গ) ২৩ জোড়া।
ব্যাখ্যাঃ মানুষের ক্রোমোজোমের সংখ্য ২৩ জোড়া। এর মধ্য ২২ জোড়া’ ‘অটোজোম’ এবং ১ জোড়া ‘সেক্স ক্রোমোজোম’। সেক্স ক্রোমোজোম সন্তান-সন্ততির লিঙ্গ নির্ধারণ করে। মহিলাদের সেক্স ক্রোমোজোম XX এবং পুরুষের XY।
৫। ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কবি নজরুল ইসলামের কোন কাব্যগ্রন্হের অন্তর্গত?
(ক) অগ্নিবীণা (খ) বিষের বাঁশি
(গ) দোলন চাঁপা (ঘ) বাঁধনহারা
উত্তরঃ (ক) অগ্নিবীণা।
ব্যাখ্যাঃ ১৯২২ সালে প্রকাশিত ‘অগ্নিবীণা’ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্হ। এই গ্রন্থে ১২টি কবিতা সংকলিত হয়েছে। যথা- প্রলয়োল্লাস, বিদ্রোহী, রক্তাম্বরধারিণী মা, আগমনী, ধূমকেতু, কামালপাশা, আনোয়ার, রণভেরী, সাত-ইল-আরব, খেয়াপারের তরণী, কোরবানী ও মোহররম।
৬। কোন জারক রস পাকস্থলীতে দুগ্ধ জমাট বাঁধায়?
(ক) পেপসিন (খ) এমাইলেজ
(গ) রেনিন (ঘ) ট্রিপসিন
উত্তরঃ (গ) রেনিন।
ব্যাখ্যাঃ পাকস্থলীতে বিদ্যমান রেনিন এনজাইম দুগ্ধ প্রোটিন কেসিনকে প্যারাকেসিনে পরিণত করে। এর ফলে দুধ জমাট বাঁধে। ‘ট্রিপসিন’ এবং ‘পেপসিন’ নামক এনজাইম প্রোটিন পরিপাকে এবং ‘এমাইলেজ’ কার্বোহাইড্রেট পরিপাকে সহায়তা করে।
৭। ভায়াগ্রা কি?
(ক) একটি জলপ্রপাত
(খ) নতুন একটি ঔষধ
(গ) সাড়া জাগানো চলচ্চিত্রের নাম
(ঘ) নতুন জাহাজের নাম
উত্তরঃ (খ) নতুন একটি ঔষধ।
৮। প্রাণীর মলমূত্র থেকে ব্যাকটেরিয়ার সাহয্যে ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়-
(ক) ইথেন (খ) এমোনিয়া
(গ) মিথেন (ঘ) বিউটেন
উত্তরঃ (গ) মিথেন।
ব্যাখ্যাঃ স্তন্যপায়ী প্রাণীর মূত্রে ‘ইউরিয়া’ নামক জৈব পদার্থ থাকে। ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ‘ফারমেন্টেশন’ প্রক্রিয়ায় মিথেন উৎপন্ন হয়। ঈস্ট, ব্যাকটেরিয়া প্রভৃতি এনজাইমের প্রভাবে জৈব পদার্থের রাসায়নিক পরিবর্তনের নাম ‘ফারমেন্টেশন’ বা ‘গাঁজন’।
১৭ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট
১। দুটি লম্বালম্বি শক্তির পরিমাণ ৫N এবং ৪N, তাদের লব্ধি পরিমাণ কত?
(ক) ৩N (খ) √11N
(গ) √3N (ঘ) ১N
২। ‘অ্যাকোয়া রেজিয়া’ বলতে বুঝায়-
(ক) কনসেনট্রেটেড সালফিউরিক এসিড
(খ) কনসেনট্রেটেড নাইট্রিক এসিড
(গ) কনসেনট্রেটেড সালফিউরিক এবং কনসেনট্রেটেড্ নাইট্রিক এসিডের মিশ্রণ
(ঘ) কনসেনট্রেটেড নাইট্রিক ও হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মিশ্রণ
উত্তরঃ (ঘ) কনসেনট্রেটেড নাইট্রিক ও হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মিশ্রণ
ব্যাখ্যাঃ এক মোল গাঢ় নাইট্রিক এসিড এবং তিন মোল গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ) মিশ্রণকে ‘ অ্যাকোয়া রেজিয়া’ বা রাজাম্ল বলে। স্বর্ণ, প্লাটিনাম প্রভৃতি ধাতু গলাতে এটি ব্যবহৃত হয়।
৩। বায়ুমণ্ডলের চাপের ফলে ভূগর্ভস্থ পানি লিফট পাম্পের সাহায্যে সর্বোচ্চ যে গভীরতা থেকে উঠানো যায়-
(ক) ১ মিটার (খ) ১০ মিটার
(গ) ১৫ মিটার (ঘ) ৩০ মিটার
উত্তরঃ (খ) ১০ মিটার
ব্যাখ্যাঃ বায়ুমণ্ডলের স্বাভাবিক চাপ ১০ মিটারের অধিক বায়ুস্তরকে ধরে রাখতে পারে না। লিফট পাম্প স্বাভাবিক বায়ুর চাপের দ্বারা পানি ওঠায়, তাই ১০ মিটারের উপরে উঠাতে পারে না।
৪। টুথপেস্টের প্রধান উপাদান-
(ক) জেলী ও মশলা (খ) ভোজ্য তেল ও সোডা
(গ) সাবান ও পাউডার (ঘ) ফ্লোরাইড ও ক্লোরোফিল
উত্তরঃ (গ) সাবান ও পাউডার
ব্যাখ্যাঃ সাধারণ মানের টুথপেস্টে ৩০% চক পাউডার, ১৫% সাবান, ১০% ট্রাই ও ড্রাই ক্যালসিয়াম ফসফেট এবং ৫.৫% গাম ট্রগোকান্হা মিউসিলেজ রয়েছে।
৫। পানির ছোট ফোটা পানির যে গুণের জন্য গোলাকৃতি হয়-
(ক) সান্দ্রতা (খ) স্থিতিস্থাপকতা
(গ) প্লবতা (ঘ) পৃষ্ঠটান
উত্তরঃ (ঘ) পৃষ্ঠটান
ব্যাখ্যাঃ তরলের পৃষ্ঠটানের জন্য পানির ছোট ফোঁটা গোলাকৃতি হয়ে থাকে।
৬। মুক্তা হলো ঝিনুকের-
(ক) খোলসের টুকরা (খ) চোখের মণি
(গ) প্রদাহের ফল (ঘ) জমাট হরমোন
উত্তরঃ (গ) প্রদাহের ফল
ব্যাখ্যাঃ ঝিনুকের খোলসের অভ্যন্তরে কোনো শক্ত বস্তু প্রবেশ করলে ঐ স্থানে প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং ঐ বস্তুকে জড়িয়ে ঝিনুকের শরীর থেকে এক ধরনের পদার্থ নির্গত হয়, যা মুক্তায় রূপ নেয়।
৭। বাংলাদেশের একটি জীবন্ত জীবাশ্মের নাম-
(ক) রাজ কাঁকড়া (খ) গন্ডার
(গ) পিপীলিকাভুক্ত ম্যানিস (ঘ) স্নো লোরিস
উত্তরঃ (ক) রাজ কাঁকড়া
ব্যাখ্যাঃ জীবন্ত ফসিল হলো এমন কতগুলো জীব, দূর অতীতে জন্ম হলেও যাদের বংশধরেরা আজও পৃথিবীতে বেঁচে আছে। অথচ এদের সমসাময়িক ও সমগোত্রীয় সকল প্রাণীই বহু পূর্বে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়েছে। বিবর্তনের ইতিহাসে এদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কোনো পরিবর্তন হয়নি । যেমন – ‘প্লাটিপাস’, মাছের মধ্যে ‘সিলাকান্হ’, সরীসৃপে মধ্যে ‘স্কেনোডন’, উদ্ভিদ শ্রেণির মধ্যে ডিঙ্গো বাইলোবা ইত্যাদি । বাংলাদেশের জীবন্ত ফসিলের উদাহরণ হচ্ছে ‘রাজ কাঁকড়া’।
৮। পোলিও টিকা আবিষ্কারক জোনাস সাল্ক যুক্তরাষ্ট্রে এক শহরে মারা যান, শহরটির নাম-
(ক) La Martini (খ) La Zola
(গ) San Antonio (ঘ) San Hose
উত্তরঃ (খ) La Zola
ব্যাখ্যাঃ রাশিয়ান ইহুদি বংশোদ্ভূত জোনাস সাল্ক যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে ১৯১৪ সালের ২৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ভাইরাসবিদ। ১৯৫৫ সালের ১২ এপ্রিল তিনি পোলিও’র টিকা আবিষ্কার করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লা জোলা (La Jolla) শহরে ১৯৯৫ সালের ২৩ জুন ৮০ বছর বয়সে মারা যান।
১৬ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট
১। নাড়ীর স্পন্দন প্রবাহিত হয়–
(ক) ধমনির ভেতর দিয়ে (খ) শিরার ভেতর দিয়ে
(গ) স্নায়ুর ভেতর দিয়ে (ঘ) ল্যাকটিয়ালের ভেতর দিয়ে
উত্তরঃ (ক) ধমনির ভেতর দিয়ে।
ব্যাখ্যাঃ হৃৎপিণ্ড থেকে অক্সিজেনবাহী রক্ত শরীরের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে ধমনির মধ্য দিয়ে। এর গতি থাকে বেশি। তাই ধমনির মধ্যেই নাড়ীর স্পন্দন অনুভূত হয়। শিরার ভিতর দিয়ে কার্বন ডাই-অক্সাইডবাহী রক্ত হৃৎপিণ্ডে ফিরে আসে।
২। চাঁদে কোনো শব্দ করলে তা শোনা যাবে না কেন?
