আলোকশক্তি ও শব্দ ও তরঙ্গ কি এবং কত প্রকার কি কি
আলোকশক্তি ও শব্দ ও তরঙ্গ
আলোকশক্তি কি এই নিয়ে কারো অজানা নয়। বন্ধুরা, আজকে আমরা আলোকশক্তি ও শব্দ ও তরঙ্গ নিয়ে বিভিন্ন চাকরির পরিক্ষায় যেমন– BCS, BANK, NTRCA, ALL GOVT EXAM সহ সকল সরকারি বেসরকারি চাকুরির পরীক্ষায় আলোকশক্তি ও শব্দ ও তরঙ্গ থেকে ?Question করে।তাই চাকরি প্রত্যাশিদের জন্য আজকের টপিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলো তাহলে শুরু করি।
?Question: আলো কী?
?Answer: আলো এক প্রকার শক্তি যা চোখে প্রবেশ করে দর্শনের অনুভূতি জনায়।
?Question: পরমাণুতে কোনো শক্তি সরবরাহ করা হলে ইলেকট্রন এক খোলক থেকে লাফিয়ে অন্য খোলকে চলে যায়, পরে আবার ওরা যখন নিজ খোলকে ফিরে আসে তখন কোন শক্তি পাওয়া যায়?
?Answer: আলোশক্তি।
?Question: আলোর গতি প্রতি সেকেন্ড কত মাইল?
?Answer: ১,৮৬,০০০। [নোট: আলোর বেগ সবচেয়ে বেশি শূন্য মাধ্যমে। আবার শব্দের বেগ শূন্য মাধ্যমে শূন্য। শব্দের বেগ সবচেয়ে বেশি কঠিন মাধ্যমে তথা লোহাতে বেশি]
?Question: কীভাবে আলোর বর্ণ নির্ধারিত হয়?
?Answer:: আলোর তরঙ্গের মাধ্যমে।
?Question: কোন বিজ্ঞানী ফটো তড়িৎ ক্রিয়া ব্যাখ্যার জন্য নোবেল পুরস্কার পান?
?Answer::> বিজ্ঞানী আইনস্টইন।
?Question: আলোর প্রতিসরণ বলতে কী বুঝায়?
?Answer: রশ্মি এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে যাওয়ার সময় মাধ্যমন্বয়ের বিভেদ তলে তীর্ষকভাবে আপতিত আলোকরশ্মির দিক পরিবর্তন করার ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।
?Question: পানিতে একটি কাঠি ডুবিয়ে রাখলে তা বাঁকা দেখা যায় কেন?
?Answer::> আলোর (মনে রাখুন, এক দিকে কাত হয়ে সরে যায়।)
?Questionঃ সূর্যোদয়ের খানিটা পূর্বে ও পরে সূর্যকে দেখা যায় কেন?
?Answer::> বায়ুমণ্ডলীয় আলোর প্রতিসরণের জন্য।
?Question: গোধূলির কারণ কী?
?Answer::> বায়ুমণ্ডলীয় আলোর প্রতিসরণের জন্য।
?Question: চাঁদ দিগন্তের কাছে অনেক বড় দেখায় কেন?
?Answer::> বায়ুমণ্ডলীয় আলোর প্রতিসরণের জন্য ।
?Question: আলোর বিক্ষেপণ কিসের উপর নির্ভর করে?
?Answer::> কোন আলোর কী পরিমাপ বিক্ষেপণ ঘটে তা নির্ভর করে এর রঙ বা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উপর। আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত কম হবে তার বিক্ষেপণ তত বেশি হবে এবং আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হলে তার বিক্ষপেণ তত কম হবে।
?Questionঃ দৃশ্যমান কালির ক্ষুদ্রতম তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কোন রক্তের আলোর
?Answer::> বেগুনি।
?Questionঃ দৃশ্যমান কাালির বৃহত্তম তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কোন রঙের আলোর?
?Answer::> লাল
?Questionঃ কোন বর্ণের আলোর বিচ্যুতি সবচেয়ে কম?
