BCS PreparationNTRCA Preparation

পরিবেশ বিজ্ঞান কি ? পরিবেশ বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

ADX Ads

Table of Contents

ADX ads 2

বাস্তুতন্ত্র কাকে বলে উদাহরণ দাও

পৃথিবীর বিভিন্ন পরিবেশে বিভিন্ন জীব বসবাস করে। প্রতিটি বাসস্থানের বিভিন্ন এলাকায় জলবায়ু, আবহাওয়া ও অন্যান্য অজীব এবং জীব উপাদানের মধ্যে প্রচুর পার্থক্য দেখা যায়। এসব পার্থক্যের কারণে পৃথিবীজুড়ে স্থানভেদেবিচিত্র সব জীবের বসতি। বনজঙ্গলে তুমি যে ধরনের জীব দেখবে, পুকুরে বসবাসরত জীব তাদের থেকে ভিন্ন। এসব পরিবেশের জীব ও অজীব উপাদানের মধ্যে রয়েছে এক নিবিড় সম্পর্ক। আবার একটি পরিবেশের উদ্ভিদ ও প্রাণজীবন ধারণের জন্য একে অন্যের উপর নির্ভরশীল। এভাবে যে কোনো একটি পরিবেশের অজীব এবং জীবউপাদানসমূহের মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া, আদান-প্রদান ইত্যাদির মাধ্যমে পরিবেশে যে তন্ত্র গড়ে ওঠে তাই বাস্তুতন্ত্রনামে পরিচিত।

পরিবেশ বিজ্ঞান কি ? পরিবেশ বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

পরিবেশ বিজ্ঞান কি ? পরিবেশ বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর
পরিবেশ বিজ্ঞান কি

বাস্তুতন্ত্রের উপাদান

অজীব এবং জীব এই দুটি প্রধান উপাদান নিয়ে বাস্তুতন্ত্র গঠিত।

অজীব উপাদান : বাস্তুতন্ত্রের প্রাণহীন সব উপাদান অজীব উপাদান নামে পরিচিত। এই অজীব উপাদান আবার দুইধরনের। (ক) অজৈব বা ভৌত উপাদান এবং (খ) জৈব উপাদান। অজীব উপাদানের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার খনিজ পদার্থ, মাটি, আলো, পানি, বায়ু, তাপ, আর্দ্রতা ইত্যাদি। সকল জীবের মৃত ও গলিত দেহাবশেষ জৈব উপাদান নামেপরিচিত। পরিবেশের জীব উপাদানের বেঁচে থাকার জন্য এসব অজৈব ও জৈব উপাদান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

জীব উপাদান : পরিবেশের সকল জীবন্ত অংশই বাস্তুতন্ত্রের জীব উপাদান। বাস্তুতন্ত্রকে কার্যকরী রাখার জন্য এসকল জীব যে ধরনের ভূমিকা রাখে তার উপর ভিত্তি করে এসব জীব উপাদানকে (ক) উৎপাদক, (খ) খাদক এবং(গ) বিয়োজক এ তিন ভাগে ভাগ করা হয়।

(ক) উৎপাদক : সবুজ উদ্ভিদ যারা নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে তারা উৎপাদক নামে পরিচিত। যারাউৎপাদক তারা সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে সালোকসংস্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে। যার উপরবাস্তুতন্ত্রের অন্যান্য সকল প্রাণী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল।

(খ) খাদক বা ভক্ষক : যে সকল প্রাণী উদ্ভিদ থেকে পাওয়া জৈব পদার্থ খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে বা অন্য কোনোপ্রাণী খেয়ে জীবন ধারণ করে তারাই খাদক বা ভক্ষক নামে পরিচিত। বাস্তুতন্ত্রে তিন ধরনের খাদক রয়েছে।

প্রথম স্তরের খাদক : যে সকল প্রাণী উদ্ভিদভোজী তারা প্রথম স্তরের খাদক। এরা তৃণভোজী নামেও পরিচিততৃণভোজী প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে ছোট কীটপতঙ্গ থেকে শুরু করে অনেক বড় প্রাণী। যেমন- গরু, ছাগল ইত্যাদি।