(ক) চাঁদে কোনো জীব নাই তাই
(খ) চাঁদে কোনো পানি নাই তাই
(গ) চাঁদে বায়ুমণ্ডল নাই তাই
(ঘ) চাঁদের মাধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ অপেক্ষা কম তাই।
উত্তরঃ (গ) চাঁদে বায়ুমণ্ডল নাই বলে।
ব্যাখ্যাঃ শব্দ সঞ্চালনার জন্য মাধ্যম প্রয়োজন। চাঁদে বায়ুস্তর নেই, যার ফলে পাশাপাশি অবস্থিত দুজন লোক যত জোরেই কথা বলুক না কেন চাঁদে তা শুনতে পাবে না।
৩। রঙিন টেলিভিশন হতে ক্ষতিকর কোন রশ্মি বের হয়?
(ক) মৃদু রঞ্জন রশ্মি (খ) গামা রশ্মি
(গ) বিটা রশ্মি (ঘ) কসমিক রশ্মি
উত্তরঃ (ক) মৃদু রঞ্জন রশ্মি।
ব্যাখ্যাঃ রঙিন টেলিভিশন থেকে ক্ষতিকর মৃদু রঞ্জন রশ্মি নির্গত হয়।
৪। পানির জীব হয়েও বাতাসে নিশ্বাস নেয়-
(ক) পটকা মাছ (খ) হাঙ্গর
(গ) শুশুক (ঘ) জেলী ফিস
উত্তরঃ (গ) শুশুক।
ব্যাখ্যাঃ ‘শুশুক’ বা ‘ডলফিন’ পানিতে বাস করলেও অন্যান্য মাছের মতো ফুলকার সাহায্যে পানি থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না। এটি পানি থেকে ভেসে উঠে বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে। পটকা মাছ, হাঙ্গর ও জেলী ফিস পানিতে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে।
১৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট
১। আকাশ নীল দেখায় কেন?
(ক) নীল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি বলে
(খ) নীল সমুদ্রের প্রতিফলনের ফলে
(গ) নীল আলোর বিক্ষেপণ অপেক্ষাকৃত বেশি বলে
(ঘ) নীল আলোর প্রতিফলন বেশি বলে
উত্তরঃ (গ) নীল আলোর বিক্ষেপণ অপেক্ষাকৃত বেশি বলে।
ব্যাখ্যাঃ যে আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য যতো কম সে আলোর বিক্ষেপন ততো বেশি। নীল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কম বলে এর বিক্ষেপণ বেশি। যার ফলে বায়ুমণ্ডলের ধূলিকণায় বিক্ষিপ্ত নীল আলো ছড়ায় বলে আকাশ নীল দেখায়।
২। ‘স্ট্রোক’ আকস্মিক অজ্ঞান বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে- এটি কি ?
(ক) হৃৎপিণ্ডের সজোরে সংকোচন বা বন্ধ হয়ে যাওয়া
(খ) মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং রক্ত প্রবাহে বাধা
(গ) হৃৎপিণ্ডের অংশবিশেষের অসাড়তা
(ঘ) ফুসফুস হঠাৎ বিকল হয়ে যাওয়া
উত্তরঃ (খ) মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং রক্ত প্রবাহে বাধা।
ব্যাখ্যাঃ কোনো কারণে মস্তিষ্কের কোথাও রক্ত সরবরাহ বন্ধ হলে বা মস্তিষ্কের কোনো শিরা বা ধমনী ছিঁড়ে গেলে সে অবস্থাকে স্ট্রোক বলে। স্ট্রোকের ফলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ দ্রুত সংঘটিত হয় ও সঙ্গে সঙ্গে রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
৩। কোনটি রক্তের কাজ নয়?
(ক) কলা (Tissue) হতে ফুসফুসে বর্জ্য পদার্থ বহন করা
(খ) ক্ষুদ্রান্ত্র হতে কলাতে খাদ্যের সারবস্তু বহন করা
(গ) হরমোন বিতরণ করা
(ঘ) জারক রস (enzyme) বিতরণ করা
উত্তরঃ (ঘ) জারক রস (enzyme) বিতরণ করা।
ব্যাখ্যাঃ রক্তের সাধারণ কার্যাবলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কলা হতে বর্জ্য পদার্থ ফুসফুসে বাহিত করা, খাদ্য সারবস্তু বিভিন্ন কলা ও অঙ্গে বাহিত করা, হরমোন, উৎসেচক, লিপিড প্রভৃতি বিভিন্ন অঙ্গে বাহিত করা, কার্বনডাই-অক্সাইড পরিবহন, দৈহিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কিন্তু জারক রস বিতরণ করা রক্তের কাজ নয়।
৪। বাতাসের নাইট্রোজেন কিভাবে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে?
(ক) সরাসটি মাটিতে মিশ্রিত হয়ে জৈব বস্তু প্রস্তুত করে
(খ) ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে উদ্ভিদের গ্রহণ ও উপযোগী বস্তু প্রস্তুত করে
(গ) পানিতে মিশে মাটিতে শোষিত হওয়ার ফলে
(ঘ) মাটির অজৈব লবণকে পরিবর্তিত করে
উত্তরঃ (গ) পানিতে মিশে মাটিতে শোষিত হওয়ার ফলে।
ব্যাখ্যাঃ উদ্ভিদ বাতাসের নাইট্রোজেন সরাসরি গ্রহণ করতে পারে না। বাতাসের নাইট্রোজেন বজ্রবৃষ্টির সময় বৃষ্টির পানির সাথে মিশে নাইট্রিক এসিড রূপে ভূ- পৃষ্ঠে পতিত হয়। পরবর্তীতে তা নাইট্রেড রূপে বিশ্লেষিত হয়ে উদ্ভিদের গ্রহণোপযোগী হয়। তবে শীম জাতীয় উদ্ভিদের মূলে Rhizobium নামক ব্যাকটেরিয়া নাইট্রোজেনকে নাইট্রেটে পরিণত করতে পারে।
৫। নিত্য ব্যবহার্য বহু ‘এরোসোলের’ কৌটায় এখন লেখা থাকে ‘সিএফসি’ বিহীন। সিএফসি গ্যাস কেন ক্ষতিকারক?
(ক) ফুসফুসে রোগ সৃষ্টি করে
(খ) গ্রিন হাউজ ইফেক্টে অবদান রাখে
(গ) ওজোনস্তরে ফুটো সৃষ্টি করে
(ঘ) দাহ্য বলে অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনা ঘটায়
উত্তরঃ (গ) ওজোনস্তরে ফুটো সৃষ্টি করে।
ব্যাখ্যাঃ সিএফসি হচ্ছে ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (Chlorofluorocarbon) । এ গ্যাস বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তরকে ফুটো করে দেয়। ফলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে এসে পৌঁছে। এতে মানুষের চর্ম ক্যান্সার ও অন্যান্য মারাত্মক রোগ দেখা দেয়।
৬। আলট্রাসনোগ্রাফি কি?