?Answer::>লাল।
?Questionঃ কোন বর্ণের আলোর বিচ্যুতি সবচেয়ে বেশি।
?Answer::> বেগুনি।
?Questionঃ কোন রং বেশি দূর থেকে দেখা যায় এবং কেন?
?Answer::> লাল আলো বেশি দূর থেকে দেখা যায়। কারণ লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় কম বিক্ষেপিত হয়।
?Questionঃ সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের সময় সূর্য লাল দেখায় কেন?
?Answer::> লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি বলে।
?Questionঃ দুপুর বেলা সূর্যকে হলদে দেখায় কেন?
?Answer::> আলোর বিক্ষেপণের জন্য।
?Question: আকাশ নীল দেখায় কেন?
?Answer::> নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম বলে সূর্য রশ্মির আলো বায়ুর অণু দ্বারা বেশি বিক্ষিপ্ত হয়। অর্থাৎ, নীল আলোর বিক্ষেগণ বেশি হওয়ার কারণে আকাশ নীল দেখায়।
?Question: আলোর প্রতিফলন বলতে কী বুঝায়?
?Answer::> আলো যখন বায়ু বা অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য কোন মাধ্যমে বাধা পায় তখন দুই মাধ্যমের বিভেদতল থেকে কিছু পরিমাণ আলো প্রথম মাধ্যমে আসে; একে আলোর প্রতিফলন বলে।
?Questionঃ কোন বর্ণের আলোর প্রতিসরণ সবচেয়ে কম?
?Answer::> লাল। কারণ লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি।
?Questionঃ কোন বর্ণের আলোর প্রতিসরণ সবচেয়ে বেশি?
?Answer::> বেগুনি। কারণ বেগুনি আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কম।
?Questionঃ বায়ুমণ্ডল না থাকলে আকাশের রঙ কেমন দেখাত এবং কেন?
?Answer: বায়ুমণ্ডল না থাকলে আকাশ অন্ধকার বা কালো দেখাত।
কারণ সেক্ষেত্রে আলো বিক্ষেপণ হতো না।
?Questionঃ দিনের বেলায় চাঁদকে সাদা দেখায় কেন?
?Answer::>৪ দিনের বেলায় আকাশ কর্তৃক বিক্ষিপ্ত হালকা নীল আলো চাঁদের নিজস্ব হলুদ রঙের সাথে মিশে যায়। এ দুইটি বর্ণের মিশ্রণের ফলে চোখে চাঁদকে সাদা মনে হয়।
?Question: মৌলিক রঙ বা মৌলিক বর্ণ কয়টি?
?Answer::>৩টি। (লাল, নীল, সবুজ) মনে রাখার টেকনিক আসল- আ> আসমানী (নীল) >>
?Questionঃ রঙ্গিন টিভিতে ব্যবহৃত মৌলিক রঙ কয়টি?
?Answer::> ৩টি। (লাল, নীল, সবুজ)।
?Questionঃ দিনের বেলায় গাছের পাতা সবুজ দেখায় কেন?
?Answer::> পাতার ক্লোরোফিল সবুজ বর্ণ ব্যতীত সকল বর্ণকে শোষণ করে।
?Questionঃ একটি লাল ফুলকে সবুজ আলোতে রাখলে কেমন দেখাবে?
?Answer::> : কালো
?Question: সবুজ আলোতে একটি হলুদ ফুলকে কেমন দেখাবে?
?Answer::> কালো
?Questionঃ বরফ সাদা দেখায় কেন?
?Answer::> বরফ কোনো আলো শোষণ না করে সব আলো প্রতিফলিত করে বলে।
?Questionঃ শহরের রাস্তায় ট্রাফিক লাইটে কোন ক্রম অনুসারে আলো দেখায়?
?Answer::>লাল-হলুদ-সবুজ-হলুদ।
?Question: মানুষের চোখের লেপ কিরূপ?
