ডিজিটাল কনটেন্ট কি ? (Digital content)
ডিজিটাল কনটেন্ট(Digital Content)
কোনো কনটেন্ট যদি ডিজিটাল উপাত্ত আকারে বিরাজ করে, প্রকাশিত হয় কিংবা প্রেরিত গৃহীত হয় তাহলে সেটিই ডিজিটাল কনটেন্ট। তবে সেটি ডিজিটাল বা এনালগ যেকোনো পদ্ধতিতেই সংরক্ষিত হতে পারে। ডিজিটাল কনটেন্ট (Digital Content) কম্পিউটারের ফাইল আকারে অথবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্প্রচারিত হতে পারে। লিখিত তথ্য, ছবি, শব্দ কিংবা ভিডিও ডিজিটাল কনটেন্ট হতে পারে। Digital Content ব্যবহারের ফলে তথ্য উপস্থাপন ও স্থানান্তর সহজতর হয়।
ডিজিটাল কনটেন্ট কি
ডিজিটাল কনটেন্ট কি– কোনো কনটেন্ট যদি ডিজিটাল উপাত্ত আকারে বিরাজ করে প্রকাশিত হয় বা প্রেরিত-গৃহিত হয় অথবা ডিজিটালভাবে প্রদর্শিত হয়, তাহলে সেইসব কনটেন্টকেই ডিজিটাল কনটেন্ট বলে। ডিজিটাল কনটেন্ট হলোঃ ছবি, অডিও, ভিডিও ও এনিমেশনের সমন্বয়।
ডিজিটাল কনটেন্ট-এর প্রকারভেদ
ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত যেকোনো তথ্য, ছবি, শব্দ কিংবা সবই ডিজিটাল কনটেন্ট। কাজেই নানাভাবে ডিজিটাল কনটেন্টকে শ্রেণিকরণ করা যায়। তবে, ডিজিটাল কনটেন্টকে প্রধান চারটি ভাগে ভাগ করা যায়।
- টেক্সট বা লিখিত কনটেন্ট
- ছবি
- শব্দ বা অডিও এবং
- ভিডিও ও এনিমেশন।
Text বা Content riting :
ডিজিটাল মাধ্যমে এখনো লিখিত তথ্যের পরিমাণই বেশি। সব ধরনের লিখিত তথ্য এই ধারার কনটেন্ট। এর মধ্য রয়েছে নিবন্ধ, ব্লগ পোস্ট, পণ্য বা সেবার তালিকা ও বর্ণনা, পণ্যের মূল্যায়ন, ই-বুক সংবাদপত্র, শ্বেতপত্র ইত্যাদি।
ছবি :
সব ধরনের ছবি, ক্যামেরায় তোলা বা হাতে আঁকা বা কম্পিউটারে সৃষ্ট সকল ধরনের ছবি এই ধারার কনটেন্ট। এর মধ্যে রয়েছে ফটো, হাতে আঁকা ছবি, অঙ্কনকরণ, কার্টুন, ইনফো-গ্রাফিক্স, এনিমেটেড ছবি ইত্যাদি।
শব্দ বা অডিও :
শব্দ বা অডিও আকারের সকল কনটেন্ট এই প্রকারে অন্তর্ভুক্ত। যেকোনো বিষয়ের অডিও ফাইলই অডিও কনটেন্ট-এর পাশাপাশি ইন্টারনেটে প্রচারিত ব্রডকাস্ট অডিও কনটেন্টের অন্তর্ভুক্ত।
ভিডিও ও এনিমেশন :
বর্তমানে মোবাইল ফোনেও ভিডিও ব্যবস্থা থাকায় ভিডিও কনটেন্টের পরিমাণ বাড়ছে। ইউটিউব বা এই ধরনের ভিডিও শেয়ারিং সাইটের কারণে ইন্টারনেটে ভিডিও কনটেন্টের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে ইন্টারনেটে কোনো ঘটনার ভিডিও সরাসরি প্রচারিত হয়ে থাকে। এটিকে বলা হয় ভিডিও স্ট্রিমিং। এমন কনটেন্টও ভিডিও কনটেন্টের আওতাভুক্ত।
কন্টেন্ট রাইটিং কি ?
