Health Tips

পুষ্টি কাকে বলে। পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা কি ?

ADX Ads

পুষ্টি কাকে বলে? | What Is Nutritionঃ খাদ্যের সকল প্রকার উৎস থেকে (শর্করা, খনিজ, প্রোটিন, পানি, ভিটামিন ও ফ্যাট) থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে যে শক্তি শোষিত হয় ও দেহ সুস্থ থাকে তাকে পুষ্টি বলে। পুষ্টি কাকে বলে শিক্ষার্থীদের শরীর সুস্থ রাখতে অবশ্যই জানা উচিত।

ADX ads 2

পুষ্টি কি?

যার মাধ্যমে জীব খাদ্য গ্রহণ, শোষণ, পরিবহন ও হজম করে থাকে তাকে পুষ্টি বলে। দেহের প্রয়োজনীয় চাহিদা ও শক্তির উৎস এই পুষ্টি। পুষ্টি দেহকে পুনর্গঠন করে। দেহের ক্ষয়প্রাপ্ত কোষকে পুনর্গঠন করে এবং দেহ বৃদ্ধির জন্য যে কোষ কাজ করে তা নতুন করে গঠণ করে থাকে। তাই পুষ্টি তাকে আমাদের জানতে হবে।

পুষ্টি কাকে বলে?

যে প্রক্রিয়ায় জটিল খাদ্যগুলো ভেঙ্গে সরল উপাদানে পরিণত হয় ও দেহে পরিবাহিত ও শোষিত হয় তাকেই পুষ্টি বলে। দেহে তাপ উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ, নতুন কোষ উৎপাদন, দেহের ক্ষয়রোধে পুষ্টি খুবই জরুরি।

পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা

পুষ্টির মাধ্যমে একটি দেহ সম্পূর্ণরূপে কাজ করে থাকে ও বাহ্যিক শক্তি দেখায়।
নির্দিষ্ট পরিমাণ পুষ্টি দেহ কোষকে বাড়িয়ে দেহের বৃদ্ধিতে সহায় করে থাকে।
পুরনো কোষ মেরামত, নতুন কোষ পুনর্গঠণে পুষ্টি কাজ করে থাকে।
পুষ্টি পরিমিত পরিমাণে দেহে সরবারহের জন্য নিয়মিত ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।

পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা
(i) জীবদেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য, যেমন—চলন, গমন, রেচন, জনন প্রভৃতির জন্য শক্তি প্রয়োজন এবং তা পুষ্টি থেকে সংগৃহীত হয়।

(ii) দেহের বৃদ্ধি, ক্ষয়পূরণ ও বিভিন্ন বিপাক ক্রিয়ার জন্য শক্তি সংগ্রহ করা।

(iii) পুষ্টির মাধ্যমেই জীবের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে।

খাদ্যের ৬ টি উপাদানই প্রতিদিনই নির্দিষ্ট পরিমাণে শরীরের জন্য দরকারী। একেকটি উপাদান একেকটি পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে শরীরকে ও দেহকে ভালো রাখতে। তাই প্রতিটি উপাদানই নিয়মিত গ্রহণ করা উচিত। যেমন : শর্করা, ফ্যাট, ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজ, এবং পানি।
পুষ্টি গ্রহণের ফলে শারীরবৃত্তিয় কাজ সহজ হয় এবং শরীর সুস্থ থাকে। তাই পুষ্টি কাকে বলে জানা দরকার কারণ তা শরীরের জন্য জরুরি।

পুষ্টি হলো জীবের একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। এটি এমন প্রক্রিয়া হিসাবেও সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যার মাধ্যমে জীবগুলি খাদ্য গ্রহণ করে, হজম করে, শোষণ করে, পরিবহন করে। শোষণের পরে খাদ্য উপাদানগুলো দেহের সকল অঙ্গের ক্ষয়প্রাপ্ত কোষের পুনর্গঠন ও দেহের বৃদ্ধি জন্য নতুন কোষ গঠন করে।

সুতরাং যে প্রক্রিয়ায় খাদ্যবস্তু খাওয়ার পরে পরিপাক হয় এবং জটিল খাদ্য উপাদানগুলো ভেঙে সরল উপাদানে পরিণত হয়ে দেহে শোষিত হয় তাকেই পুষ্টি বলে।

আমাদের প্রত্যেকে প্রতিদিন প্রয়োজনীয় সমস্ত উপাদানগুলির সাথে সুষম পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করে তা নিশ্চিত করা জরুরি কারন পুষ্টিকর খাদ্য দেহে তাপ উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ ও রক্ষাণাবেক্ষণ করে।

পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা:

সঠিক পুষ্টি ছাড়া আপনার দেহ সর্বোত্তমভাবে কাজ করতে অক্ষম। পর্যাপ্ত পুষ্টি আপনাকে আপনার দেহকে বাড়িয়ে তোলে এবং বৃদ্ধি এবং মেরামতের জন্য এটি পুষ্ট করে তোলে। আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার সুষম পরিসরের রাখুন। আপনাকে প্রয়োজনীয় সঠিক পুষ্টি সরবরাহের জন্য সঠিক উপাদানগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যেমন: শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাট এবং ভিটামিন এবং খনিজ ও পানি।

আপনি যদি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করেন এবং প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেন যা আপনার শরীরকে ইমিউন/রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।


উপরোক্ত হনাফোটিতে আমরা পুষ্টি কাকে বলে, পুষ্টি কি এবং পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জেনেছি। আশাকরি ইনফোটি শিক্ষার্থীদের কাজে লাগবে। পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

আড়ও পড়ুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button