(ক) নতুন ধরনের এক্সরে
(খ) ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের শব্দের দ্বারা ইমেজিং
(গ) শরীরের অভ্যন্তরের শব্দ বিশ্লেষণ
(ঘ) শক্তিশালী শব্দ দিয়ে পিত্তপাথর বিচূর্ণীকরণ
উত্তরঃ (খ) ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের শব্দের দ্বারা ইমেজিং।
ব্যাখ্যাঃ স্বাভাবিকভাবে মানুষের কানে শ্রুতিগোচর হয় না এমন শব্দকে আলট্রা সাউন্ড বা অতিশব্দ বলে। অতিশাব্দিক ক্ষুদ্র তরঙ্গের সাহায্যে কোনো বস্তুকে স্ক্যান করে যে সংকেত পাওয়া যায় তা ব্যবহার করে ফটো তোলার প্রকিয়ার সাধারণ নাম আলট্রাসনোগ্রাফি। রোগ নির্ণয়, ধাতব বস্তুর ভেতরে কোনো ত্রুটি থাকলে তা ধরা ইত্যাদি নানা কাজে আলট্রাসনোগ্রাফি ব্যবহৃত হয়।
৭। বাংলাদেশে তড়িৎ-এর কম্পাঙ্ক (frequency) প্রতি সেকেন্ডে ৫০ সাইকেল –এর তাৎপর্য কি?
(ক) প্রতি সেকেন্ডে বিদ্যুৎ প্রবাহ ৫০ বার বন্ধ হয়
(খ) প্রতি সেকেন্ডে বিদ্যুৎ প্রবাহ ৫০ একক দৈর্ঘ্য অতিক্রম করে
(গ) প্রতি সেকেন্ডে বিদ্যুৎ প্রবাহ ৫০ বার দিক বদলায়
(ঘ) প্রতি সেকেন্ডে বিদ্যুৎ প্রবাহ ৫০ বার উঠানামা করে
উত্তরঃ (গ) প্রতি সেকেন্ডে বিদ্যুৎ প্রবাহ ৫০ বার দিক বদলায়।
ব্যাখ্যাঃ তরঙ্গ হিসেবে নির্দিষ্ট কোনো রাশি যেমন- শব্দচাপ, বৈদ্যুতিক তীব্রতা তরঙ্গ নির্দেশ করার জন্য অন্যান্য রাশি, সুস্থিত মান থেকে একটি সম্পূর্ণ চক্রে প্রতি একক সময়ে যতবার উঠানামা করে তাই হলো কম্পাঙ্ক (Frequency) । এর সাধারণ একক হলো ‘হার্জ’ (Hertz)।
১৪ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট
১। দৃশ্যমান বর্ণালির ক্ষুদ্রতম তরঙ্গদৈর্ঘ্য কোন রঙের আলোর?
(ক) লাল (খ) সবুজ
(গ) নীল (ঘ) বেগুনী
উত্তরঃ (ঘ) বেগুনী।
ব্যাখ্যাঃ
আলো | তরঙ্গদৈর্ঘ্য |
বেগুনি | |
নীল | |
আসমানি | |
সবুজ | |
হলুদ | |
কমলা | |
লাল |
২। কোন মাধ্যমে শব্দের গতি সবচেয়ে কম?
(ক) শূন্যতায় (খ) কঠিন পদার্থে
(গ) তরল পদার্থে (ঘ) বায়বীয় পদার্থে
উত্তরঃ (ঘ) বায়বীয় পদার্থে।
ব্যাখ্যাঃ মাধ্যম ছাড়া শব্দ চলাচল করতে পারে না বিধায় শূন্য মাধ্যমে শব্দ গতিহীন। মাধ্যমের ঘনত্বের উপর শব্দের গতি নির্ভরশীল। মাধ্যম যতো ঘন হবে শব্দের গতি ততো বেশি হবে। তাই লোহার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় পানি বা বাতাসের চেয়ে লোহায় শব্দের গতি বেশি। স্বাভাবিক অবস্থায় বাতাসে শব্দের দ্রুতি ৩৩২ মি/সে, পানিতে ১৪৫০ মি/সে এবং লোহায় ৫২২১ মি/সে।
৩। বজ্রপাতের সময় আপনি নিজের গাড়ি করে যাচ্ছেন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য আপনি কোন উপায়টি গ্রহণ করবেন?
(ক) গাড়ির মধ্যেই বসে থাকবেন
(খ) কোনো গাছের তলায় আশ্রয় নিবেন
(গ) বাইরে এসে মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়বেন
(ঘ) বাইরে এসে আকাশের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকবেন
উত্তরঃ (গ) বাইরে এসে মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়বেন ।
ব্যাখ্যাঃ বজ্রপাতের সময় ‘শক ওয়েভ’ সৃষ্টি হয় এবং বিদ্যুৎ অপরিবাহী বায়ু ভেদ করে ভূ-পৃষ্ঠের উঁচু স্থানে আকর্ষিত হয়। সেক্ষেত্রে বাইরে এসে মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়া নিরাপদ।
৪। কিসের সাহায্যে সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় করা হয়?
(ক) প্রতিফলন (খ) প্রতিধ্বনি
(গ) প্রতিসরণ (ঘ) প্রতিসরাঙ্ক
উত্তরঃ (খ) প্রতিধ্বনি ।
ব্যাখ্যাঃ সমুদ্রের গভীরতা মাপার জন্য ‘ফ্যাদোমিটার’-এর সাহায্যে শব্দ সৃষ্টি করা হয় এবং এই শব্দ সমুদ্রের গভীরে গিয়ে প্রতিধ্বনি সৃষ্টি হয়ে সমুদ্র পৃষ্ঠে ফিরে আসে। আর এ সময়ের পার্থক্য থেকে সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় করা হয়।
৫। কোথায় সাঁতার কাটা সহজ?
(ক) পুকুরে (খ) বিলে
(গ) নদীতে (ঘ) সাগরে
উত্তরঃ (ঘ) সাগরে।
ব্যাখ্যাঃ যে পানির ঘনত্ব বেশি সে পানিতে সাঁতার কাটা সহজ। সমুদ্রের পানিতে ২.৫% থেকে ৩.৫% লবণ দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে যার ফলে পুকুর, নদী বা বিলের পানির চেয়ে সমুদ্রের পানির ঘনত্ব বেশি। তাই সমুদ্রের পানিতে সাঁতার কাটা সহজ হয়।
৬। ‘এভিকালচার’ বলতে কি বুঝায়?
(ক) উড্ডয়ন সংক্রান্ত বিষয়াদি
(খ) পাখিপালন বিষয়াদি
(গ) বাজ পাখিপালন বিষয়াদি
(ঘ) উড়োজাহাজ ব্যবস্থাপনা
উত্তরঃ (খ) পাখিপালন বিষয়াদি।
ব্যাখ্যাঃ
এপিকালচার | মৌমাছি পালন বিদ্যা |
সেরিকালচার | রেশম চাষ বিদ্যা |
পিসিকালচার | মৎস্য পালন বিদ্যা |
এভিকালচার | পাখি পালন বিদ্যা |
৭। কোন রঙের কাপে চা তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডা হয়?
(ক) সাদা (খ) কালো
(গ) লাল (ঘ) ধূসর
উত্তরঃ (খ) কালো।
ব্যাখ্যাঃ কালো রঙের তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি। চায়ের কাপ কালো রঙের হলে চা থেকে অধিক পরিমাণে তাপ শোষণ করবে এবং এতে চা তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডা হবে।
৮। সাধারণ বৈদ্যুতিক বাল্বের ভিতরে সাধারণত কি গ্যাস ব্যবহার করা হয়?
(ক) নাইট্রোজেন (খ) হিলিয়াম
(গ) নিয়ন (ঘ) অক্সিজেন
উত্তরঃ (ক) নাইট্রোজেন।
ব্যাখ্যাঃ বৈদ্যুতিক বাল্বের ভেতরে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহারের ফলে ফিলামেন্টের তাপমাত্রা এর বেশি উঠতে পারে না। ফলে ফিলামেন্ট গলে যায় না।
১৩ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট
১। একজন সাধারণ মানুষের দেহে মোট কত টুকরা হাড় থাকে?