দ্বিতীয় স্তরের খাদক : যারা প্রথমস্তরের খাদকদেরকে খেয়ে বাঁচে। যেমন- পাখি, ব্যাঙ, মানুষ ইত্যাদি। এরা মাংসাশী বলেও পরিচিত।

তৃতীয় স্তরের খাদক বা সর্বোচ্চ খাদক : যারা দ্বিতীয় স্তরের খাদকদের খায়। যেমন- কচ্ছপ, বক, ব্যাঙ, মানুষ ইত্যাদি। এদের মধ্যে কোনো কোনো প্রাণী আবার একাধিক স্তরের খাবার খায়। এদেরকে বলা হয় সর্বভুক। আমরাযখন ডাল, ভাত, আলু ইত্যাদি খাই, তখন আমরা প্রথম স্তরের খাদক। আবার আমরা যখন মাছ, মাংস খাই, তখনআমরা দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্তরের খাদক।

বিয়োজক : এরা পচনকারী নামেও পরিচিত। পরিবেশে কিছু অণুজীব আছে, বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক যারামৃত উদ্ভিদ ও মৃত প্রাণীর দেহের উপর ক্রিয়া করে। এসময় মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। ফলেমৃতদেহ ক্রমশ বিয়োজিত হয়ে নানা রকম জৈব ও অজৈব দ্রব্যাদিতে রূপান্তরিত হয়। এসব দ্রব্যের কিছুটা ব্যাকটেরিয়াও ছত্রাক নিজেদের খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। মৃতদেহ থেকে তৈরি বাকি খাদ্য পরিবেশের মাটি ও বায়ুতে জমা হয়।

যা উদ্ভিদ পুনরায় ব্যবহার করে। এভাবে প্রকৃতিতে অজীব ও জীব উপাদানের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া হয়ে বাস্তুসংস্থান সচল থাকে।

বাস্তুতন্ত্রের প্রকারভেদ

প্রাকৃতিক পরিবেশে দু’ধরনের বাস্তুতন্ত্র রয়েছে। স্থলজ এবং জলজ বাস্তুতন্ত্র। 

পরিবেশ বিজ্ঞান

স্থলজ বাস্তুতন্ত্র

এ ধরনের বাস্তুতন্ত্র আবার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন- বনভূমির বাস্তুতন্ত্র, মরুভূমির বাস্তুতন্ত্র ইত্যাদি।বনভূমির বাস্তুতন্ত্রের উদাহরণ হিসেবে আমরা বাংলাদেশের বনভূমি অঞ্চলের কথা বলতে পারি। বাংলাদেশের বনভূমিআঞ্চলকে প্রধান দুটো অঞ্চলে ভাগ করা হয়। (ক) সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চল এবং (খ) খুলনার সমুদ্র।উপকূলবর্তী সুন্দরবন অঞ্চল। নিচে সুন্দরবনের বস্তুতন্ত্রের সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।

সুন্দরবনের বনভূমি অন্যান্য অঞ্চলের বনভূমি থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্যের। খুলনা জেলার দক্ষিণে সমুদ্র উপকূল থেকেভিতরের দিকে এ অঞ্চল বেশ কয়েক মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত। জোয়ার-ভাটার কারণে এ অঞ্চলের মাটির লবণাক্ততা বেশি,কাজেই লবণাক্ত পানি সহ্য করার ক্ষমতাসম্পনড়ব উদ্ভিদই এ বনাঞ্চলে জন্মে। সুন্দরবনের বনাঞ্চল ম্যানগ্রোভ বন নামেপরিচিত। এ বনের মাটি বেশ কর্দমাক্ত। কাজেই এর ভিতর দিয়ে সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে না। তাইএখানকার উদ্ভিদের মূল মাটির নিচে না গিয়ে খাড়াভাবে মাটির উপরে উঠে আসে। এসব মূলের আগায় অসংখ্য ছিদ্রথাকে। যার সাহায্যে উদ্ভিদ শ্বসনের জন্য বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন গ্রহণ করে। এ বনের উল্লেখযোগ্য উদ্ভিদহলো সুন্দরী, গরান, গেওয়া, কেওড়া, গোলপাতা ইত্যাদি। এরা এ বনের উৎপাদক। পোকামাকড়, পাখি, মুরগি, হরিণ