?Answer::> দ্বি-উত্তল।
?Questionঃ লেন্সের ক্ষমতার একক কী?
?Answer::> ভায়াল্টার।
?Question। মানুষের দর্শানুভূতির স্থায়িত্বকাল কত?
?Answer::> ০.১ সেকেন্ড।
?Questionঃ রড কোষ ও কোণ কোষের কোথায় অবস্থিত?
?Answer::> রেটিনায় ।।
?Questionঃ কোথায় আলো পড়লে এক প্রকার উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ফলে মস্তিষ্কে দর্শনের অনুভূতি জাগে?
?Answer::> রেটিনায়
?Question: আলট্রাসনোগ্রাফি কী?
?Answer::> ছোট শব্দের দ্বারা ইমেজিং।
?Questionঃ ফটোগ্রাফিক প্লেটে কিসের আবরণ আছে?
?Answer::> সিলডার আয়োডাইডের।
?Questionঃ আয়নার পেছনে কিসের প্রলেপ দেয়া হয়?
?Answer::> রৌপ্য বা সিলভার।
?Questionঃ দর্পণ কাকে বলে?
?Answer::> যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাকে দর্পণ বলে।
?Questionঃ লেন্স কাকে বলে?
উত্তর: দুটি গোলীয় পৃষ্ঠ দ্বারা সীমাবদ্ধ কোনো স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যমকে লেন্স বলে।
?Questionঃ দর্পন কত প্রকার ও কী কী?
?Answer::> দর্পন দুই প্রকার।
যথা: ১. উত্তল দর্পন ও
২. অবতল দর্পন।
- উত্তল দর্পন
১। পিছনের যানবহন বা পথচারী দেখার জন্য গাড়িতে ব্যবহৃত
২। উত্তল দর্পণ দিয়ে বিস্তৃত এলাকা দেখা যায় বলে দোকান বা শপিংমলে নিরাপত্তার কাজে উত্তল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।
৩। প্রতিফলক টেলিস্কোপ তৈরিতে এই দর্পণ ব্যবহৃত হয়।
৪। রাস্তার বাতিতে প্রতিফলক রূপে।
● অবতল দর্পণ:
১। দন্ত চিকিৎসকগণ ব্যবহার করেন।
২। টর্চলাইট, স্টিমার বা লঞ্চের সার্চলাইটে প্রতিফলক হিসেবে।
৩। আলোক ও তাপশক্তি ইত্যাদি কেন্দ্রীভূত করে কোন বস্তুকে উত্তপ্ত করতে রাস্তার এবং টিভি সংকেত সংগ্রহে ব্যবহৃত হয়। যেমন: ডিশ অ্যান্টেন, সৌরচুটি, টেলিস্কোপ এবং বাড়ার সমমাহক ইত্যাদিতে।
৪। ডাক্তাররা চোখ, নাক, কান লা পরীক্ষা করার জন্য অবতল দর্পন ব্যবহার করেন।
১। আতশী কাঁচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
২। চশমা, ক্যামেরা, ম্যাগনিফাইড গ্লাস (বিবর্ধক কাঁচ),
অণুবীক্ষণ যত্ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। ৩। আগুন জ্বালানোর কাজে ব্যবহৃত হয়।
● অবতল লেন্স:
১। সিলেনাজেল প্রজেক্টরে অবতল লেন্স ব্যবহৃত হয়। (মনে রামুন সিনেমা দেখে ছেলেমেয়েগুলো অধঃপতনে তথ্য অবতলে গেল।)
?Question: যে প্রক্রিয়ায় সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও পানি মাধ্যমে শর্করা বা কার্বহাইড্রেট উৎপন্ন করে তাকে কী বলে?
উত্তর : সালোকসংশ্লেষণ।
?Question: সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে উদ্ভিদ গ্রহণ করে কোনটি?
?Answer::> কার্বন ডাই-অক্সাইড।
?Questionঃ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে উদ্ভিদ ত্যাগ করে কোনটি?