(ক) ২০৬ (খ) ৩০৬
(গ) ৪০৬ (ঘ) ৫০৬
উত্তরঃ (ক) ২০৬
ব্যাখ্যাঃ মানবদেহের ২০৬টি অস্থির অবস্থানঃ
অক্ষীয় কঙ্কাল-৮০টি | ||||
করোটি | ২৯টি | বক্ষপিঞ্জর | ২৫টি | |
মেরুদণ্ড | ২৬টি | |||
উপাঙ্গীয় কঙ্কাল-১২৬টি | ||||
বক্ষ অস্থিচক্র | ৪টি | শ্রোণী অস্থিচক্র | ২টি | |
বাহু | ৬০টি | পা | ৬০টি | |
২। কোন মৌলিক অধাতু সাধারণ তাপমাত্রায় তরল থাকে?
(ক) ব্রোমিন (খ) পারদ
(গ) আয়োডিন (ঘ) জেনন
উত্তরঃ (ক) ব্রোমিন।
ব্যাখ্যাঃ সাধারণ তাপমাত্রায় একমাত্র মৌলিক তরল অধাতু হলো ব্রোমিন এবং একমাত্র তরল ধাতু হলো পারদ। আয়োডিন ঊর্ধ্বপাতিত পদার্থ এবং জেনন নিষ্ক্রিয় গ্যাস।
৩। কোনটি চৌম্বক পদার্থ?
(ক) পারদ (খ) বিসমাথ
(গ) অ্যান্টিমনি (ঘ) কোবাল্ট
উত্তরঃ (ঘ) কোবাল্ট।
ব্যাখ্যাঃ যে পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে তাকে চৌম্বক পদার্থ বলে। যথা- লোহা, নিকেল ও কোবাল্ট।
৪। উচ্চ পর্বতের চূড়ায় উঠলে নাক দিয়ে রক্তপাতের সম্ভাবনা থোকে; কারণ উচ্চ পর্বত চূড়ায়-
(ক) অক্সিজেন কম (খ) ঠাণ্ডা বেশি
(গ) বায়ুর চাপ বেশি (ঘ) বায়ুর চাপ কম
উত্তরঃ (ঘ) বায়ুর চাপ কম।
ব্যাখ্যাঃ ভূপৃষ্ঠ থেকে যতো উপরে উঠা যায় বায়ুর চাপ ততো কমতে থাকে। উচ্চ পর্বত চূড়ায় বায়ুর চাপ কম থাকায় শরীরের অভ্যন্তরীণ চাপ ও বাহ্যিক চাপের মধ্যকার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে আসে।
৫। কোনো স্থানে মাধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ ৯ গুণ বাড়লে সেখানে একটি সরল দোলকের দোলনকাল কতগুণ বাড়বে বা কমবে?
(ক) ৯ গুণ বাড়বে (খ) ৯ গুণ কমবে
(গ) ৩ গুণ বাড়বে (ঘ) ৩ গুণ কমবে
উত্তরঃ (ঘ) ৩ গুণ কমবে।
ব্যাখ্যাঃ সরল দোলকের ত্বরণের সূত্রানুযায়ী নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের কোনো সরল দোলকের দোলনকাল ঐ স্থানের অভিকর্ষীয় ত্বরণের (g) বর্গমূলের ব্যস্তানুপাতিক ।
৬। সমটান সম্পন্ন একটি টানা তারের দৈর্ঘ্য দ্বিগুণ করলে কম্পনাঙ্কের কতটা পরিবর্তন ঘটবে?
(ক) অর্ধেক হবে (খ) দ্বিগুণ হবে
(গ) তিগুণ হবে (ঘ) চারগুণ হবে
উত্তরঃ (ক) অর্ধেক হবে।
ব্যাখ্যাঃ টানা তারে আড় কম্পনের দৈর্ঘ্যের সূত্রানুযায়ী টান স্থির থাকলে একটি টানা তারের দৈর্ঘ্য এর কম্পাঙ্কের ব্যস্তানুপাতিক অর্থাৎ । সুতরাং তারের দৈর্ঘ্য দ্বিগুণ করলে কম্পনাঙ্ক অর্ধেক হবে।
৭। কোন মাধ্যমে শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি?
(ক) শূন্যতায় (খ) লোহায়
(গ) পানিতে (ঘ) বাতাসে
উত্তরঃ (খ) লোহায়
ব্যাখ্যাঃ শব্দ চলাচলের জন্য জড় মাধ্যমের প্রয়োজন। শূন্য মাধ্যমে শব্দের বেগ শূন্য। জড় মাধ্যমের ঘনত্ব যত বেশি হবে শব্দের গতি তত বেশি হবে। উল্লিখিত মাধ্যমগুলোর মধ্যে লোহার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি হওয়ায় শব্দের গতিও সবচেয়ে বেশি। স্বাভাবিক অবস্থায় বাতাসে শব্দের দ্রুতি ৩৩২ মি/সে, পানিতে ১৪৫০ মি /সে এবং লোহায় ৫২২১ মি/সে।
৮। মঙ্গলগ্রহে প্রেরিত নভোযান কোনটি ?
(ক) সয়ুজ (খ) এপোলো
(গ) ভয়েজার (ঘ) ভাইকিং
উত্তরঃ (ঘ) ভাইকিং।
ব্যাখ্যাঃ ১৯৮৬ সালের ১৩ মার্চ ‘সয়ুজ’ উৎক্ষেপণ করা হয়। এপোলো ১১-এর মাধ্যমে নীল আর্মস্ট্রং চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রথম পা রাখেন। ১৯৭৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র মহাশূন্যের অন্যান্য গ্রহের দিকে ভয়েজার-১ ও ভয়েজার -২ নভোযানদ্বয় প্রেরণ করেন। ১৯৭৬ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র প্রেরিত নভোযান ভাইকিং-১ প্রথমবারের মতো মঙ্গলে অবতরণ করে।
৯। পারমাণবিক বোমার আবিষ্কারক কে?
(ক) আইনস্টাইন (খ) ওপেনহাইমার
(গ) অটোহ্যান (ঘ) রোজেনবার্গ
উত্তরঃ (খ) ওপেনহাইমার।
ব্যাখ্যাঃ আইনস্টাইন ‘আপেক্ষিক তত্ত্ব’ আর ওপেনহাইমার পারমাণবিক বোমা আবিষ্কার করেন।
১০। সিনেমাস্কোপ প্রজেক্টারে কোন ধরনের লেন্স ব্যবহৃত হয়?