এ বনের প্রথম স্তরের খাদক। বানর, কচ্ছপ, সারস ইত্যাদি দ্বিতীয় স্তরের খাদক। এ বনের তৃতীয় স্তরের খাদকদের মধ্যে রয়েছে বাঘ, শূকর ইত্যাদি। এ সবের মধ্যে বানর সর্বভুক। এ বনের উল্লেখযোগ্য প্রাণী রয়েল বেঙ্গলটাইগার, চিতা বাঘ, বানর, চিত্রল হরিণ, বন্য শূকর, কুমির, নানা ধরনের সাপ, পাখি এবং কীটপতঙ্গ।

জলজ বাস্তুতন্ত্র

জলজ বাস্তুতন্ত্র প্রধানত তিন ধরনের। যথা-

১. পুকুরের বাস্তুতন্ত্র

২. নদ-নদীর বাস্তুতন্ত্র

৩. সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র উৎপাদক

স্বাদু পানিরএকটি ছোট পুকুর জলজ বাস্তুসংস্থানের একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ উদাহরণ। পুকুরে রয়েছে অজীব ও জীব উপাদান। অজীবউপাদানের মধ্যে পুকুরে রয়েছে পানি, দ্রবীভূত অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং কিছু জৈব পদার্থ। এসব উপাদানজীব সরাসরি ব্যবহার করতে সক্ষম। জীব উপাদানের মধ্যে আছে উৎপাদক, প্রথম স্তরের খাদক, দ্বিতীয় স্তরেরখাদক, তৃতীয় স্তরের খাদক ও নানা রকমের বিযোজক। পুকুরের বাস্তুসংস্থানের উৎপাদক হচ্ছে নানা ধরনেরভাসমান ক্ষুদ্রক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক উদ্ভিদ যেমন ক্ষুদেপানা, এগুলোকে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন বলা হয়। ভাসমান বড় উদ্ভিদেরমধ্যে রয়েছে কচুরীপানা, শাপলা ইত্যাদি।

ভাসমান ক্ষুদ্র উদ্ভিদ যেমন পুকুরের পানিতে রয়েছে তেমনি রয়েছে ক্ষুদ্রক্ষুদ্রআণুবীক্ষণিক প্রাণী। যারা জু-প্লাঙ্কটন নামে পরিচিত। বিভিনড়ব প্রকার জলজ কীটপতঙ্গ, ছোট মাছ, ঝিনুক, শামুকইত্যাদি যারা উৎপাদকদের খায় তারা প্রথম স্তরের খাদক নামে পরিচিত। আবার এদেরকে যারা খায় আরও একটু বড় মাছ এরা দ্বিতীয় স্তরের খাদক। এদেরকে আবার যারা খায় যেমন কচ্ছপ, বক, ব্যাঙ এরা তৃতীয় স্তরের খাদক। পুকুরে মৃত জীবের উপর ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বিয়োজকের কাজ করে। বিয়োজিত দ্রব্যাদি আবার পুকুরের উৎপাদকখাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।