?Answer::> অক্সিজেন।
?Question: কীসের মাধ্যমে উদ্ভিদ খাবার তৈরি করে?
উত্তর সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে।
?Questionঃ খাবার তৈরির জন্য উদ্ভিদ বায়ু থেকে কোনটি গ্রহণ করে।
?Answer::> কার্বন ডাই-অক্সাইড।
?Question। সালোকসংশ্লেষণ কোথায় ঘটে?
?Answer::> প্লাস্টিডে।
?Questionঃ সালোকসংশ্লেষণের ফলে কী তৈরি হয়
?Answer::> শর্করা জাতীয় খাদ্য উৎপন্ন হয়।
?Questionঃ সালোকসংশ্লেষণের ফলে উপজাত হিসেবে কী তৈরি হয়।
?Answer::> অক্সিজেন ও পানি।
?Questionঃ কোন আলোতে সালোকসংশ্লেষণ বেশি হয়?
?Answer::> লাল আলোতে।
?Questionঃ কোন আলোতে সালোকসংশ্লেষণ হয় ?
?Answer: সবুজ ও হলুদ আলোতে।
পরীক্ষার হলে যেখানে ভুল হতে পারে
- রঙিন টেলিভিশনে রঙ থাকে ৩টি।
- রংধনুতে রঙ থাকে ৭টি। রংধনু সৃষ্টির কারণ বৃষ্টির কণা।
- রংধনু সৃষ্টির সময় পানির কণাগুলো প্রিজমের মতো কাজ করে।
- কোনো বস্তু যখন সমস্ত আলো শোষণ করে, তখন বস্তুটিকে – কালো দেখাবে।
- কোনো বস্তু যখন সমস্ত কোনো আলোই শোষণ করে না, তখন বস্তুটিকে কালো দেখাবে।
- কোন রঙের কাপে চা তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয় কালো।
- কোন রঙের কাপে চা বেশিক্ষণ গরম থাকে- সাদা।
- কোন আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি = লাল
- কোন আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম= বেগুনি
- কোন আলোর প্রতিসরণ সবচেয়ে বেশি = বেগুনি
- কোন আলোর প্রতিসরণ সবচেয়ে কম = বেগুনি
- কোন আলোর বিক্ষেপণ সবচেয়ে বেশি = বেগুনি
- কোন আলোর বিক্ষেপণ সবচেয়ে কম = লাল
- কোন বর্ণের আলোর বিচ্যুতি সবচেয়ে বেশি = বেগুনি
- কোন আলোর বিচ্যুতি সবচেয়ে কম = লাল
- আকাশ নীল হওয়ার কারণ- নীল আলোর বিক্ষেপণ বেশি
- সাগরের পানি নীল হওয়ার কারণ- নীল আলোর বিক্ষেপণ
- সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় আকাশ লাল দেখায় লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি বলে।
- নীল কাচের মধ্য দিয়ে হলুদ ফুল- কালো দেখায়।
- লাল আলোতে গাছের পাতা কালো দেখায়। লাল ফুলকে সবুজ আলোয় কালো দেখায়।
আলোর বিক্ষেপণের কিছু ঘটনা।
*আকাশ নীল দেখায়
*সমুদ্র নীল দেখায়
.