কন্টেন্ট রাইটিং কি? জানার আগে অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে কনটেন্ট কি? কন্টেন্ট হচ্ছে যেকোনো বিষয়ে জানার জন্য আমরা যে আর্টিকেল বা ওয়েবসাইটে যে লেখাগুলো পড়ে থাকি সেগুলো হচ্ছে কনটেন্ট। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আপনি গ্রাফিক ডিজাইন শেখার জন্য একটি কম্পিউটার কিনতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনি জানেন না গ্রাফিক ডিজাইন শেখার জন্য কোন কম্পিউটার আপনার জন্য উপযোগী। আপনি একটি এটি কেনার জন্য ওয়েবসাইট থেকে একটি কন্টেন্ট পড়ে সে সম্পর্কে জেনে নিলেন। মূলত এটি হচ্ছে কন্টেন্ট।
আর কন্টেন্ট রাইটিং হচ্ছে আপনি যেকোন বিষয়ের উপর রিসার্চ করে নিজের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের মতো করে সে বিষয় সম্পর্কে ওয়েবসাইটে যে লেখালেখি করলেন সেটিকে কন্টেন্ট রাইটিং বলা হয়। আর যিনি কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করেন তাঁকে কন্টেন্ট রাইটার বলা হয়।
কিভাবে কন্টেন্ট রাইটিং শুরু করা যায়
আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটার হতে চান তাহলে আপনাকে সবার আগে মনে রাখতে হবে যে কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য কোন কোর্স করার প্রয়োজন হয় না। যদি আপনি অ্যাডভান্স লেভেলের অনেক কিছু নিয়ে কাজ করতে যান এবং কন্টেন্ট রাইটিং ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান। তাহলে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং এর ব্যাপারে বিভিন্ন রিসার্চ করে গুগল অথবা ইউটিউব থেকে জেনে নিতে পারেন।
তবে আমরা আজ আপনাদেরকে বলে দিব কন্টেন্ট রাইটিং শুরু করা যায় কিভাবে? কন্টেন্ট রাইটিং শুরু করার আগে সবার আগে আপনার মাথায় কিছু জিনিস মনে রাখতে হবে। কন্টেন্ট রাইটারদের প্রথমে রিডার হতে হয়। তার মানে হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটার কোন বিষয়ের উপর লেখার আগে অবশ্যই তাকে সে বিষয়টির ওপর নিজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়।
ইংরেজি ভাষার যেহেতু ইন্টারন্যাশনাল ভাষা আর তাই ইংরেজী ভাষার প্রতি ভাল অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কারণ বেশিরভাগ কন্টেন্ট ইংরেজি ভাষায় লিখতে হয়। একটি কন্টেন্ট কোন স্ট্রাকচারের সাজালে রিডাররা পড়তে সুবিধা পায় এবং কোন স্ট্রাকচারের সাজালে আপনার মূল বিষয়বস্তুটি রিডারদের মধ্যে তুলে ধরা যায় সেই সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
আপনি এমন কিছু টপিক নিয়ে কাজ করবেন যে টপিক সম্পর্কে আপনি ভাল জানেন। আপনাদের নিজেদের মতো নিজেদের পছন্দমতো টপিক সিলেক্ট করা হয়ে গেলে আপনি সেগুলো ব্যাপারে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে রিসার্চ করতে পারেন এবং সেখান থেকে আপনি একটি কন্টেন্ট লিখা শুরু করতে পারেন। এছাড়া আপনারা বিভিন্ন ব্লগারের ব্লগ গুলো দেখতে পারেন এবং সেখান থেকে আইডিয়া নিতে পারেন তারা কিভাবে কন্টেন্ট গুলো লিখেছে।
আপনার কনটেন্টগুলো এমনভাবে লিখতে হবে যেন কন্টেন্ট ভাষায় হয়। বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট গুলোতে কন্টেন্ট লিখে পাবলিশ করার মাধ্যমে আপনারা কন্টেন্ট রাইটিং শুরু করতে পারেন।
ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরির নিয়ম
ডিজিটাল কন্টেন্ট নিয়ে আমাদের একটি ভুল ধারণা রয়েছে। আমরা অনেকে মনে করি যে ডিজিটাল কন্টেন্ট হচ্ছে একটি ক্লাস রুমে পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড দেখিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে ক্লাস শেষ করাই হচ্ছে ডিজিটাল কন্টেন্ট বা ভিডিও এনিমেশন কিংবা পিকচার দেখিয়ে একটি সম্পূর্ণ ক্লাস রুম অথবা অফিস মিটিং সিনেমা হল মতো করে বানিয়ে উপস্থাপন করাই হচ্ছে ডিজিটাল কন্টেন্ট। আসলে কিন্তু এমনটা নয়। ডিজিটাল কন্টেন্ট হচ্ছে ছোট্ট একটি ভিডিও ক্লিপ, অডিও ক্লিপ বা যেকোনো ছবি থ্রিডি এনিমেশন বা টুডি অ্যানিমেশন, পিডিএফ ফাইল, ওয়েবসাইট ইত্যাদি মিলিয়ে এক একটি ডিজিটাল কন্টেন্ট।
আমরা অনেকেই মনে করি একটি ছবি কিভাবে ডিজিটাল কনটেন্ট হতে পারে। কারণ আমরা সকলেই জানি একটি ছবি কিন্তু হাজার হাজার শব্দ উপস্থাপন করে দেয়। চলুন জেনে নেই ডিজিটাল কন্টেন্ট এর মাধ্যম গুলো কি কি হয়ে থাকে-
- ভিডিও কন্টেন্ট।
- অডিও কন্টেন্ট।
- পিকচার/ ইমেজ।
- ওয়েবভিত্তিক যেকোনো কন্টাক্ট।
- মাল্টিমিডিয়া এনিমেশন কনটেন্ট।
ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করবেন যেভাবে–
আপনারা ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে একটি ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করে ফেলতে পারেন। আমরা ইউটিউবে প্রবেশ করলেই দেখতে পারি অনেক ধরনের ভিডিও। এই ভিডিওগুলো যারা তৈরি করে তারা প্রত্যেকেই কনটেন্ট ক্রিয়েটর। তারা তাদের নির্দিষ্ট একটি টপিকস এর উপর নির্ভর করে এই ধরনের ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে। যেমনঃ ফুড ব্লগ, ট্রাভেল ব্লগ, ডেইলি লাইফ ব্লগ, ফ্যাশন ব্লগ, বিউটি ব্লগ ইত্যাদি।
অডিও কন্টেন্টের মধ্যে আমরা মিউজিক এবং বিভিন্ন ধরনের বক্তার বক্তব্য বুঝে থাকি। যেমন যেকোনো একজন ব্যক্তি তা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর একটি কিছু বক্তব্য পেশ করে অডিও আকারে ডিজিটাল মিডিয়া পাবলিশ করেন আর এটিই হচ্ছে অডিও কন্টেন্ট। আমরা নির্দিষ্ট একটি স্টিল ইমেজ ব্যবহার করে একটি কন্টেন্ট লিখে ডিজিটাল মিডিয়াতে প্রকাশ করতে পারি।