খাদ্য শৃঙ্খল ও খাদ্যজাল

তোমরা জেনেছ বাস্তুতন্ত্রে কোনো জীবই এককভাবে বেঁচে থাকতে পারে না। বেঁচে থাকার জন্য একে অন্যের উপর বিভিন্নভাবে নির্ভরশীল। জীবের বেঁচে থাকার জন্য তার চারপাশের সমস্ত উপাদান নানাভাবে প্রভাবান্বিত করে। এপৃথিবীতে সকল শক্তির উৎস সূর্যের আলো। বাস্তুতন্ত্র উৎপাদক হচ্ছে সবুজ উদ্ভিদ। তোমরা জেনেছ প্রাথমিক স্তরেরখাদক খাদ্যের জন্য উৎপাদকের উপর নির্ভরশীল। আবার দ্বিতীয় স্তরের খাদক নির্ভরশীল প্রাথমিক স্তরের খাদকেরউপর। তৃতীয় স্তরের খাদক খায় দ্বিতীয় স্তরের খাদকদেরকে। এভাবে একটি বাস্তুতন্ত্রে সকল জীব (উদ্ভিদ ওপ্রাণী) পুষ্টি চাহিদার দিক থেকে ধারাবাহিকভাবে সংযুক্ত। ফলে গড়ে ওঠে খাদ্যশৃঙ্খল। তাহলে দেখা যাচ্ছে উদ্ভিদ উৎসথেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে একে অন্যকে খাওয়ার মাধ্যমে শক্তির যে স্থানান্তর ঘটে তাই খাদ্যশৃঙ্খল।

খাদ্যজাল

বিভিন্ন খাদ্যশৃঙ্খল পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। খাদ্যশৃঙ্খলের এ ধরনের সংযুক্তিকে খাদ্য জাল বলা হয়।

পরিবেশ বিজ্ঞান

পৃথিবীতে বসবাসকারী সকল জীবই সূর্যের আলোর উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ জীবজগতের সকল শক্তিরমূল উৎস সূর্য। সূর্যের যত আলো পৃথিবীতে আসে তার মাত্র শতকরা ২ ভাগ সবুজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমেকাজে লাগিয়ে শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে। সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় সৌরশক্তি রাসায়নিকশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এ প্রক্রিয়া চলার সময় সবুজ উদ্ভিদ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক মৌল যেমন- পানি (হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন), নাইট্রোজেন, কার্বনডাইঅক্সাইড, আয়রন, সালফার ইত্যাদি ব্যবহার করে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই জড় ওজীবজগতের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি হয়।

সবুজ উদ্ভিদের মাধ্যমেই সূর্যশক্তি থেকে সৃষ্ট রাসায়নিক শক্তি বিভিন্ন প্রাণীতে খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়।উৎপাদক থেকে আরম্ভ করে সর্বোচ্চ খাদক পর্যন্ত শক্তি রূপান্তরের সময় প্রতিটি ধাপে শক্তি হ্রাস পেতে থাকে। তাহলেদেখা যাচ্ছে উৎপাদক থেকে শক্তি যায় তৃণভোজী প্রাণীর দেহে। সেখান থেকে দ্বিতীয় স্তরের খাদক এবং দ্বিতীয় স্তরেরখাদক থেকে যায় সর্বোচ্চ খাদকে। এভাবেই শক্তি প্রবাহ চলতে থাকে। প্রতি স্তরে শক্তি হ্রাস পেলেও বিযোজক যখনবিভিন্ন মৃত জীবে বর্জ্য পদার্থে বিক্রিয়া ঘটায় তখন অজৈব পুষ্টিদ্রব্য পরিবেশে মুক্ত হয়ে পুষ্টিভান্ডারে জমা হয়। যাআবার সবুজ উদ্ভিদ কাজে লাগায়। এ থেকে বুঝতে পারা যায় যে বাস্তুসংস্থানে পুষ্টিদ্রব্য চক্রাকারে প্রবাহিত হয় এবংশক্তিপ্রবাহ একমুখী।