আলোর প্রতিসরণের কিছু উল্লেখ কিছু ঘটনা
• পানিতে নৌকার বৈঠা বাঁকা দেখায়
* চাঁদ দিগন্তের কাছে অনেক বড় দেখায়
পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের কিছু ঘটনা
- মরীচিকা
- অপটিক্যাল ফাইবারে আলোক সংকেত
- হীরক উজ্জ্বল দেখায়।
শব্দ ও তরঙ্গ
- যে পর্যায়কৃত আন্দোলন কোন জড় মাধ্যমের একস্থান থেকে অন্য স্থানে শক্তি সঞ্চারিত করে কিন্তু মাধ্যমের কণাগুলোকে স্থানান্তরিত করে না তাকে বলে- তরঙ্গ।
- তরঙ্গ দুই প্রকার। যথা: অনুগ্রস্থ তরঙ্গ ও অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ।
- কোন একটি কম্পমান বস্তু বা কথা এক সেকেন্দ্রে যতগুলো পূর্ণ কম্পন সম্পন্ন করে, তাকে বলে তার কম্পাঙ্ক।
- কম্পাংকের একক হচ্ছে হার্জ ।
- শক্তির একটি বিশেষ তরঙ্গ রুপ যা আমাদের কানে অনুভূতি লাগায়, তাকে বলা হয়- শব্দ।
- শব্দার জন্য প্রয়োজন হয় জড় মাধ্যম।
- চাঁদে শব্দনের জন্য জড় মাধ্যম অর্থাৎ বায়ু নেই বল চাঁদে শব্দ শোনা যায় না।
- শব্দের বেগের তীব্রতার ক্রম- কঠিন> তরল>বায়বীয়।
- ড্যাকিউয়ামে শব্দের বেগ শুন্য ।
- ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এবং স্বাভাবিক চাপে শব্দের গতিবেগ।
- লোহাতে শব্দের বেগ ৫২২১ মিটার/সেকেন্ড।
- পানিতে শব্দের বেগ- ১৪৫০ মিটার/সেকেন্ড
- শুষ্করায়ুতে শব্দের বেগ- ৩৩২ মিটার/সেকেন্ড।
- বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে গেলে শব্দের বেগ বেড়ে যায়।
- শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে যে বিমান চলে তাকে বলে সুপারসনিক বিমান।
- কোন উৎস থেকে সৃষ্ট শব্দ যদি দূরবর্তী কোন মাধ্যমে বাধা পেয়ে উৎসের কাছে ফিরে আসে তখন মূল ধ্বনির যে পুনরাবৃত্তি হয় তাকে বলে- শব্দের প্রতিধ্বনি।
- শব্দের প্রতিধ্বনি শোনার জন্য উৎস ও প্রতিফলকের মধ্যবর্তী ন্যূনতম দুরত্ব হওয়া প্রয়োজন- ১৬.৬ মিটার।
- শব্দের কম্পাংক ২০ হার্জ থেকে ২০০০০ হার্জ এর মধ্যে সীমিত থাকলে আমরা যে শব্দ শুনতে পাব, তাকে বলে শ্রাব্যতার সীমা।
- যে শব্দ তরঙ্গের কম্পকে ২০০০০ হার্জ এর চেয়ে বেশি তাকে বলে- শ্রবণোত্তর বা শব্দোত্তর তরঙ্গ।
- তাপ বা ঘনত্বের বৃদ্ধির সাথে সাথে শব্দের দ্রুতি বেড়ে যায়। এক লোহার মধ্যে শব্দ বাতাসের তুলনায় ১৫ গুণ দ্রুত চলে।
- শব্দের তীষ্মতা নির্ভর করে শব্দ তরঙ্গের বিস্তারের উপর।
- একটি মাত্র কম্পাংক বিশিষ্ট শব্দকে বলে- সুর জ একাধিক কম্পাংক বিশিষ্ট শব্দকে বলে- স্বর।
- শ্রবণোত্তর শব্দ সাধারণভাবে শুনতে পায় না মানুষ।
- আলুটাসনোগ্রাফি হলো-ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের শব্দের ধরা ইমেজিং।
- শব্দের তীব্রতা পরিমাপ করা হয়- অডিওমিটারের মাধ্যমে।
- শব্দ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যম প্রয়োজন’ এটি প্রথম প্রমাণ করেন- অটো ভন গেরিক।
- শব্দের সাহায্যে নির্ণয় করা যায় না বস্তুর ঘনত্ব।
- শব্দ সবচেয়ে দ্রুত চলে- আর্দ্র ও ভেলা বাতাসে। এ সমটান সম্পন্ন টানা তারের দৈর্ঘ্য ছিলে করলে কম্পাংক হবে- অর্ধেক।
- একটি শূন্য পাত্রকে আঘাত করলে পানি ভয় পাত্রের চেয়ে বেশি শব্দ হয়, করণ বাতাসে শব্দ তরঙ্গের বিস্তার বেশি। কুকুর বিড়াল, চামচিকা শুনতে পায়- আল্ট্রাসনিক শব্দ। বায়ু অপেক্ষা পানিতে শব্দের বেগ- প্রায় ৪ গুণ বেশি।
- তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বাড়লে শব্দের তীব্রতা কমে।
পদার্থ ও তাদের অবস্থান
পদার্থ কি?
