ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সমূহ কি কি? ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
জেনে নিন-ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সমূহ কি কি? ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সমূহ জানতে হলে আমাদের নিচের পোষ্টটি পড়তে পারেন। আমরা চেষ্টা করেছি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সমূহ নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করার জন্য। ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা। ডেঙ্গু বাহিত এডিস ইজিপ্টাই মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে , ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিভার এবং হেমরেজিক ফিভার।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সমূহ জেনে নিনঃ
০ ১০১ থেকে ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলেই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন প্রকাশ পায়।
• ডেঙ্গু জ্বর সাধারনত একজন মানুষের দেহে ৪ থেকে ৬ দিন স্থায়ী থাকতে পারে।
• ডেঙ্গু জ্বর হলে জ্বরের পাশাপাশি মাথা ব্যথা, পেটে ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা।
• অনেক সময় ব্যথা এতো তীব্র হয় যে মনে হয় হাড় ভেঙ্গে যাচ্ছে। তাই এই জ্বরের আরেক নাম “ব্রেক বোন ফিভার”।
• জ্বর একটানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেবার পর আবারও জ্বর আসতে পারে।
• সমস্ত শরীরে ব্যথা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে লালচে দাগ অর্থাৎ র্যাশের সৃষ্টি হয়।
ডেঙ্গু জ্বরের কারণে আপনার শরীরের যা হয়ঃ
ডেঙ্গু জ্বরের কারনে শরীরে বিভিন্ন জটিলতা দেখা যায়। দুই তিন দিন জ্বরের পর শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায় ও শরীর দুর্বল হতে থাকে যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি আবশ্যক হয়ে পরে। এছাড়াও জ্বর এতোটাই তীব্র হয় যে আইসিইউতে ভর্তি করতে হতে পারে।
এছাড়াও ডেঙ্গু হলে আর বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ লক্ষ করা যায় নিম্নে এর একটি তালিকা উল্লেখ করা হলঃ
-ডেঙ্গু আক্রান্ত বেক্তির প্রচণ্ড পেট ব্যথা হতে পারে।
-ঘন ঘন বমি হতে পারে।
-অধিক মাত্রায় পানি পিপাসা লাগতে পারে।
-দাতের মাড়ি থেকে রক্তপাত দেখা দিতে পারে।
-রক্ত বমি হতে পারে।
-নাক থেকে রক্তপাত হতে পারে।
-কালো পায়খানা হতে পারে।
-প্রচণ্ড শ্বাস কষ্ট হতে পারে।
-শরীরের তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যেতে পারে।
-নাক থেকে রক্তপাত হতে পারে।
-কালো পায়খানা হতে পারে।
-প্রচণ্ড শ্বাস কষ্ট হতে পারে।
-শরীরের তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যেতে পারে।
-ডায়রিয়া হতে পারে।
-শরীর প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
-অধিক সময় ধরে প্রস্রাব না হওয়া।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সমূহ
ডেঙ্গু জ্বরের কারন সমূহ
ডেঙ্গু মশা সাধারনত অপরিছন্ন স্থানে বসবাস করে না। পরিষ্কার স্থানে ডিম পারে।বস্তি বা যেখানে ঘন বসতি সেখানে ডেঙ্গু দেখা যায় না বললেই চলে, এর জন্য ডেঙ্গু কে ভদ্র মশাও বলা হয়। রাস্তায় জমে থাকা পানি, টায়ারের ভেতর জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গু ডিম পারে।তাছাড়া বাড়ির ছাদে জমে থাকা পানিতেও ডিম পারে
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কখন ঘটে
ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী এডিস মশা অন্ধকারে কামড়ায় না।এরা সাধারনত সকালের দিকে বা সন্ধ্যার আগে কামড়ায়।
কামড়ানোর হার সবথেকে বেশি থাকে সূর্যোদয়ের পর দুই তিন ঘণ্টা এবং সূর্যাস্তের আগের কয়েক ঘণ্টা। দিনের বাকিটা সময় যে কামড়াবে না এমন টা না তবে সূর্যোদয়ের পর পর এবং সূর্যাস্তের কয়েক ঘণ্টা আগে ডেঙ্গুর কামড়ানোর প্রভাব বেশি থাকে।
একবার কামড়ানোর পরই যে জ্বর আসবে বা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হবে এমনটা নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে দিনের যে কোন সময় ডেঙ্গু কামড়াতে পারে এক বা একাধিক বার ডেঙ্গু কামড়াতে পারে। দেহ উক্ত ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হলেই ডেঙ্গু জ্বর হবে,
ডেঙ্গু মশা চেনার উপায়
ডেঙ্গু মশা সাধারনত দিনের বেলায় কামড়ায়। তাই সহজেই ডেঙ্গু মশা নির্বাচন করা যাবে। ডেঙ্গু মশার গায়ে সাদা কালো ডোরাকাটা দাগ থাকে। যার জন্য ডেঙ্গু মশাকে টাইগার মশাও বলা হয়। ডেঙ্গু মশা আকারে অনেক বড় বা অনেক ছোটো হয় না। এ মশা সাধারনত মাঝারি আকারের হয়ে থাকে।
এডিস মশার অ্যান্টেনা কিছুটা দাঁড়ির মতো দেখায়।পুরুষ মশার অ্যান্টেনা স্ত্রী মশার চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি লোমশ দেখতে হয়। যার ফলে এডিস মশার আকৃতি এবং এর গঠন আমরা সহজে বুঝতে পারি।