(ক) উত্তল (খ) অবতল
(গ) জুম (ঘ) সিলিন্ড্রিক্যাল
উত্তরঃ (খ) অবতল।
ব্যাখ্যাঃ ‘অবতল’ লেন্স সাধারণত গোলাকার লেন্স। দর্পণের উপরিতল প্রান্তের দিকে উঁচু আর মাঝের দিকে ক্রমশ নিচু হয়ে যে আকৃতি হয়, তাকে অবতল লেন্স বলে। সিনেমাস্কোপ প্রজেক্টারে এই ধরনের লেন্স ব্যবহার করা হয়।
১২ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট
১। শহরের রাস্তায় ট্রাফিক লাইট যে ক্রম অনুসারে জ্বলে তা হলো-
(ক) লাল-সবুজ-হলুদ-লাল-সবুজ
(খ) লাল-হলুদ-সবুজ-লাল-হলুদ
(গ) লাল-হলুদ-সবুজ-হলুদ-লাল
(ঘ) লাল-হলুদ-লাল-সবুজ-হলুদ
উত্তরঃ (গ) লাল-হলুদ-সবুজ-হলুদ-লাল।
২। শহরের রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ সাধারণত সাদা ছাতা ও সাদা জামা ব্যবহার করে থাকে কারণ-
(ক) সরকারি নির্দেশ
(খ) দূর থেকে চোখে পড়বে বলে
(গ) তাপ বিকিরণ থেকে বাঁচার জন্য
(ঘ) দেখতে সুন্দর লাগে
উত্তরঃ (গ) তাপ বিকিরণ থেকে বাঁচার জন্য।
৩। যে সর্বোচ্চ শ্রুতি সীমার উপরে মানুষ বধির হতে পারে তা হচ্ছে–
(ক) ৭৫ ডিবি (খ) ৯০ ডিবি
(গ) ১০৫ ডিবি (ঘ) ১২০ ডিবি
উত্তরঃ (গ) ১০৫ ডিবি
ব্যাখ্যাঃ শব্দ উৎসের কম্পন যদি ২০ থেকে ২০,০০০-এর মধ্যে হয় তাহলে মানুষ সেই শব্দ শুনতে পারে। কিন্তু ১০৫ ডিবি সীমার উপর শব্দ মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে মানুষকে বধির করে দিতে পারে।
৪। পানিতে নৌকার বৈঠা বাঁকা দেখা যাওয়ার কারণ, আলোর-
(ক) পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন (খ) প্রতিসরণ
(গ) বিচ্ছুরণ (ঘ) পোলারায়ন
উত্তরঃ (খ) প্রতিসরণ।
ব্যাখ্যাঃ মাধ্যম পরিবর্তনে আলোক রশ্মি অভিমুখ বদলায়। এর নাম প্রতিসরণ। প্রতিসরণের ফলে লঘু মাধ্যম (বায়ু) থেকে ঘনতর (পানি) মাধ্যমে গেলে প্রতিসৃত রশ্মি আপতন বিন্দুতে অঙ্কিত অভিলম্বের দিকে সরে আসবে। আপতন কোণ প্রতিসরণ কোণের চেয়ে বড় হবে। ঘন মাধ্যম থেকে লঘুতর মাধ্যমে গেলে আপতন কোণ প্রতিসরণ কোণ থেকে ছোট হবে। আর প্রতিসরণের জন্যেই বৈঠা বাঁকা দেখায়।
৫। কোনো বস্তুকে পানিতে সম্পূর্ণভাবে ডুবালে পানিতে যেখানে এটা রাখা যায় সেখানেই এটা থাকে কারণ-
(ক) বস্তুর ঘনত্ব পানি ঘনত্বের চেয়ে বেশি
(খ) বস্তুর ঘনত্ব পানির ঘনত্বের চেয়ে কম
(গ) বস্তুর ঘনত্ব পানির ঘনত্বের সমান
(ঘ) বস্তু ও পানির ঘনত্বের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান
উত্তরঃ (গ) বস্তুর ঘনত্ব পানির ঘনত্বের সমান
ব্যাখ্যাঃ কোনো বস্তু দ্বারা অপসারিত পানি যদি ঐ বস্তুর ওজনের চেয়ে বেশি হয় তাহলে সেই বস্তু পানিতে নিমজ্জিত হবে এবং বস্তুর ঘনত্ব পানির ঘনত্বের সমান হলে বস্তুটিকে পানিতে যেখানে রাখা যায় সেখানেই থাকবে।
৬। আকাশে বিজলী চমকায়-
(ক) দুই খণ্ড মেঘ পরস্পর সংঘর্ষে এলে
(খ) মেঘের অসংখ্য পানি ও বরফ কণার মধ্যে চার্জ সঞ্চিত হলে
(গ) মেঘে বিদ্যুৎ পরিবাহী কোষ তৈরি হলে
(ঘ) মেঘ বিদ্যুৎ পরিবাহী অবস্থায় এলে
উত্তরঃ (খ) মেঘের অসংখ্য পানি ও বরফ কণার মধ্যে চার্জ সঞ্চিত হলে
ব্যাখ্যাঃ ‘ধনাত্মক’ ও ‘ঋণাত্মক’ চার্জযুক্ত দুটি মেঘ কাছাকাছি আসলে আকর্ষণের ফলে চার্জ এক মেঘ থেকে অন্য মেঘে দ্রুত ছুটে যায়। ফলে ইলেকট্রনের (চার্জ) গতিপথে যে তীব্র আলোক উৎপন্ন হয় তাকে বিজলী চমকানো বলে।
৭। রান্না করার হাড়ি পাতিল সাধারণত এলুমিনিয়ামের তৈরি হয়। এর প্রধান কারণ-
(ক) এটি হালকা ও দামে সস্তা
(খ) এটি সব দেশেই পাওয়া যায়
(গ) এতে দ্রুত তাপ সঞ্চারিত হয়ে খাদ্যদ্রব্য তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়
(ঘ) এটি সহজে ভেঙ্গে যায় না এবং বেশি গরম সহ্য করতে পারে
উত্তরঃ (গ) এতে দ্রুত তাপ সঞ্চারিত হয়ে খাদ্যদ্রব্য তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়
ব্যাখ্যাঃ এলুমিনিয়াম একটি তাপ সুপরিবাহী পদার্থ। এলুমিনিয়ামের পাত্রে তাপ প্রয়োগ করলে তা সহজেই সমগ্র পাত্রে ছড়িয়ে যায় এবং দ্রুত খাদ্য বস্তু সিদ্ধ হতে সাহায্য করে। তাছাড়া বাণিজ্যিক দিক দিয়েও এলুমিনিয়াম তুলনামূলকভাবে সস্তা।
৮। গ্রিন-হাউজ ইফেক্ট বলতে বুঝায়-
(ক) সূর্যালোকের অভাবে সালোক সংশ্লেষণে ঘাটতি
(খ) তাপ আটকে পড়ে সার্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি
(গ) প্রাকৃতিক চাষের বদলে ক্রমবর্ধমানভাবে কৃত্রিম চাষের প্রয়োজনীয়তা
(ঘ) উপগ্রহের সাহায্যে দূর থেকে ভূমণ্ডলের অবলোকন
উত্তরঃ (খ) তাপ আটকে পড়ে সার্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি।
ব্যাখ্যাঃ বায়ুমণ্ডলে CFC, ও প্রভৃতি গ্যাস দ্বারা স্তর সৃষ্টি হওয়ার কারণে বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরে তাপ আটকে পড়ে এবং সার্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই তাপমাত্রা বৃদ্ধিজনিত কারণে পৃথিবী পৃষ্ঠে যে প্রভাব পড়ে তাই গ্রিনহাউজ ইফেক্ট।
৯। রিমোট সেন্সিং বা দূর অনুধাবন বলতে বিশেষভাবে বুঝায়-
(ক) রেডিও ট্রান্সমিটার সহযোগ দূর থেকে তথ্য সংগ্রহ
(খ) রাডারের সাহায্যে চারদিকের পরিবেশের অবলোকন
(গ) কোয়াসার প্রভৃতি মহাজাতিক উৎস থেকে সংকেত অনুধাবন
(ঘ) উপগ্রহের সাহায্যে দূর থেকে ভূমণ্ডলের অবলোকন
উত্তরঃ (ঘ) উপগ্রহের সাহায্যে দূর থেকে ভূমণ্ডলের অবলোকন।
ব্যাখ্যাঃ উপগ্রহের সাহায্যে অতিশাব্দিক তরঙ্গ বা আল্ট্রা সাউন্ড ওয়েভের মাধ্যমে কোনো বস্তুকে স্ক্যান করে যে সংকেত পাওয়া যায় তা ব্যবহার করে ফটো তোলার মাধ্যমে ভূমণ্ডল অবলোকন করা হয়।
১০। পালতোলা নৌকা সম্পূর্ণ অন্য দিকের বাতাসকেও এর সম্মুখ গতিতে ব্যবহার করতে পারে। কারণ-
(ক) ক্রিয়ার বদলে প্রতিক্রিয়াটি ব্যবহৃত হয়
(খ) সম্মুখ অভিমুখে বলের উপাংশটিকে কার্যকর রাখা হয়
(গ) পালের দড়িতে টানের নিয়ন্ত্রণ বিশেষ দিকে বাতাসকে কার্যকর করে
(ঘ) পালের আকৃতিকে সুকৌশলে ব্যবহার করা যায়
উত্তরঃ (খ) সম্মুখ অভিমুখে বলের উপাংশটিকে কার্যকর রাখা হয়।
ব্যাখ্যাঃ পালতোলা নৌকা যথাযথভাবে হাল ঘুরিয়ে অন্যদিকের বাতাসকেও সম্মুখ গতিতে ব্যবহার করতে পারে।
১১। সাধারণ স্ট্রোরেজ ব্যাটারিতে সিসার ইলেকট্রোডের সঙ্গে যে তরলটি ব্যবহৃত হয় তা হলো-
(ক) নাইট্রিক এসিড (খ) সালফিউরিক এসিড
(গ) এমোনিয়াম ক্লোরাইড (ঘ) হাইড্রোক্লোরিক এসিড
উত্তরঃ (খ) সালফিউরিক এসিড।
ব্যাখ্যাঃ স্টোরেজ ব্যাটারিতে অ্যানোড ও ক্যাথোড হিসেবে তামার ও দস্তার পাত সালফিউরিক এসিডে ডুবিয়ে রাখা হয়।
১২। ফুলানো বেলুনের মুখ ছেড়ে দিলে বাতাস বেরিয়ে যাবার সঙ্গে বেলুনটি ছুটে যায়। কোন ইঞ্জিনের নীতির সঙ্গে এর মিল আছে?