● পদার্থ যার ভর আছে, যা স্থান দখল করে অবস্থান করে তাকে পদার্থ বলে।
পদার্থের কত প্রকার?
- পদার্থের অবস্থাভেদে পদার্থ তিনটি অবস্থায় থাকতে পারে।
যথাঃ কঠিন, তরল ও বায়বীয়।
তাপ পদার্থের তিন অবস্থায় রূপান্ত রের কারণ। পানি একমাত্র পদার্থ যা প্রকৃতিতে কঠিন (বরফ), তরুল (পানি) এবং বায়বীয় (জলীয় বাষ্প) তিনটি অবস্থাতেই পাওয়া যায়।
* কঠিন পদার্থ :
কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন এবং দৃঢ়তা আছে। আর অণুসমূহ পরস্পরের অতি সন্নিকটে অবস্থান করে। যেমন বালু, পাথর, লবণ।
• তরল পদার্থ :
তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন আছে কিন্তু নির্দিষ্ট আকার নেই। তরল পদার্থের অণুসমূহ পরস্পরের সন্নিকটে থাকে, তবে তাদের মধ্যকার আকর্ষণ কঠিন পদার্থের মত প্রবল নয়। উদাহরণ। পানি, কেরোসিন।
বায়বীয় পদার্থ
বায়বীয় পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন নেই। বায়বীয় পদার্থের অণুসমূহের দূরত্ব অনেক বেশি, তাই আকর্ষণ শক্তি অনেক কম। ফলে তারা মুক্তভাবে চলাচল করে।
উদাহরণ: নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, মিথেন।
গলনাংক
যে অবস্থায় কোন পদার্থ কঠিন পদার্থ হতে তরল অবস্থায় পরিণত হয়, তাকে সে পদার্থের গলনাকে বলে। পানির গলনাংক ০° সেন্টিগ্রেড। কোনো কঠিন পদার্থ বিশুদ্ধ নাকি অবিদ্ধ তা গলনাংকের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়।।
• স্ফুটনাংক:
যে তাপমাত্রায় কোন তরল পদার্থ ফুটতে থাকে, তাকে সে পদার্থের স্ফুটনাংক বলে। পানির স্ফুটনাংক ১০০° সেন্টিগ্রেড। চাপ বৃদ্ধি পেলে ফুটনাংক বৃদ্ধি পায়, চাপ কমলে ফুটনাংক কমে। যে তাপে বস্তুর তাপমাত্রার পরিবর্তন না ঘটিয়ে শুধু অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় সে তাপকে বলে- সুপ্ততাপ।
● উর্ধ্বপাতন : কোনো কোনো ক্ষেত্রে কঠিন পদার্থকে উত্তপ্ত করলে তা তরলে রূপান্তরিত না হয়ে সরাসরি বাষ্পে রূপান্তরিত হয়, এই প্রক্রিয়াকে ঊর্ধ্বপাতন বলে। যেমন: কর্পূর, গন্ধক, আয়োডিন, ন্যাপথালিন, নিশাদল, অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, আর্সেনিক, বেনজয়িক এসিড ইত্যাদি
● পদার্থের শ্রেণিবিভাগ :
পদার্থকে ২ টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যথা- (১) মিশ্র ও (২) খাঁটি বস্তু
মিশ্রণ:
দুই বা ততোধিক পদার্থকে যে কোন অনুপাতে একত্রে মিশালে যদি তারা নিজ নিজ ধর্ম বজায় রেখে পাশাপাশি অবস্থান করে, তবে উক্ত সমাবেশকে মিশ্রণ বলে। বায়ু একটি মিশ্র পদার্থ।
খাঁটি বস্তু
খাঁটি বস্তু ২ ভাগে বিভক্ত । যথা- (ক) মৌল ও (২) যৌগ।
(ক) মৌল বা মৌলিক পদার্থঃ