পরিবেশে বাস্তুতন্ত্র একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ একক। যে কোনো পরিবেশে বাস্তুতন্ত্র মোটামুটিভাবে স্বনিয়ন্ত্রিত। প্রকৃতিতে যেকোনো জীবের সংখ্যা হঠাৎ করে বেশি বাড়তে পারে না। প্রতিটি জীব একে অন্যের উপর নির্ভরশীল। খাদ্য শৃঙ্খলেরমাধ্যমে এরা পরস্পর পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সহজে এর কোনো একটি অংশ একেবারে শেষ হতে পারে না।কোনো একটি পরিবেশে বিভিন্ন স্তরের জীব সম্প্রদায়ের সংখ্যার অনুপাত মোটামুটিভাবে অপরিবর্তিত থাকে। পরিবেশবিভিন্ন পরিবর্তন ঘটলেও বহু দিন পর্যন্ত প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় থাকে। এসো একটি উদাহরণের সাহায্যে আমরা বিষয়টি বুঝতে চেষ্টা করি।

মনে কর যে কোনো একটি বনে বাঘ, হরিণ, শূকর ইত্যাদি বাস করে। এ বনে বাঘের খাদ্যহলো হরিণ ও শূকর। হরিণ ও শূকরের সংখ্যা বেড়ে গেলে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। কারণ বাঘ প্রচুর খাদ্য পাবে।আবার বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে হরিণ ও শূকরের সংখ্যা কমে যাবে। হরিণ ও শূকরের সংখ্যা কমে গেলে বাঘেরখাদ্যাভাব দেখা দিবে। ফলে বাঘের সংখ্যাও কমে যাবে। আবার বাঘের সংখ্যা যদি কমে যায় তবে হরিণ ও শূকরেরসংখ্যা বেড়ে যাবে। এভাবে হ্রাস-বৃদ্ধির ফলে একটি এলাকার বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য প্রাকৃতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।

-যে কোনো একটি পরিবেশের জড় এবং জীব সম্প্রদায়ের মধ্যে আদান-প্রদান, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও সহযোগিতারমাধ্যমে গড়ে ওঠে বাস্তুতন্ত্র।

-অজীব এবং জীব এই দুটি প্রধান উপাদান নিয়ে বাস্তুতন্ত্র গঠিত।

-উদ্ভিদ উৎস থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে একে অন্যকে খাওয়ার মাধ্যমে শক্তির যে স্থানান্তর ঘটে তাই খাদ্যশৃঙ্খল।

-প্রকৃতিতে বিভিন্ন খাদ্যশৃঙ্খল পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। খাদ্যশৃঙ্খলের এ ধরনের সংযুক্তি খাদ্যজাল নামে পরিচিত।

পরিবেশ বিজ্ঞান কি ? পরিবেশ বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর
পরিবেশ বিজ্ঞান কি ? পরিবেশ বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