(ক) বাষ্পীয় ইঞ্জিন (খ) অন্তর্দহন ইঞ্জিন
(গ) স্টারলিং ইঞ্জিন (ঘ) রকেট ইঞ্জিন
উত্তরঃ (ঘ) রকেট ইঞ্জিন।
ব্যাখ্যাঃ নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী প্রতিটি ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। তাই বেলুন ছুড়লে পিছন দিয়ে বাতাস নির্গত হয় এবং বেলুন সামনের দিকে এগোয়। এই একই সূত্র রকেট তৈরির ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়েছে।
১৩। ফিউশন প্রক্রিয়ায়-
(ক) একটি পরমাণু ভেঙ্গে প্রচণ্ড শক্তি সৃষ্টি করে
(খ) একাধিক পরমাণু যুক্ত হয়ে নতুন পরমাণু গঠন করে
(গ) ভারী পরমাণু ভেঙ্গে দুটি পরমাণু গঠিত
(ঘ) একটি পরমাণু ভেঙ্গে দুটি পরমাণু সৃষ্টি হয়
উত্তরঃ (খ) একাধিক পরমাণু যুক্ত হয়ে নতুন পরমাণু গঠন করে।
ব্যাখ্যাঃ পরমাণু হতে দুটি পদ্ধতিতে শক্তি উৎপন্ন করা হয়। যে প্রক্রিয়ায় ভারী পরমাণুর নিউক্লিয়াস বিশ্লিষ্ট হয়ে প্রায় সমান ভরের দুটি নিউক্লিয়াস তৈরি হয় এবং বিপুল শক্তি নির্গত হয়, তাকে ‘ফিশন’ বলে। আর যে প্রক্রিয়ায় একাধিক হালকা নিউক্লিয়াস একত্রিত হয়ে একটি অপেক্ষাকৃত ভারী নিউক্লিয়াস গঠন করে এবং অত্যধিক শক্তি নির্গত হয় তাকে ফিউশন বলে। ‘ফিশন’ কে ফিউশন প্রক্রিয়ার বিপরীত প্রক্রিয়া বলা হয়।
১৪। প্রবল জোয়ারের কারণ, এ সময়-
(ক) সূর্য ও চন্দ্র পৃথিবীর সঙ্গে সমকোণ করে থাকে
(খ) চন্দ্র পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে থাকে
(গ) পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে কাছে থাকে
(ঘ) সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী এক সরল রেখায় থাকে
উত্তরঃ (ঘ) সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী এক সরল রেখায় থাকে।
ব্যাখ্যাঃ অমাবস্যায় সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী একই সরল রেখায় এলে পৃথিবীর উপর প্রবল আকর্ষণ অনুভূত হওয়ার ফলে যে প্রবল জোয়ার হয় তাকে তেজ কটাল বলে।
১৫। নিচের কোন উক্তিটি সঠিক?
(ক) বায়ু একটি যৌগিক পদার্থ
(খ) বায়ু একটি মৌলিক পদার্থ
(গ) বায়ু একটি মিশ্র পদার্থ
(ঘ) বায়ু বলতে অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনকেই বুঝায়
উত্তরঃ (গ) বায়ু একটি মিশ্র পদার্থ।
ব্যাখ্যাঃ বায়ুর মধ্যে নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, ধূলিকণা, জলীয়বাষ্প ও নিষ্ক্রিয় গ্যাস রয়েছে। এজন্য বায়ুকে মিশ্র পদার্থ বলা হয়।
১১ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট
১। ধানের ফুলে পরাগ সংযোগ ঘটে–
(ক) বাতাসের সাহায্যে ঝরে পড়ে
(খ) পাতা দ্বারা স্থানান্তরিত হয়ে
(গ) কীটপতঙ্গের সাহায্যে
(ঘ) ফুলে ফুলে সংস্পর্শে
উত্তরঃ (ক) বাতাসের সাহায্যে ঝরে পড়ে।
ব্যাখ্যাঃ ধান বায়ুপরাগী উদ্ভীদ। দিনের প্রথম ভাগে ধানের স্পাইকলেট উন্মুক্ত হয়। এ অবস্থায় পরাগরেণু গর্ভমুণ্ডের উপর ঝরে পড়ে এবং প্রকৃতিগতভাবেই পরাগায়ন ঘটে।
২। ইস্পাত সাধারণ লোহা থেকে ভিন্ন। কারণ এতে–
(ক) বিশেষ ধরনের আকরিক ব্যবহার করা হয়েছে
(খ) সুনিয়ন্ত্রিত পরিমাণ কার্বন রয়েছে
(গ) লোহাকে টেম্পারিং করা হয়েছে
(ঘ) সব বিজাতীয় দ্রব্য বের করে দেয়া হয়েছে
উত্তরঃ (খ) সুনিয়ন্ত্রিত পরিমাণ কার্বন রয়েছে।
ব্যাখ্যাঃ লোহার সঙ্গে সুনিয়ন্ত্রিত মাত্রার কার্বন মিশিয়ে ইস্পাত তৈরি হয়। এত ০.১৫%১.৫% কার্বন থাকে। ফলে এর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পায়।
৩। মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তাকে বলা হয়–
(ক) পরমাণু (খ) ইলেকট্রন
(গ) অণু (ঘ) প্রোটন
উত্তরঃ (ক) পরমাণু।
ব্যাখ্যাঃ মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তাকে পরমাণু বলে। পরমাণুকে ভাঙ্গলে ইলেকট্রন, প্রোট্রন ও নিউট্রন পাওয়া যায়। ‘অণু’ রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না। অণুকে ভাঙ্গলে পরমাণু পাওয়া যায়।
৪। সমুদ্র স্রোতের অন্যতম কারণ–
(ক) বায়ু প্রবাহের প্রভাব
(খ) সমুদ্রের পানিতে তাপ পরিচালনা
(গ) সমু্দ্রের পানিতে ঘনত্বের তারতম্য
(ঘ) সমুদ্রের ঘূর্ণিঝড়
উত্তরঃ (ক) বায়ু প্রবাহের প্রভাব।
ব্যাখ্যাঃ সমুদ্র স্রোতের কারণগুলো হচ্ছে বায়ু প্রবাহ, উষ্ণতার তারতম্য, লবণাক্ততার তারতম্য, বাষ্পীভবনের তারতম্য, ঘভীরতার তারতম্য, পৃথিবীর আবর্তন এবং মূলভাগের অবস্থান।
৫। কাজ করার সামর্থ্যকে বলে–
(ক) ক্ষমতা (খ) কাজ
(গ) শক্তি (ঘ) বল
উত্তরঃ (গ) শক্তি।
ব্যাখ্যাঃ শক্তির এস.আই. একক জুল। কাজ করার হারকে ক্ষমতা বলে। এর এস. আই. একক ওয়াট। কোন বস্তুর উপর প্রযুক্ত বল ও তার অভিমুখে সরণের গুণফলকে কাজ বলে। এর এস. আই. একক জুল। যা কোনো স্থির বস্তুর উপর ক্রিয়া করে তাকে গতিশীল করে বা করতে চায় কিংবা গতিশীল বস্তুর উপর ক্রিয়া করে তার গতির পরিবর্তন করে বা করতে চায় তাকে বল বলে। এর এস. আই. একক নিউটন।
৬। রংধনু সৃষ্টির বেলায় পানির কণাগুলো–
(ক) দর্পণের কাজ করে (খ) আতষীকাচের কাজ করে
(গ) লেন্সের কাজ করে (ঘ) প্রিজমের কাজ করে
উত্তরঃ (ঘ) প্রিজমের কাজ করে।
ব্যাখ্যাঃ সাদা রশ্মি প্রিজমের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় বিভিন্ন বর্ণের রশ্মিতে ভেঙে যায় ও বর্ণালি সৃষ্টি হয়। পানির কণাগুলো রংধনু সৃষ্টির সময় প্রিজমের কাজ করে।
৭। কাচ তৈরির প্রধান কাঁচামাল হলো–
(ক) জিপসাম (খ) বালি
(গ) সাজি মাটি (ঘ) চুনাপাথর
উত্তরঃ (খ) বালি।
ব্যাখ্যাঃ সাধারণ কাচ বালি, সোডিয়াম কার্বনেট, চুনাপাথর প্রভৃতি গলিয়ে কাচ তৈরি করা হয়। বিশেষ গুণসম্পন্ন কাচে সোডিয়ামের পরিবর্তে থাকে সিসা, পটাসিয়াম, বেরিয়াম, কিংবা অন্য ধাতু। তবে কাচ তৈরির প্রধান উপাদান বালি।
৮। মানুষের ক্রোমোজোমের সংখ্যা কত?