যে পদার্থকে রাসায়নিকভাবে বিশেষণ করলে অন্য কোন সহজ বস্তুতে রূপান্তরিত করা যায় না, তাকে মৌল বা মৌলিক পদার্থ বলে। যেমন: হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, সোনা, তামা। পৃথিবীতে বর্তমানে মৌলিক পদার্থের সংখ্যা ১১৮টি। এদের মধ্যে বর্তমানে ৯৮টি প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। কৃত্রিম উপায়ে প্রাপ্ত মৌলিক পদার্থের সংখ্যা ২০টি।
(খ) যৌগ বা যৌগিকঃ
পদার্থ যে বস্তুকে রাসায়নিকভাবে বিশে-ষণ করলে দুই বা ততোধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়, তাকে যৌগ বা যৌগিক পদার্থ বলে। যেমন: পানি।
পদার্থের পরিবর্তন দুই ধরণের। যথা
(১) ভৌত বা অবস্থাগত পরিবর্তন
(২) রাসায়নিক পরিবর্তন।
(১) ভৌত বা অবস্থাগত পরিবর্তন কি?
যে পরিবর্তনের ফলে পদার্থের শুধু বাহ্যিক আকার বা অবস্থার পরিবর্তন হয় কিন্তু নতুন কোন পদার্থে পরিণত হয় না, তাকে ভৌত পরিবর্তন বলে। যেমন: পানিকে ঠাণ্ডা করে বরকে এবং তাপ দিয়ে জলীয় বাষ্পে পরিণত করা, একটি লোহার টুকরাকে ঘর্ষণ করে চুম্বকে পরিণত করা ও তাপ নিয়ে মোম গলানো।
- ভৌত পরিবর্তনের উদাহরণ
- লোহাকে চুম্বকে পরিণত করা।
- চিনিকে পানিকে দ্রবীভূত করা।
- কঠিন মোমকে তাপে গলানো।
- বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানো ।
- পানিকে ঠাণ্ডা বরফে পরিণত করা।
- পানিকে তাপ দিয়ে জলীয় বাষ্পে পরিণত করা।
(২) রাসায়নিক পরিবর্তন কি?
যে পরিবর্তনের ফলে এক বা একাধিক বস্তু প্রত্যেকে তার নিজস্ব সত্তা হারিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট এক বা একাধিক নতুন বস্তুতে পরিণত হয়, তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে। যেমন: লোহায় মরিচা ধরা, দুধকে ছানায় পরিণত করা, চাল সিদ্ধ করে তাতে পরিণত করা ও দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানো।
* রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ
- লোহায় মরিচা পড়া
- সুধকে জানায় পরিণত করা
- মোমবাতির দহন
- দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানো
- গাছের পাতায় খাদ্য তৈরি প্রক্রিয়া
পদার্থ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- যার ভর আছে, জায়গা দখল করে এবং তা আছে তাই পদার্থ ।
- মিশ্ৰণ দুই প্রকার। যথা সমসত্ত্ব ও অসমসত্ত্ব।
- খাটি বস্ত দুই প্রকার। যথা: মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ।
- মৌলিক পদার্থ চার প্রকার। যথা ধাতু, উপবাতু, অধাতু ও নিষ্ক্রিয় মৌল।
- যৌগিক পদার্থ দুই প্রকার। যথা। জৈব যৌগ ও অজৈব যৌগ।
- যে সকল বস্তুকে রাসায়নিকভাবে বিশে-ষণ করে অন্য কোন সহল বস্তুতে রুপান্তরিত করা যায় না, তাকে বলে- মৌলিক পদার্থ ।
- এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত মৌলিক পদার্থের সংখ্যা- ১১৮ টি।
