ই সিম বাংলাদেশ | esim in bangladesh
ই সিম বাংলাদেশ | esim in bangladesh: প্রথমেই জেনে নেই ই সিমটা আসলেই কি? এটি হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিক সিম বা ডিজিটাল সিম। ই-সিম কী What is eSIM?
ই-সিম (eSIM) হচ্ছে এক ধরণের উন্নত প্রযুক্তির সিম বা এমবেডেড সিম ।
সাধারণত আমরা যে সিম গুলো ইউজ করে থাকি এর মধ্যে আমরা তিন ক্যাটাগরির সিম পেয়ে থাকি, একটা হচ্ছে mini-sim এরপর হচ্ছে micro-sim এরপর nano-sim এই তিন ক্যাটাগরিতে সিম আমরা সাধারণত ইউজ করে থাকি।
ই সিম বাংলাদেশ | esim in bangladesh
ই-সিম (eSIM) কী? কীভাবে ব্যবহার করবেন এবং এর সকল সুবিধা ও অসুবিধা।
বর্তমানে সিমের সাইজ দিন দিন ছোট হচ্ছে। একটা সময় মিনি সিমকার্ডই চলতো দিন দিন আপগ্রেড হয়ে তা আস্তে আস্তে ছোট হতে লাগলো। বর্তমানে আমরা মিনি সিমকার্ডের চেয়ে মাইক্রো কিংবা ন্যানো সিমকার্ড ব্যবহার করতেই আমরা এখন অভ্যাস্ত হয়ে পড়ছি। বর্তমানে বেশিরভাগ ফোনেই ন্যানো সিম ব্যবহার করা হয় এরপরও আমরা দুইটা ন্যানো সিমের জন্য স্মার্টফোনে বা স্মার্টওয়াচে যতোটুকু জায়গা এখন দরকার হয়, সেটা আরো কমিয়ে আনতে পারলে জায়গাটা আরও ভালোভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ থাকবে। এই চিন্তা ভাবনা থেকেই মূলত ই-সিমের আবির্ভাব হয়।
বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তির ইনবিল্ট সিম পাওয়া যাচ্ছে যাকে আমরা ই-সিম বলে থাকি। এই সিমটি সাধারণত দেখা যায় না ফোন কোম্পানি ফোনের সাথে অথবা ভিতর একটিভেট করে থাকে। শুধুমাত্র আপনার প্রোফাইলটা টা এক্টিভেট করেই কাঙ্খিত হ-সিমটি অ্যাক্টিভেট হয়ে যায়।
ই-সিম এর পূর্ণরূপ কি? eSim Full form
ই-সিম বা এমবেডেড সিম এর পূর্ণরূপ হল এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেনটিটি মডিউল(Embedded Subscriber Identity module)
E= Embedded
S= Subscriber
I = Identity
M = module
তবে ই-সিম বা এমবেডেড সিম নামেই পরিচিত।
আপনি কি এখন ই-সিম ব্যবহার করতে পারবেন?
আপনি যদি বাংলাদেশে থাকেন তাহলে এই মুহূর্তে আপনার কাছে যদি ই-সিম সাপোর্টেড ডিভাইস থাকে তাহলে আপনি এখনো ব্যবহার করতে পারবেননা।
আসুন জেনে নিই এই ই-সিম কিভাবে কাজ করে?
আমরা রেগুলারিজেশন গুলো ইউজ করে থাকি এইগুলো একটা কার্ডের মাধ্যমে আমাদের মোবাইলে প্রবেশ করে ইউজ করতে হয়, কিন্তু এই ই-সিমটি ব্যবহার করার জন্য কোন কার্ড ইউজ করা হয় না শুধুমাত্র কিউআর কোড দিয়েই প্রোফাইল অ্যাক্টিভ করলেই এই সিম ইউজ করা যায়।
একটা সাধারন সিমে যে ফ্যাসিলিটি থাকে ই-সিমের মধ্যে সেই একই ফেসিলিটি আছে। আপনার হ্যান্ডসেটে যে দুইটি সিম কার্ড লাগানোর অপশন আছে এর পাশাপাশি আপনি ইউজ করতে পারবেন একটি ই-সিম।
জেনে নিন ই-সিমের সুবিধা গুলো:-
ইজেক্টর দিয়ে বারবার সিম প্রবেশ ও বাহির করার কোন ঝামেলা নেই। নেই কোন সিম হারিয়ে যাবার ভয়। নেই সিম রিপ্লেস করার পর ভয়।
শুধুমাত্র কিউআর কোড স্ক্যান করলেই একটিভ হয়ে যাবে ই-সিম।
জেনে নিন ইসিমের অসুবিধা বা জামেলা গুলো:-
আপনার মোবাইলটি ই-সিম সাপোর্টেড হতে হবে।
আপনার মোবাইলটি কোনো কারণেই অফ হয়ে গেলে ইমারজেন্সি সময় আপনি এই সিমটি ব্যবহার করতে পারবেন না।
বাংলাদেশ খুব শীঘ্রই e-sim নিয়ে আসতেছে গ্রামীণফোন লিমিটেড।
গ্রামীনফোন ই-সিমের দাম
গ্রামীনফোনের ই-সিমের ক্ষেত্রে নতুন সংযোগের জন এর দাম রাখা হয়েছে ২০০ টাকা। তাছাড়া অন্যান্য প্লাস্টিক সিম থেকে ই-সিমে বা ই-সিম থেকে ই-সিমে রিপ্লেসমেন্ট করতে হলে ৯৯ টাকা ফি জমা দিতে হবে। একটি ই-সিমে একাধিক নেটওয়ার্ক ও নম্বর সংযুক্ত করতে পারবেন তবে সেটা আপনার হ্যান্ডসেটের ওপর নির্ভর করে।
কোন কোন ফোনে ই-সিম সেবা চালু রয়েছে?
১। আইফোনঃ আইফোন ১৩ সিরিজ, আইফোন ১২সিরিজ, আইফোন ১০আর, আইফোন ১০এস ও আইপ্যাড প্রো।
২। স্যামসাংঃ স্যাসসাং এর গ্যালাক্সি এস২১ সিরিজ, এস২০ সিরিজ, গ্যালাক্সি ফোল্ড, জি ফ্লিপএবং নোট ১০ এর সকল ভার্সন।
৩। গুগল পিক্সেলঃ গুগল পিক্সেল ৬ সিরিজ, পিক্সেল ৫ সিরিজ, পিক্সেল ৪ সিরিজ, পিক্সেল ৩ সিরিজ।
৪।মটোরোলাঃ মটোরোলা রেজার (কোনো সিম স্লট নেই, শুধু ই-সিম রয়েছে)
ই-সিম বা এমবেডডেড সিম নতুন প্রযুক্তি হিসেবে আগামীতে এর জনপ্রিয়তা বেড়ে যাবে। ই-সিম (eSIM) সম্পর্কে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করেছি। আশা করি ই-সিম কী, এটা কীভাবে কাজ করে এবং ই-সিমের সুবিধা অসুবিধাগুলো সকল কিছুই ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন। ই-সিম নিয়ে আমাদের এই লেখাটি আপনার ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই সোশাল মিডিয়া বা আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদের ও জানিয়ে দিন । এবং ই-সিম আজকের আর্টিক্যাল সম্পর্কে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে জানিয়ে দিন আমাদের কমেন্ট বক্সে। সবাইকে ধন্যবাদ।