আবহাওয়া ও জলবায়ু
শিক্ষার্থী বন্ধুরা, প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিও। আজকের পাঠশালায় তোমাদের জন্য থাকছে আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কে । প্রথমে নিজেরা ভালো করে পড়ে চেষ্টা করবে . পাঠশালায় প্রকাশিত কপিগুলো সংগ্রহে রেখে নিয়মিত অনুশীলন করবে।
- বাংলাদেশের প্রায় মধ্য ভাগ দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রান্ত করেছে।
- গ্রীনিচমান সময় অপেক্ষা বাংলাদেশের সময় ৬ ঘন্টা অগ্রগামী।
- বাংলাদেশের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২৬.০১ সেলসিয়াস।
- ঢাকায় আজ পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ৪২.৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৯৬০ সালে)।
- বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ৪৫.১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৮ মে, ১৯৭২ সালে রাজশাহীতে)।
- সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ১.৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৫ সালে দিনাজপুরে)।
- বাংলাদেশে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২০৩ সেঃমিঃ।
- বাংলাদেশে সর্বোচ্চ গড় বৃষ্টিপাত সিলেটের লালখানে (৩৮৮ সে.মি.)।
- বাংলাদেশের উঞ্চতম স্থান নাটোরের লালপুর।
- বাংলাদেশে সর্বনিম্ন গড় বৃষ্টিপাত নাটোরের লালপুরে (১৫৪ সে.মি.)।
- বাংলাদেশের উঞ্চতম জেলা রাজশাহী।
- বাংলাদেশের শীতলতম স্থান শ্রীমঙ্গল।
- বাংলাদেশের শীতলতম জেলা সিলেট।
- বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল।
- বাংলাদেশের শীতলতম মাস জানুয়ারী।
- বাংলাদেশের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ।
- বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে।
- বাংলাদেশের আবহাওয়া কেন্দ্র ৪টি ঢাকা, পতেঙ্গা, কক্সবাজার ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় অবস্থিত।
- বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস ৩৫টি।
- বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য মৌসুমী বায়ু।
- বাংলাদেশে বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর জন্য।
- ভূমির ওপর দিয়ে আসা বাতাস শুষ্ক থাকে বলে বাংলাদেশে শীতকালে বৃষ্টিপাত হয় না ।
- ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ ক্রান্তীয় জলবায়ু অন্তর্গত।
- ঢাকার প্রতিপাদ স্থান চিলির নিকট প্রশান্ত মহাসাগরে।
- বর্ষা ঋতুকে ‘স্বতন্ত্র ঋতু’ বলা হয়।
- SPARRSO = Space Research and Remote Sensing Organization.
- SPARRSO ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
- SPARRSO ঢাকার আগারগাঁয়ে অবস্থিত।
- SPARRSO প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীন।
- গ্রিন পিস নেদারল্যান্ড ভিত্তিক আন্তর্জাতিক পরিবেশ আন্দোলনের নাম।
- গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ায় তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
- গ্রিন-হাউসের ক্ষতির কারণ CFC গ্যাস।
- পরিবেশ আন্দোলনের সূচনাকারী হেনরী ডেভিড হ্যারো (ইংল্যান্ড)।
- বায়ুমন্ডলের স্ট্যাটোস্ফিয়ার স্তরে ওজনের বিপুল উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
- দেশের রাডার কেন্দ্র কক্সবাজারে।
আবহাওয়ার উপাদান
আবহাওয়ার উপাদান বলতে সেসকল উপাদানকে বোঝায়, যাদের পরিবর্তনের ভিত্তিতে কোনো স্থানের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থার পরিবর্তন সূচিত হয়। আবহাওয়ার এমন উপাদানগুলো হলো:
জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগ
- গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু
- নিরক্ষীয় জলবায়ু
- মৌসুমী জলবায়ু
- নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু
- হীমমণ্ডলীয় জলবায়ু
আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে পার্থক্য
জলবায়ু বিদ্যার দুটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হল আবহাওয়া ও জলবায়ু। এই আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়, যা নিচে আলোচনা করা হল। আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে পার্থক্য গুলি হল –
সংজ্ঞা
আবহাওয়া বলতে কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানের নির্দিষ্ট সময়ের বায়ুর উষ্ণতা, আর্দ্রতা, বায়ু চাপ, বায়ুপ্রবাহ, মেঘাচ্ছন্ন তা প্রভৃতি কে বোঝানো হয়ে থাকে।
কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের 30 থেকে 40 বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থাকে জলবায়ু বলে।
পরিবর্তনশীলতা
আবহাওয়া প্রতিদিন, এমন কি প্রতি ঘণ্টার ব্যবধানে ও পাল্টাতে পারে।
কোনো স্থানের জলবায়ু দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে পরিবর্তিত হয়ে থাকে।
বিস্তার
আবহাওয়া স্বল্প পরিসর স্থানে বিস্তৃত হয়ে থাকে। অনেক সময় পাশাপাশি অবস্থিত দুটি স্থানের মধ্যে আবহাওয়া গত পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
জলবায়ু একটি বিশাল পরিসরে বিস্তৃত থাকে। কখনো কখনো একটি দেশের অন্তর্গত সমস্ত স্থানের জলবায়ু একই প্রকৃতির হয়ে থাকে।
উপাদান
আবহাওয়ার প্রধান উপাদান গুলি হল উষ্ণতা, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত, বায়ুর চাপ, বায়ু প্রবাহ, মেঘাচ্ছন্ন তা প্রভৃতি।
জলবায়ুর প্রধান দুটি উপাদান বা নিয়ন্ত্রক হল তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত।
প্রভাব
আবহাওয়া মানুষের দৈনন্দিন জীবনের উপর প্রভাব ফেলে থাকে।
জলবায়ু সেই অঞ্চলের মানুষের জীবন প্রণালী, কৃষিকাজ, উদ্ভিদের প্রকৃতি, মানুষের স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক অবস্থা প্রভৃতির উপর প্রভাব ফেলে।
অধ্যায়ন
আবহাওয়া সম্পর্কে অধ্যায়ন আবহবিদ্যা বা Meteorology বলে।
জলবায়ু সম্পর্কে অধ্যাযন কে জলবায়ু বিদ্যা বা Climatology বলে।