NTRCA Preparation

ই বুক কত প্রকার ও কি কি? (Ebook)

ADX Ads

Table of Contents

ADX ads 2

ই-বুক (ebook)

ই-বুক বা ইলেকট্রনিক বুক বা ই-বই হলো মুদ্রিত বইয়ের ইলেকট্রনিক রূপ। যেহেতু, এটি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয় সে কারণে এতে শব্দ, অ্যানিমেশন ইত্যাদিও জুড়ে দেওয়া যায়। অবশ্য এখন অনেক ই বুক কেবল ই-বুক আকারে প্রকাশিত হয়। এগুলোর মুদ্রিত রূপ থাকে না। ফলে অনেকেই এখন আর ই-বুককে মুদ্রিত বইয়ের ইলেকট্রনিক সংস্করণ বলতে নারাজ। এ ধরনের বই কেবল কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা বিশেষ ধরনের রিডার (ebook reader)রিডার) ব্যবহার করে পড়া যায়। প্রচলিত রিডারের মধ্যে অ্যামাজন ডটকমের (amazon.com) কিন্ডল (kindle) সবচেয়ে জনপ্রিয়।

ই বুক কত প্রকার ও কি কি? (Ebook)
ই বুক কত প্রকার ও কি কি? (Ebook)

ই-বুক ব্যবহারের সুবিধা

ই বুক কত প্রকার ও কি কি? (Ebook)


• ই-বুক ডাউনলোডের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য পাওয়া সম্ভব।
• ব্যবহারিকভাবে ই-বুক সংরক্ষণের জন্য কোন লাইব্রেরি বা কক্ষের প্রয়োজন নেই, কম্পিউটার বা রিডিং ডিভাইসে ই-বুক সহজে সংরক্ষণ করা যায়।
• ই-বুক সহজে স্থানান্তরযোগ্য।
• ই-বুকে তথ্য অনুসন্ধান সহজতর।
• ই-বুক ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরবরাহ করা
• ই-বুক সহজে বিতরণ ও বিক্রয়যোগ্য।
হয় বলে কোন ধরনের শিপিং বা প্যাকিং খরচ নেই।
• ই-বুক মুদ্রণযোগ্য বলে চাহিদা অনুযায়ী প্রিন্ট করা সম্ভব, ফলে আর্থিক সাশ্রয় হয়।


বিভিন্ন প্রকার ই-বুক

বর্তমানে ই-বুকের বিভিন্ন প্রকারভেদ দেখা যায়। বিভিন্ন ধরনের প্রকাশনার জন্য বিভিন্ন ধরনের ই-বুক রয়েছে। তবে, সাধারণভাবে ই-বুককে নিম্নোক্ত পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায়:
• মুদ্রিত বইয়ের হুবহু প্রতিলিপি। এই ধরনের ই-বুকগুলো মূলত মুদ্রিত বইয়ের মতই হয়ে থাকে। সচরাচর
এগুলো পিডিএফ (পোর্টেবল ডকুমেন্ট ফরম্যাট) ফরম্যাটে প্রকাশিত হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ বই একসঙ্গে
অথবা অধ্যায় হিসাবে পাওয়া যায়।
যে ই-বুকগুলো কেবল অনলাইনে তথা ইন্টারনেটে পড়া যায়, এগুলো সচরাচর এইচটিএমএল-এ প্রকাশিত হয়। এগুলোকে বই-এর ওয়েবসাইট বলা যায়।


• মুদ্রিত বই-এর মতো কিন্তু কিছুটা বাড়তি সুবিধাসহ ই-বুক। এগুলো বই-এর কনটেন্ট ছাড়াও পাঠকের নিজের নোট লেখা, শব্দের অর্থ জানা ইত্যাদি সুবিধা থাকে। এগুলোর বেশিরভাগই ই-পাব (EPUB ) ফরম্যাটে প্রকাশিত হয়। এসব ই-বুকের কোনো কোনোটি কেবল বিশেষ ডিভাইসে পড়া যায়। যেমন কিগুল বা আইবুক রিডারে পড়ার উপযোগী ই-বুক। তবে, আইবুকের ক্ষেত্রে নিজস্ব ফরম্যাট রয়েছে।