পরিবেশ বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

  • যে বায়ু সর্বদা উচ্চ চাপ অঞ্চল হতে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় তাকে বলা হয়- নিয়ত বায়ু ।
  • সমুদ্র স্রোতের অন্যতম কারণ- বায়ু প্রবাহ ।
  • গ্রীন হাউজে গাছ লাগানো হয়- অত্যধিক ঠাণ্ডা থেকে রক্ষার জন্য ।
  • ইকোলজি শব্দটি এসেছে- গ্রিক ভাষা থেকে ।
  • ওজোনের রঙ হলো- গাঢ় নীল ।
  • নিরক্ষরেখা বা বিষুব রেখা হতে ২৩.৫ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশকে বলে- কর্কটক্রান্তি রেখা ।
  • গ্রীন হাউস ইফেক্ট বলতে বুঝায়- তাপ আটকে পড়ে সর্বাধিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ।
  • ওজোন গ্যাসের গন্ধ- মাছের মতো আঁশটে ।
  • ধরিত্রী সম্মেলনে বাংলাদেশ যে দলিলে সাক্ষর করে- পরিবেশ উন্নয়ন সংক্রান্ত রিত্ত ঘোষণাপত্র ।
  • পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখা – মেরু রেখা ।
  • দুই মেরু থেকে সমান দুরুত্বে পূর্ব-পশ্চিম পৃথিবীকে আবর্তনকারী রেখা – নিরক্ষরেখা ।
  • পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠের উপর দিয়ে উত্তর-দক্ষিণ মেরুকে সংযোগকারী রেখা – দ্রাঘিমা রেখা ।
  • লন্ডনের গ্রীনিচ মান মন্দিরের উরপ দিয়ে গমনকারী দ্রাঘিমা রেখা – মূল মধ্যরেখা ।
  • মূল মধ্যরেখা হতে ১৮০ ডিগ্রি পূর্বে বা পশ্চিমে অবস্থিত দ্রাঘিমা রেখা – আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা ।
  • নিরক্ষরেখা হতে উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত কোন বিন্দুর কৌণিক দূরত্ব হলো – অক্ষাংশ ।
  • মূল মধ্যরেখা হতে পূর্ব বা পশ্চিমে অবস্থিত কোন বিন্দুর কৌণিক দূরুত্ব হলো – দ্রাঘিমাংশ ।
  • ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা রেখাকে বলে – কর্কটক্রান্তি রেখা ।
  • কর্কটক্রান্তি রেখা বাংলাদেশের কুমিল্লা, মাগুরা ও ঝিনাইদহের উপর দিয়ে গিয়েছে ।
  • গ্রীনিচ সময় থেকে বাংলাদেশের সময় ৬ ঘন্টা আগে ।
  • ভূ-পৃষ্ঠে মধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ সবচেয়ে বেশী ।
  • পরিবেশ বিজ্ঞান
  • গ্যালিলও একটি – কৃত্রিম উপগ্রহ ।
  • ভূ-পৃষ্ঠের সৌরদীপ্ত ও অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশের সংযোগস্থলকে বলে – ছায়াবৃত্ত ।
  • সমুদ্র পৃষ্ঠের স্বাভাবিক চাপ – ৭৬০ মি.মি. বা ৭৬ সে.মি ।
  • আটলান্টিক মহাসাগর ও ভূ-মধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থিত – জিব্রাল্টার প্রণালী ।
  • আকাশের উজ্জলতম নক্ষত্রের নাম – লুব্ধক ।
  • জোয়ার ভাটার তেজকটাল হয় – অমাবস্যায় ।
  • জোয়ার ভাটার মরাকাটাল হয় – পূর্ণিমায় ।
  • সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে – ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড ।
  • বায়ুমন্ডের চাপের ফলে ভূগর্ভস্থ পানি সর্বোচ্চ কত গভীরতা হতে লিফটের সাহায্যে তোলা যায়- ৩৪ ফুট বা ১০ মিটার ।
  • ৮০% আদ্রতা বলতে বোঝায়- বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ সম্পৃক্ত অবস্থায় ৮০% ।
  • পরপর দুটি জোয়ারের মধ্যে ব্যবধান – ১২ ঘন্টা ।
  • পর্বত চুড়ায় বায়ুর চাপ – কম ।
  • যে বায়ু সর্বদা উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় – নিয়ত বায়ু ।
  • পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলেও আমরা ছিটকিয়ে পরি না – মধ্যাকর্ষণ বলের জন্য ।
  • সূর্য-পৃষ্ঠের উত্তাপ প্রায় – ৬০০০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ।
  • দ্রূততম গ্রহ – বুধ ।