(ক) ২৪ জোড়া (খ) ২৬ জোড়া
(গ) ২৩ জোড়া (ঘ) ২৫ জোড়া
উত্তরঃ (গ) ২৩ জোড়া।
ব্যাখ্যাঃ মানুষের ক্রোমোজোম ২৩ জোড়া। এর মধ্যে ২২ জোড়া অটোজোম এবং ১ জোড়া সেক্স ক্রোমোজোম (পুরুষের ক্ষেত্রে XY এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে XX)
৯। সৌরকোষের বিদ্যুৎ রাতেও ব্যবহার করা সম্ভব যদি এর সঙ্গে থাকে–
(ক) ট্রান্সফরমার (খ) জেনারেটর
(গ) ষ্টোরেজ ব্যাটারি (ঘ) ক্যাপামিটার
উত্তরঃ (গ) ষ্টোরেজ ব্যাটারি।
ব্যাখ্যাঃ ষ্টোরেজ ব্যাটারির সাহায্যে দিনের সৌরশক্তিকে সঞ্চিত করে রাতে ব্যবহার করা যায়।
১০। বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ–
(ক) একই হয় (খ) বেশি হয়
(গ) কম হয় (ঘ) খুব কম হয়
উত্তরঃ (ক) একই হয়।
ব্যাখ্যাঃ রেগুলেটরের মাধ্যমে বৈদুতিক পাখার বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যখন বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে ঘুরানোর জন্য বিদ্যুৎ প্রবাহ কমানো হয় তখন অতিরিক্ত বিদ্যুৎ রেগুলেটরে তাপ সৃষ্টি করে। যার ফলে বৈদ্যুতিক পাখা ঘুরলেও বিদ্যুৎ খরচ একই হয় কারণ সবসময় বিদ্যুৎ প্রবাহ একই থাকে।
১১। ঔষধ নীতির প্রধান উদ্দেশ্য হলো–
(ক) অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর ঔষধ প্রস্তুত বন্ধ করা
(খ) ঔষধ শিল্পে দেশীয় কাঁচামালের ব্যবহার নিশ্চত করা
(গ) ঔষধ শিল্পে দেশীয় শিল্পপতিদের অগ্রাধিকার দেয়া
(ঘ) বিদেশী শিল্পপতিদের দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহারে বাধ্য করা
উত্তরঃ (ক) অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর ঔষধ প্রস্তুত বন্ধ করা
১২। সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর চাপ প্রতি বর্গ সেন্টিমিটাররে–
(ক) ১০ কি. মি. (খ) ১০ নিউটন
(গ) ২৭ কি. মি. (ঘ) ৫ কি. মি.
উত্তরঃ (খ) ১০ নিউটন।
ব্যাখ্যাঃ যে কোনো পদার্থের মত বায়ুর নিজস্ব ওজন আছে। বায়ুর এই ওজনজনিত কারণে যে চাপের সৃষ্টি হয় তাই বায়ুর চাপ। সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর চাপ প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে ১০ নিউটন বা ৬.৪৫ বর্গ সেন্টিমিটারে ৬.৭ কেজি।
১৩। সর্বপ্রথমে যে উফশি ধান এ দেশে চালু হয়ে এখনো বর্তমান রয়েছে তা হলো–
(ক) ইরি-৮ (খ) ইরি-১
(গ) ইরি-২০ (ঘ) ইরি-৩
উত্তরঃ (ক) ইরি-৮।
ব্যাখ্যাঃ ইরি-৮ নামক ‘উফশি’ অর্থাৎ উচ্চ ফলনশীল ধান বাংলাদেশে প্রথম চালু হয়।
৯০। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো–
(ক) নাইট্রোজেন গ্যাস (খ) মিথেন
(গ) হাইড্রোজেন গ্যাস (ঘ) কার্বন মনোক্সাইড
উত্তরঃ (খ) মিথেন।
ব্যাখ্যাঃ প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদান হলো: মিথেন ৮০% –৯০%, ইথেন ১৩%, প্রোপেন ৩%। এছাড়া বিউটেন, ইথিলিন ও নাইট্রোজেন কিছু পরিমাণ থাকে।
১০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট
১। নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের একটি উদাহরণ হলো–
(ক) পারমাণবিক জ্বালানি (খ) পীট কয়লা
(গ) ফুয়েল সেল (ঘ) সূর্য
উত্তরঃ (ঘ) সূর্য।
ব্যাখ্যাঃ যেসব শক্তি উৎস অফুরন্ত এবং বারবার করা যায় তাদেরকে নবায়নযোগ্য শক্তি উৎস বলা হয়। সূর্য, পানি বায়ু নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস। অন্যদিকে যে শক্তির উৎস অফুরন্ত নয় এবং বারবার ব্যবহারের ফলে এক সময় নিঃশেষিত হয়ে যায় সেগুলোকে অনবায়নযোগ্য শক্তি বলে। কয়লা, গ্যাস, তেল পারমাণবিক জ্বালানি ইত্যাদি অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস।
২। পেসার কুকারে রান্না তাড়াতাড়ি হয় কারণ–
(ক) রান্নার জন্য তাপ নয় চাপও কাজে লাগে
(খ) বদ্ধ পাত্রে তাপ সংরক্ষিত হয়
(গ) উচ্চচাপে তরলের স্ফুটনাংক বৃদ্ধি পায়
(ঘ) সঞ্চিত বাষ্পের তাপ রান্নায় সহায়ক
উত্তরঃ (গ) উচ্চচাপে তরলের স্ফুটনাংক বৃদ্ধি পায়।
ব্যাখ্যাঃ বায়ুর চাপ যতো বৃদ্ধি পায় পানি বা তরলের স্ফুটনাঙ্ক ততো বৃদ্ধি পায়। প্রেসার কুকারে বাষ্পের বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাপ বৃদ্ধির ফলে পানির স্ফুটনাঙ্ক বৃদ্ধি পায়। এ কারণে প্রেসার কুকারে রান্না তাড়াতাড়ি হয়।
৩। যে তিনটি মুখ্য বর্ণের সমন্বয়ে অন্যান্য বর্ণ সৃষ্টি করা যায় সেগুলো হলো–
(ক) লাল, হলুদ, নীল (খ) লাল, কমলা, বেগুনী
(গ) হলুদ, সবুজ, নীল (ঘ) লাল, নীল, সবুজ
উত্তরঃ (ঘ) লাল, নীল, সবুজ।
ব্যাখ্যাঃ তিনটি মৌলিক রং হচ্ছে লাল, নীল (আসমানী) ও সবুজ। এই রংগুলোর সমন্বয়ে গঠিত হয় অন্যান্য রং।
৪। ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে কাল্পনিক রেখাটি বাংলাদেশের উপর দিয়ে গিয়েছে তা হলো–
(ক) মূল মধ্যরেখা (খ) কর্কটক্রান্তি রেখা
(গ) মকরক্রান্তি রেখা (ঘ) আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা
উত্তরঃ (খ) কর্কটক্রান্তি রেখা।
ব্যাখ্যাঃ নিরক্ষরেখার ২৩.৫০ উত্তর অক্ষাংশকে কর্কটক্রান্তি এবং ২৩.৫০ দক্ষিণ অক্ষাংশকে মকরক্রান্তি রেখা বলে। বাংলাদেশের প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা গেছে। লন্ডনের গ্রিনিচ মান মন্দিরের ওপর দিয়ে উত্তরমেরু ও দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত যে মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে তাকে মূল মধ্যরেখা বলা হয়। ১৮০০ দ্রাঘিমাংশ বরাবর এক কাল্পনিক রেখাকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলা হয়।
৫। মাছ অক্সিজেন নেয়–
(ক) মাঝে মাঝে পানির উপর নাক তুলে
(খ) পানিতে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন বিশ্লিষ্ট করে