চৌকস ই-বুক। এই বইগুলোতে লিখিত অংশ ছাড়াও অডিও/ভিডিও/এনিমেশন ইত্যাদি সংযুক্ত থাকে। এই বইগুলোকে স্মার্ট ই-বুক বলা হয়। এগুলোর কনটেন্ট মাল্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ। যেমন এতে কুইজ থাকে। কুইজের উত্তর করার ব্যবস্থাও থাকে এবং উত্তর সঠিক হয়েছে কিনা তাও ই-বুক থেকেই জানা যায়। এমনকি এসব ই-বুকে ত্রিমাত্রিক ছবিও যুক্ত থাকে। তবে, অনেক ক্ষেত্রে এর উৎপাদনকারী বা নির্মাতারা এ সকল ই-বুক এমন ফরম্যাটে তৈরি করেন যা কেবল নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যারে চলে। যেমন ওপেন কম্পিউটার্সের তৈরি আইবুক কেবল আইপ্যাড বা ম্যাক কম্পিউটারে ভালোভাবে পড়া যায়।
• ই-বুকের অ্যাপস। এক্ষেত্রে ই-বুকটি নিজেই একটি অ্যাপস আকারে প্রকাশিত হয়। অ্যাপস ডাউনলোড করে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে পড়া যায়। মুদ্রিত বই-এর মতো ই-বুকও কপিরাইটের আওতায় প্রকাশিত হয়ে থাকে।

ই বুক কাকে বলে
একটি ইলেক্ট্রনিক বুক (যাকে ই-বুক, ইবুক, ডিজিটাল বুক বা ই-সংস্করনও বলা হয়) হল একটি বই যার প্রকাশনা করা হয়েছে ডিজিটাল আকারে, যাতে সাধারণ বইয়ের মতই লেখা, ছবি, চিত্রলেখ ইত্যাদি রাখা হয়েছে এবং এগুলো কম্পিউটার বা অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রে পড়া যায়। যদিও কখনো কখনো বলা হয় ছাপানো বইয়ের ইলেক্ট্রনিক সংস্করন, তবুও অনেক ই-বই আছে যাদের কোন ছাপানো বই নেই। বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত করা এবং বিক্রিত ই-বই সাধারনত ই-রিডারে পড়ার উপযোগি করে বানানো হয়। যদিও যে কোন যন্ত্রেই (প্রদর্শন সক্ষম) এটি চালানো যায় যেমন কম্পিউটার, ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোন ইত্যাদি।

ই-বুকের মাধ্যমে পড়াশোনার আগ্রহ আমেরিকায় বাড়ছে, ২০১৪ সালেই ২৮ ভাগ লোকের ই-বুক রয়েছে যার পরিমাণ ২০১৩ সালে ছিল ২৩ ভাগ। এই বৃদ্ধির কারণ ৫০ ভাগ আমেরিকান ২০১৪ সালের শেষ নাগাদ শুধু মাত্র ই-রিডার বা ট্যাবলেট যন্ত্র ক্রয় করেছে যার পরিমাণ ছিল ৩০ ভাগ ২০১৩ সালের শেষ নাগাদ।

ইবুক কি? ইবুক কেন ব্যবহার করবেন ?
ই-বুক মানে (Ebook) একটি ইলেক্ট্রনিক বুক (Electric Ebooks) হল একটি বই যার প্রকাশনা করা হয়েছে ডিজিটাল আকারে (যাকে ই-বুক, ইবুক, ডিজিটাল বুক বা ই-সংস্করনও বলা হয়), যাতে সাধারন বইয়ের মতই লেখা, ছবি, চিত্রলেখ ইত্যাদি রাখা হয়েছে এবং এগুলো কম্পিউটার বা অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রে পড়া যায়।যদিও কখনো কখনো বলা হয় ছাপানো বইয়ের ইলেক্ট্রনিক সংস্করন, তবুও অনেক ই-বই আছে যাদের কোন ছাপানো বই নেই। বানিজ্যিকভাবে প্রস্তুত করা এবং বিক্রিত ই-বই সাধারনত ই-রিডারে পড়ার উপযোগি করে বানানো হয়। যদিও যে কোন যন্ত্রেই (প্রদর্শন সক্ষম) এটি চালানো যায় যেমন কম্পিউটার, ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোন ইত্যাদি।