  • রাত ও দিনের উদ্ভব হয় – আহ্নিক গতির কারণে ।
  • পরিবেশ বিজ্ঞান
  • দিন ও রাত সর্বত্র সমান হয় – নিরক্ষরেখায় ।
  • বস্তুর ওজন বেশী – পৃথিবীর কেন্দ্রে ।
  • আকাশ নীল দেখায় – নীল আলোর বিক্ষেপণ বেশী বলে ।
  • পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ – মঙ্গল ।
  • সূর্য্যের নিকটতম গ্রহ – বুধ ।
  • পৃথিবী একটি অভিগত গোলক এর পরিধি – ২৫০০০ মাইল ।
  • বায়ু মন্ডলে সর্বাধিক পাওয়া যায় – নাইট্রোজেন ।
  • বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয় – আয়নমন্ডলে ।
  • সূর্য্য গ্রহণে চন্দ্র থাকে – পৃথিবী ও সূর্য্যের মাঝখানে ।
  • চন্দ্র গ্রহণে পৃথিবী থাকে – সূর্য্য ও চন্দ্রের মাঝখানে ।
  • দ্রাঘিমার পার্থক্য ১০ ডিগ্রী হলে সময়ের পার্থক্য হয় – ৪ মিনিট ।
  • পৃথিবী গোলাকার এই ধারণা দেন – পিথাগোরাস ।
  • সমুদ্র স্রোতের কারণ – বায়ু প্রবাহ, উষ্ণতা, গভীরতা ও পৃথিবীর আয়তন ।
  • চন্দ্র, সূর্য্য ও পৃথিবী একই সরলরেখায় থাকলে – প্রবল জোয়ার হয় ।
  • সূর্য্যের চারপাশে ঘুরে আসতে পৃথিবীব সময় লাগে – ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৭ মিনিট ।
  • পৃথিবীর উষ্ণতম স্থান – আজিজিয়া (লিবিয়া) ।
  • পৃথিবীর শীতলতম স্থান – ভোস্টক (রাশিয়া) ।
  • সমুদ্রে জাহাজের অবস্থান নির্ণয় করা হয় – ক্রোনোমিটারের সাহায্যে ।
  • পরিবেশ বিজ্ঞান
  • ভূ-ত্বকের গভীরতা প্রায় – ১৬ কি.মি. ।
  • মেরু রেখার উত্তর প্রন্তকে সুমেরু ও দক্ষিণ মেরুকে কুমেরু বলে ।
  • পৃথিবীর সর্বোত্র দিন রাত সমান – ২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর ।
  • প্রাথমিক শীলা – আগ্নেয়শীলা ।
  • মার্বেল গ্রাফাইট – রুপান্তরিত শীলা ।
  • বায়ুমন্ডলের গভীরতা – ১৬১০ কি.মি. ।
  • মেরু অঞ্চলের পানি – শীতল ও ভারী ।
  • নিরক্ষীয় অঞ্চলের পানি – উষ্ণ ও হালকা ।
  • বায়ু মন্ডলের যে স্তরে মেঘ, বৃষ্টি, কুয়াশা সীমাবদ্ধ থাকে – ট্রপোমন্ডল ।
  • ভাসমান মেঘ থেকে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানো যায় – শুস্ক বরফের গুরা ছিটিয়ে ।
  • পৃথিবীর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত অঞ্চল – চেরাপুঞ্জি (ভারত) ।
  • পৃথিবী থেকে চন্দ্রের দূরত্ব – ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কি.মি. ।
  • সূর্য্য গঠনকারী গ্যাসীয় উপাদান – হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম ।
  • পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখা যায় – উজ্জলতম গ্রহ শুক্র ।
  • মঙ্গলের পৃষ্ঠদেশ কঠিন । কার্বনের আধিক্যের কারণে মাটির রং লাল ।
  • মঙ্গলের দুটি গ্রহ – ফোবাস ও ডিমোস । এরা কাছ থেকে মঙ্গলকে প্রদক্ষিণ করে ।
  • সূর্য্য থেকে মঙ্গল গ্রহের দুরত্ব – ২২.৮ কোটি কি.মি. (গড়) ।
  • পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহের দুরত্ব – ৭.৭ কোটি কি.মি. ।
  • প্রথম পরিবেশ আন্দোলনের সূচনা করেন – ডেবিট থরো ।
  • ‘গ্রীন পিচ’ পরিবেশ আন্দোলন গ্রুপ । এটির যাত্রা শুরু ১৯৮৫ সালে ।
  • ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস ।
  • পৃথিবীর কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাসকারী জীবের সংখ্যাকে বলে – বায়োম্স ।
  • জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কনভেনশন (১৯৯২) স্বাক্ষর করে – ১৪০ টি দেশ ।
  • পলিথিন পোড়ালে উৎপন্ন হয় – হাইড্রোজেন সায়ানাইড ও ডাই-অক্সিজেন ।

আড়ও পড়ুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button