(গ) পটকার মধ্যে জমানো বাতাস হতে
(ঘ) পানির মধ্যে দ্রবীভূত বাতাস হতে
উত্তরঃ (ঘ) পানির মধ্যে দ্রবীভূত বাতাস হতে।
ব্যাখ্যাঃ সাধারণত মাছ ফুলকার সাহায্যে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাধ্যমে শ্বাসকার্য চালায়।
৬। কচুশাক বিশেষভাবে মূল্যবান যে উপাদানের জন্য তা হলো–
(ক) ভিটামিন-‘এ’ (খ) ভিটামিন-‘সি’
(গ) লৌহ (ঘ) ক্যালসিয়াম
উত্তরঃ (গ) লৌহ।
ব্যাখ্যাঃ কচুশাকের উল্লেখযোগ্য উপাদান লৌহ। তাছাড়া একে ভিটামিন-এ, ক্যালসিয়াম অক্সালেট এবং অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে।
৭। সাধারণ ড্রাইসেলে ইলেকট্রোড হিসাবে থাকে–
(ক) তামার দণ্ড ও দস্তারর দণ্ড
(খ) তামার পাত ও দস্তার পাত
(গ) কার্বন দণ্ড ও দস্তার কৌটা
(ঘ) তামার দণ্ড ও দস্তার কৌটা
উত্তরঃ (গ) কার্বন দণ্ড ও দস্তার কৌটা।
ব্যাখ্যাঃ ড্রাইসেলে উপাদান হিসেবে থাকে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের পেষ্ট, কার্বন দণ্ড, দস্তার তৈরি চোঙাকৃতির পাত্র, ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড, কয়লার গুড়ো, পিতলের টুপি এবং শক্ত কাগজ। এতে ইলেকট্রোড হিসেবে কার্বন দণ্ড ও দস্তার তৈরি চোঙাকৃতি পাত্র ব্যবহৃত হয়।
৮। দূরের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হতে বিদ্যুৎ নিয়ে আসতে হলে হাইভোল্টেজ ব্যবহার করার কারণ–
(ক) এতে বিদ্যুতের অপচয় কম হয়
(খ) এতে কমে গিয়েও প্রয়োজনীয় ভোল্টেজ বজায় থাকে
(গ) অধিক বিদ্যুৎ প্রবাহ পাওয়া যায়
(ঘ) প্রয়োজনমতো ভোল্টজ কমিয়ে ব্যবহার করা যায়
উত্তরঃ (ক) এতে বিদ্যুতের অপচয় কম হয়।
ব্যাখ্যাঃ বৈদ্যুতিক তারের রোধের জন্য উচ্চ ভোল্টেজ ব্যবহার করে দূরবর্তী স্থানে বিদ্যুৎ নিয়ে আসা হয়। এতে বিদ্যুতের অপচয় কম হয়।
৯। সংকর ধাতু পিতলের উপাদান হলো–
(ক) তামা ও টিন (খ) তামা ও দস্তা
(গ) তামা ও নিকেল (ঘ) তামা ও সীসা
উত্তরঃ (খ) তামা ও দস্তা।
ব্যাখ্যাঃ সংকর ধাতু পিতলে ৬৫% তামা এবং ৩৫% দস্তা থাকে। তামা ও টিনের সংকর ধাতু হলো ব্রোঞ্জ।
১০। আমাদের দেহকোষ রক্ত হতে গ্রহণ করে–
(ক) অক্সিজেন ও গ্লুকোজ
(খ) অক্সিজেন ও রক্তের আমিষ
(গ) ইউরিয়া ও গ্লুকোজ
(ঘ) এমাইনো এসিড ও কার্বন ডাইঅক্সাইড
উত্তরঃ (ক) অক্সিজেন ও গ্লুকোজ।
ব্যাখ্যাঃ রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন, গ্লুকোজ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান দেহের সকল কোষে স্থানান্তরিত হয়। লোহিত রক্ত কণিকার হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড পরিবহন হরে।
১১। পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে আমরা ছিটকিয়ে পড়ি না–
(ক) মহাকর্ষ বলের জন্য
(খ) মাধ্যাকর্ষণ বলের জন্য
(গ) আমরা স্থির থাকার জন্য
(ঘ) পৃথিবীর সঙ্গে আমাদের আবর্তনের জন্য
উত্তরঃ (খ) মাধ্যাকর্ষণ বলের জন্য।
ব্যাখ্যাঃ যে বল দ্বারা পৃথিবী সবকিছুকেই তার কেন্দ্রের দিকে টানে, তাকে মাধ্যাকর্ষণ বল বলে। এই মাধ্যাকর্ষণের জন্যে সবকিছু পৃথিবীর সঙ্গে লেগে থাকে এবং ছিটকে মহাশূন্যে যায় না।
১২। নিচের কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয়?
(ক) পেট্রোলিয়াম (খ) কয়লা
(গ) প্রাকৃতিক গ্যাস (ঘ) বায়োগ্যাস
উত্তরঃ (ঘ) বায়োগ্যাস।
ব্যাখ্যাঃ কোটি কোটি বছর পূর্বে গাছ-গাছড়া, জীবজন্তু প্রভৃতি ভূমিকম্পসহ নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে ভূ-অভ্যন্তরে চাপা পড়ে যায় এবং ভূ-অভ্যন্তরের প্রচণ্ড চাপ ও তাপে এসব পদার্থের জৈব বিধ্বংসী পাতন ঘটে এবং পেট্রোলিয়াম, কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাস আকারে ভূ-অভ্যন্তরে অবস্থান করে। এগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানী বলে। বায়োগ্যাস জীবাশ্ম জ্বালানি নয় কারণ এটি গাজন প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয়।
১৩। বৈদ্যুতিক মটর এমন একটি যন্ত্রকৌশল, যা–
(ক) তাপ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিকে রূপান্তরিত করে
(খ) তাপ শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে
(গ) যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে
(ঘ) তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে
উত্তরঃ (ঘ) তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
ব্যাখ্যাঃ যে যন্ত্র তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে তাকে বৈদ্যুতিক মটর বলে এবং যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপন্তরকারী যন্ত্রকে জেনারেটর বলে।
১৪। যে বায়ু সর্বদাই উচ্চচাপ অঞ্চল হতে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়, তাকে বলা হয়–
(ক) আয়ন বায়ু (খ) প্রত্যয়ন বায়ু
(গ) মৌসুমী বায়ু (ঘ) নিয়ত বায়ু
উত্তরঃ (ঘ) নিয়ত বায়ু।
ব্যাখ্যাঃ পৃথিবীর চাপ বলয় দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে বায়ু উচ্চচাপ অঞ্চল হতে নিম্নচাপ অঞ্চল প্রবাহিত হওয়ার সময় উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে যায়। এভাবে সারা বছর একই দিকে নিয়মিতভাবে যে বায়ু প্রবাহিত হয় তাকে নিয়ত বায়ু বলে।
১৫। জলজ উদ্ভিদ সহজে ভাসতে পারে, কারণ–
(ক) এরা অনেক ছোট হয়
(খ) এদের কাণ্ডে অনেক বায়ু কুঠুরী থাকে
(গ) এরা পানিতে জন্মে
(ঘ) এদের পাতা অনেক কম থাকে
উত্তরঃ (খ) এদের কাণ্ডে অনেক বায়ু কুঠুরী থাকে।
ব্যাখ্যাঃ জলজ উদ্ভিদের কাণ্ড প্রচুর পরিমাণে বায়ু কুঠুরী রয়েছে, যেগুলোতে বায়ু থাকায় জলজ উদ্ভিদ সহজেই পানির উপর ভেসে থাকতে পারে।
BCS এর সকল প্রশ্ন পেতে এখানে ক্লিক করুন