ই-বুক পাঠের ক্ষতিকর দিক
কম্পিউটার, ট্যাব বা মোবাইলের মাধ্যমে বই পড়ার মাধ্যমে অনেক বই কম প্রকাশ করতে হচ্ছে। বহন করতে হয় না এবং অনেকগুলো বই অল্প জায়গায় রাখার সুবিধা তো আছেই। আডিও ভিডিও প্রেজেন্টেশন শহ অনেক সুবিধা সম্বলিত ইবুক এখন বাজারে আছে। বাংলাদেশের প্রক্ষিতে সব বইয়ের অনলাইন সংস্করণ তো বের হয়েছেই।

কিন্তু ই-বুকের রয়েছে চোখের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর দিক। এই ক্ষতির পরিমান ডিসপ্লের ধরনের উপর নির্ভর করে। আর ব্যবহারকারী কতসময় একটানা ইবুক পড়ছে সেটার উপরও। ই-বুক ব্যবহারের সুবিধা

একটানা কম্পিউটার ডকুমেন্ট, ই-মেইল বা ভিডিও দেখার ক্ষেত্রেও চোখের ক্ষতির কারন হতে পারে। চোখ ব্যাথা, মাথা ব্যাথা বা ঝাপসা দেখার অনেক রুগিই কম্পিউটারের দিকেএকটানা তাকিয়ে থাকার কারনে হয়েছে।

ইবুক স্ক্রিনের ক্ষুদ্রতম ডিসপ্লে ইউনিট হলো পিক্সেল। সিএসভি বা পিডিএফ ইবুকের লেখাগুলো পিক্সেলেরই সমন্বয়। এগুলো চোখে জন্য দেখা একটু কঠিন হয়।এজন্য বেশি পিক্সেলের ডিসপ্লে তুলনামূলক ভাল। বেশি পিক্সেল এবং রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে কম ক্ষতিকর।

ই বুক কত প্রকার ও কি কি? (Ebook)

(প্রতি সেকেন্ডে যতবার ডিসপ্লে বন্ধ ও চালু হয় তাকে রিফ্রেশ রেট বলে। আমাদের চোখ প্রতি সেকেন্ডে ১০ টির বেশি ছবি সঠিক ভাবে ট্র্যাক করতে পারে না। তাই আমরা এই বন্ধ ও চালু হওয়া ট্র্যাক করতে পারি না।)

সাধারণ বই পড়া
একটানা কাগজে ছাপানো সাধান বই পড়লেও চোখের ক্ষতি হতে পারে। বই পড়ার ক্ষেত্রে একেবারে কম আলো থাকলেও ক্ষতির কারন হতে পারে। প্রতি দশ মিনিট পর পর পড়ার বাইরে কিছুর দিকে তাকালে চোখের উপর চাপ করমে পারে। তবে সাধারন কাগজের বইয়ে প্রতিফরিত আলো এসে পরে, তাই ক্ষতির পরিমান কম।

ই-বুক

ইবুক স্ক্রিনের ক্ষুদ্রতম ডিসপ্লে ইউনিট হলো পিক্সেল। সিএসভি বা পিডিএফ ইবুকের লেখাগুলো পিক্সেলেরই সমন্বয়। এগুলো চোখে জন্য দেখা একটু কঠিন হয়।এজন্য বেশি পিক্সেলের ডিসপ্লে তুলনামূলক ভাল। বেশি পিক্সেল এবং রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে কম ক্ষতিকর।

(প্রতি সেকেন্ডে যতবার ডিসপ্লে বন্ধ ও চালু হয় তাকে রিফ্রেশ রেট বলে। আমাদের চোখ প্রতি সেকেন্ডে ১০ টির বেশি ছবি সঠিক ভাবে ট্র্যাক করতে পারে না। তাই আমরা এই বন্ধ ও চালু হওয়া ট্র্যাক করতে পারি না।)

প্রতিকার

চোখের ক্ষতি কমাতে ১০-১০-১০ সূত্র অনুসরণ করা যেতে পারে। কমপক্ষে ১০ মিনিট পর ১০ ফিট দূরের কোন বস্তুর দিকে ১০ সেকেন্ডের বেশি সময় তাকানো। তুলনামূলক বড় ফন্টকরে পড়লে চোখের উপর চাপ কমতে পারে। ডিসপ্লের জন্য লাইট কমিয়ে বাড়িয়ে নিজের সুবিধামতো করে নেওয়া উচিৎ। এটা চোখের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্ক্রিণে তাকালেই চোখ ব্যাথা করে এমন রোগিদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরমর্শ নিতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button