- প্রকৃতিতে প্রাপ্ত মৌলিক পদার্থের সংখ্যা- ১৮ টি।
- প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সবচেয়ে হালকা মৌল হাইড্রোজেন।
- .প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সবচেয়ে ভারী মৌল- ইউরেনিয়াম
- সর্বশেষ আবিষ্কৃত মৌল- আনানসেপ্টিয়াম।
- যে সব মৌল কখনো ধাতু কখনো অধাতুর ন্যায় আচারণ করে তাকে বলে- উপধাতু। যেমন: আর্সেনিক, বোরন, সিলিকন।
- তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী মৌলকে বলে ধাতু।
- যেসব মৌল প্রধানত তাপ ও বিদ্যুৎ অপরিবাহী তাদের বলে- অধাতু।
- দুই বা ততোধিক পদার্থকে যে কোনো অনুপাতে মিশালে যদি তারা নিজ নিজ ধর্ম বজায় রেখে পাশাপাশি অবস্থান করে, তবে উক্ত সমাবেশকে বলে- মিশ্রণ।
- বায়ু একটি মিশ্র পদার্থ।
- সবচেয়ে হালকা গ্যাস হাইড্রোজেন। সবচেয়ে ভারী পদার্থ- তরল মারকারি বা পারদ।
- পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি- ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গলনাংক, ফুস্ফুটনাংক এবং ঘনত্ব হলো পদার্থের ভৌত ধর্ম।
- যেসব কঠিন পদার্থ উত্তপ্ত করলে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয় তাকে বলে- উর্ধ্বপাতিত/উদ্বায়ী পদার্থ। যেমন : আয়োডিন, কর্পূর, নিশাদল।
চৌম্বক ও অচৌম্বক পদার্থ।
চুম্বক কাকে বলে?
যে সকল বস্তুর আকর্ষণ ও দিক নির্দেশক ধর্ম আছে, তাকে চুম্বক বলে। এখানো উল্লেখ্য যে, কোনো পদার্থকে চুম্বকে পরিণত করলে এর ভর, ঘনত্ব, আয়তন বা উষ্ণতার কোনো কিছুরই পরিবর্তন হয় না।
চৌম্বক পদার্থ কাকে বলে?
যে সকল পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে এবং যাদেরকে চুম্বকে পরিণত করা যায়, সে সকল পদার্থকে চৌম্বক পদার্থ বলে। সহজভাবে বলা যায়, লোহা ও লোহার যৌগ এবং লোহা ও ইস্পাত যুক্ত সংকর ধাতুসমূহকে চৌম্বক পদার্থ বলে। চৌম্বক পদার্থগুলো মনে রাখার কৌশল: চলো নিকা-ই করি
চ= চুম্বক পদার্থ
লো= লোহা
নি= নিকেল
কা= কোবাল্ট
অচৌম্বক পদার্থ কি?
যে সকল পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে না এবং যাদেরকে চুম্বকে পরিণত করা যায় না, সে সকল পদার্থকে অচৌম্বক পদার্থ বলে। এককথায় চৌম্বক পদার্থের বিপরীত হলো অচৌম্বক পদার্থ।
অচৌম্বক পদার্থগুলো হলো: সোনা, রুপা, তামা, তামা, অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল ইত্যাদি।
অচৌম্বক পদার্থগুলো মনে রাখার কৌশল: আলোর সোনার
পিতা স্টিল এর মতো। আলোর= অ্যালুমিনিয়াম
সোনা সোনা
পি= পিতল
স্টিল= স্টিল
আজ আর নয় আজকের গুরুত্বপূর্ন টপিক আলোকশক্তি সম্পর্কে । আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। সবার শুভকামনায়…মোঃ শাহাবুদ্দিন মিয়া।